বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লাভজিহাদের আক্রমণ বেড়ে গেছে

বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লাভজিহাদের আক্রমণ বেড়ে গেছে

 

বাংলাদেশের নামকরা ইউনিভার্সিটি-কলেজ গুলোতে ইদানিং কালে উল্লেখযোগ্য ভাবে ধর্মান্তরিতকরণ বা লাভ জিহাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তো এ নিয়েই আজ সকালে কথা বললাম একজন নামকরা হিন্দু প্রফেসরের সাথে। উনি বেশ কিছু পয়েন্ট ধরিয়ে দিলেন, 


- হিন্দু ছেলেমেয়েরা ধর্মান্তরিত হয় মূলত দুই ধাপে। প্রথমে কমিউনিস্টরা প্রথম বর্ষে ক্যাম্পাসে আসা হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের নারী স্বাধীনতা-LGBTQ দের অধিকার-সাম্যবাদ-ধর্মহীন সমাজের স্বপ্নে বিভোর করে সনাতন ধর্ম থেকে ধীরে ধীরে আলাদা করে। এরপর শেকড়হীন এসব ছেলে-মেয়েদের টার্গেট করে মু স লি ম রা। যেহুতু তারা শেকড়হীন থাকে, তাই তাদের ইসলামের ছায়াতলে আনতে বিশেষ বেগ পেতে হয় না। 


কিন্তু এদের যদি পারিবারিক ধর্ম শিক্ষা আর প্রকৃত ইতিহাসের জ্ঞান থাকে তাহলে কমিউনিস্ট আর মুসলিম দুজনেই ব্যর্থ হবে তাকে সনাতন ধর্ম বা শেকড় থেকে আলাদা করতে। সনাতন ধর্মে যে একমাত্র সম অধিকারের বলা আছে এই সত্য হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেও আমরা জানতে পারছি না। 


- হিন্দু শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেরাই ভীষণ ভাবে Insecure বা Cornered ক্যাম্পাস গুলোতে। তাই তারা অভিভাবকের ভূমিকা পালনে প্রায়শই ব্যর্থ হয়। আবার শিক্ষকদের একটা বড় অংশ এতো কিছুর পরেও মিথ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা বুলি আওড়ায়। ক্যাম্পাসে আসা নতুন ছেলে-মেয়ে গুলো বিপন্ন বোধ করে। রোল মডেলের বড্ড অভাব। 


ইউনিভার্সিটিতে চাকরি করেও কেমন করে নিজের ধর্মকে প্রমোট করতে হয় তা শেখা প্রয়োজন ভারতবর্ষের মুসলিম শিক্ষকদের থেকে। তারা সিস্টেমের মধ্যে থেকেই হাজারো মুসলিম স্টুডেন্টসদের অনুপ্রেরণা। 


- বাংলাদেশের বহু ইউনিভার্সিটির কতিপয় শিক্ষিকাদের দেখা যায় মুসলিম বিয়ে করে নিজেরাই মুসলিম হয়েছে। কিছু শিক্ষকও আছে। এরা নাম পদবী ব্যবহার করে হিন্দু ধর্মের, অথচ দৈনন্দিন জীবন-যাপনে কট্টর মুসলিম। চোখের সামনে এসব দেখতে দেখতে হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীরা এসব খুব নরমাল ভাবতে শুরু করে। 


মনে প্রশ্ন আসা প্রয়োজন স্যার-ম্যাডামরা আধুনিক হতে চাইলে ধর্মহীন হতে পারতেন, কিন্তু কেন ইসলাম ধর্ম বেছে নিলেন? মানে তার ক্যারিয়ার খুব সাকসেসফুল হলেও তার বাস্তববোধ শূন্য, সনাতনের শিক্ষা ছিল শূন্য। সে অনুকরণীয় কিছু না। 


- সরস্বতী পূজা ছাড়া হিন্দুদের সারা বছর ভর আর কোনো ধর্মীয় এক্টিভিটি বিশেষ নেই। যোগ্য নেতৃত্বের প্রকট অভাব সনাতনী সংগঠন গুলোতে। 


প্রয়োজন বছর ভর ছোট ছোট ক্যাম্প বা সেমিনার করে ধর্মীয় আলোচনা, ইতিহাস চর্চা, গীতা পাঠ, লাভ জিহাদ নিয়ে ধারাবাহিক পর্যালোচনা বা কেউ জড়িয়ে গেলে নিয়মিত ফলোআপ করে তাকে উদ্ধার করা। অগ্নিবীর সহ অন্যান্য সংগঠন গুলোকে ইনভাইট করে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে ছোট খাটো কোনো কাজ দিয়ে ইনভল্ভ করা, যাতে কেউ নিজেকে অপ্রয়োজনীয় না মনে করে। 


শেষে অনুরোধ করে বললাম, আপনার এমন গভীর মাঠ পর্যায়ের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা। কেন সামনে এসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না? একজন বাল ঠাকরে পুরো মহারাষ্ট্রের পরিবেশ একদা পাল্টে দিয়েছিলো। অনুগ্রহ করে সামনে এসে দিশা দেখান।  কথা দিলেন, উনি-উনার মতো বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বর্তমান ঘটনাক্রম নিয়ে খুব বিরক্ত এবং আগামীর কথা ভেবে ভীত। তাই সামনে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা এবং হিন্দুদের দিশা দেখাতে সামনে আসবেন। উনারা আসুন উনাদের সময় মতো। কিন্তু নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদের লড়াই জারি থাক। নমস্কার।


সংগৃহিত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ