লাভজিহাদ |
কয়দিন আগে এই গ্রুপ এ একটি পোস্ট দেখলাম, বিধর্মীরা কিভাবে হিন্দু মেয়েদের সহজে পটিয়ে ফেলে। আমি এখানে আমার বান্ধবীদের কীভাবে পটানোর চেষ্টা হয়েছিল, কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। আপনারা দেখুন কতটা এফোর্ট তারা দেয়।
প্রসঙ্গত, আমরা বাংলার বাইরে পড়াশোনা করেছি, আমাদের কলেজে বিধর্মী ছিলো মাত্র ২% এর মতো, আরও কমও হতে পারে।
১. আমার রুমমেট এর কাহিনী। নাম বলি তনুজা। ওর ক্লাস এ দুজন মুসলিম ছেলে ছিল। তাদের একজন, নাম ধরে নেই সালমান তনুজা কে কালচার ডে এর পরেরদিন থেকে নাকি পছন্দ করা শুরু করে, ওর হোমওয়ার্ক, এসাইনমেন্ট, প্রাকটিক্যাল রিপোর্ট, ল্যাব ওয়ার্ক সব কিছুতে প্রচণ্ড সাহায্য করতে থাকে। প্রতিদিন সকালবেলা মেয়েদের হোস্টেল এর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো, বাড়ি থেকে ওর আম্মার রান্না বিরিয়ানি, হলুয়া নিয়ে আসতো প্রতি সোমবার। তনুজা ওকে পাত্ত দিতনা তেমন, ও বেশ গোড়া ছিলো। এরপর আমাদের ক্লাসের হিন্দু ছেলেরা ওকে বলা শুরু করলো, দেখ সালমান তোকে কত ভালবাসে, তুই কিন্তু ভুল করছিস ওকে ইগনোর করে। তনুজা রেগে যেয়ে ওদের সাথে ঝগড়া করে, এরপর সেই ছেলেরা ওকে অনেকদিন ইগনোর করেছিলো। এরপরে সেই সলমনের লভবম্বিং বন্ধ হয়।
২. এবার অন্য যে ছেলেটি, ধরে নেই তার নাম আজাদ। সে আমার আরেক বান্ধবী সোমাকে পছন্দ করা শুরু করে। সোমা কবিতা পছন্দ করে, ঘোরা ঘুরি পছন্দ করে, সাংস্কৃতিকমনা। আজাদ শায়েরি লেখে, নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট করে। সে সোমাকে নিয়ে সেই রোমান্টিক শায়েরি লিখে পাঠায়। বিকেলে বাইক নিয়ে ওর পিজির সামনে চলে যায়।শহরের বাইরের অসাধারণ সুন্দর জায়গা গুলোতে নিয়ে যায়। শহরের বেস্ট রেস্টুরেন্টগুলোতে নিয়ে যেয়ে উদারতা ও সাম্য নিয়ে বড় বড় বাণী দেয়।সোমার বয়ফ্রেন্ড ছিলো, সেও আজাদকে তাই সিরিয়াসলি নেয়না। ব্যাপারটা এভাবেই শেষ হয়।
এই দুই ক্ষেত্রেই শেষ ভালো ছিল, কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, এই ট্রিটমেন্ট যখন ১৪/ ১৫ বছরের মেয়েদেরকে দেয় তারা তো মনে করে, এই আমাকে সব চেয়ে ভালোভাবে ট্রিট করবে। আমার বান্ধবীরা শক্ত মনের মেয়ে ছিল, বয়সও বেশি ছিল, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। সবাই কী পারে? ওদের মসজিদে, বিভিন্ন ফেসবুকের গ্রুপে তাদের ট্রেনিং দেয়া হয়। একদম অল্পবয়সী মেয়েদের টার্গেট করে, বন্ধু, পরিবার সবার সাহায্য নিয়ে ফাঁদে ফেলে। এমন সেই ট্রেনিং, অল্পবয়সী ও প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরাও তাদের মেয়েদের ফাঁদে পড়ে যায়।
আমার কাকার বন্ধু বিয়ে করেছিলেন, মহিলা সারাজীবন শাখা পলা পরলেন, কাকাকে মৃত্যুর পরে শান্তির ধর্মে কনভার্ট করে কবর দেয়া হয়। কাকার ওয়াইফ ৩০ বছর অপেক্ষা করেছেন শেষ খেলা খেলার জন্য। তাদের মেয়েটিও মুসলিম বিয়ে করেছে.
সংগৃহীত
0 মন্তব্যসমূহ