নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস, ছবি: সংগৃহীত |
নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী, প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১২: ৫২
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীর পাড় এলাকার চিত্ত বাবুর দিঘির পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আজ সকাল নয়টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম দুলাল চন্দ্র দাস (৫০)। তিনি রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গীর পাড় এলাকার দাস বাড়ির হরলাল চন্দ্র দাসের ছেলে। স্থানীয় ছয়ানী বাজারে ভাইয়ের সঙ্গে ক্রোকারিজ পণ্যের ব্যবসা করতেন তিনি। পাশাপাশি টঙ্গীর পাড় কালীমন্দির-সংলগ্ন চিত্ত বাবুর দিঘি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুলাল চন্দ্রের পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা বাঁশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টঙ্গীর পাড় এলাকার কালীমন্দির-সংলগ্ন চিত্ত বাবুর দিঘিটি দুলাল চন্দ্রের বাড়িসংলগ্ন হওয়ায় প্রতি রাতে দিঘির পাড়ে একটি চেয়ারে বসে মাছ পাহারা দিতেন তিনি। গতকাল রাতেও তিনি দিঘির পাড়ে যান। সেখানে দুর্বৃত্তরা মাথা, মুখ ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে। এরপর লাশটি চেয়ারে বসানো অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে রাত সোয়া তিনটার দিকে দুলালদের বাড়ির এক ব্যক্তি মাছ ধরার জাল নিতে দিঘির পাড়ে গিয়ে দুলালকে ডাকাডাকি করেন। একপর্যায়ে তিনি দেখেন, চেয়ারের ওপর বসা দুলালের রক্তাক্ত লাশ।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথা থেকে মুখ পর্যন্ত এবং গলায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত আছে। আঘাতগুলোর ধরন দেখে মনে হয়, ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে তিনটার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। উদ্ধারের পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: প্রথম আলো
সতর্কতা: সংযুক্ত চিত্রটির ভয়াবহতা অনেকের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে
নোয়াখালীতে নিহত দুলাল চন্দ্র দাসের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ |
1 মন্তব্যসমূহ
এই হত্যার প্রধান আসামীর বিচার হয়ে গেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা রয়ে গেল আড়ালে---
উত্তরমুছুননোয়াখালীতে গণপিটুনিতে হত্যা মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩ ১০:২৪:৪০
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাদশা (২৮) গণপিটুনির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, শনিবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে মায়ের সাথে দেখা করে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহত বাদশা রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল (৪০) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর নিহত বাদশার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর পলাতক বাদশা শনিবার ভোরে তার বাড়িতে আসেন। পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
গত ১০ জুন সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন রাতের কোনো এক সময় ওই গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
https://ekattor.tv/news/article?article_id=46784