নিজের পার্সোনাল অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি যেহেতু চট্টগ্রাম থাকি আর যেহেতু সনাতনী তাই একটা কটু কথা শুনা হয় "ডান্ডি" আর বিধর্মীরা আমাদের এই কথা বলেই বিদ্রুপ করে। আমরা হিন্দুরা "ডান্ডি" ছোট থেকে এই কথা শুনে বড় হয়েছি। যাই হোক টপিকে আসি চট্টগ্রামের টেরিবাজার সবাই কম বেশি চিনে কাপড়ের মার্কেট হিসেবে আর প্রায় সময় টেরীবাজার এ কেনাকাটা করতে যাওয়া হয়। আর বিয়ের কেনাকাটার জন্য "মাসুম ক্লথ স্টোর", "সানা", "মনেরেখ", চিটাগং শাড়ী" এগুলাতে যাওয়া হয়। বাট কিছু দিন আগে আমি "মাসুম ক্লথ স্টোর" পরিবার সহ কেনাকাটা করতে গেলাম। আমার কোন কারণে শাড়ি পছন্দ হয় নি তাই চলে আসছিলাম সেলসম্যান বিরক্ত হয়ে মুখে বিরবির করে বলল-
ডান্ডিরা এখন বেশি বিরক্ত করে সবাই কে ঘার ধরে বডার পার করে দিতে হবে
যেহেতু পরিবার ছিলো আর তাই আমি শুনেও না শুনার ভান করে চলে আসলাম। বলা বাহুল্য আমি উপরে যে দোকান গুলার নাম বললাম তা সব কিন্তু আমাদের চট্টগ্রামের হিন্দুদের কেনাকাটার টাকায় ৯৫% চলে। সো কথায় আসি আমাদের চট্টগ্রামে কিন্তু হিন্দুরা বিধর্মীদের থেকে প্রথমে যে কুট কথা শুনে তা হল "ডান্ডি"।
আর ওই সব দোকানে কিন্তু হিন্দু মহিলারই বেশি যাই। আর আমরাই মনে হয় সুযোগ করে দিচ্ছি ওদের এই সব কথা বেশি বলার জন্য আর এর চেয়ে বড় কথা আমাদের মা বোন দিদিদের দেখে ওদের সাইড টক খুবই লক্ষনীয়। এমতাবস্থায় আমরা কি একসাথে পারি না আমাদের টাকাগুলা যাতে আমাদের জাতি ভাইদের হাতে যায় সে ব্যবস্থা করতে?
সংগৃহিত
1 মন্তব্যসমূহ
মাত্র বছর কয়েক আগেই টেরি বাজারের এই দোকানদারগুলোই হাজারি গলির মন্দিরে হামলা করেছিল দল বেঁধে। এরপর অনেকের কাছেই বয়কট টেরিবাজার স্লোগান শুনে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমরা সব ভুলে গেছি। আমরা হিন্দুরা খুব দ্রুত সব ভুলে যেতে পারি।
উত্তরমুছুনতখনো হিন্দু গ্রুপ গুলোতে একটা পোস্ট করছিলাম টেরি বাজারের হিন্দু দোকান বা এর আশেপাশে ঐ মানের কাপড় পাওয়া যায় এমন সনাতনি দাদা দের দোকান আছে কিনা জানতে চেয়েছি। দুভার্গ্যজনক হলেও সত্য যে আমি তেমন কোন সাড়া পাই নি।