লাভজিহাদ - একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার অনুভূতি - নেহার চন্দ্র হালদার

লাভজিহাদ

প্রসঙ্গত, যদি সনাতনী হয়ে থাকেন তাহলে এই লেখাটা পড়ে সনাতনী ছেলে মেয়েদেরকে সতর্ক করুন। চুয়াডাঙ্গা, অনামিকা হালদারে বাড়ি, দুই ভাই বোন, বাবা প্যারালাইসিস হয়ে ঘরে পড়ে আছে। ভাই বোনের ভিতর অনামিকা বড়, মা একটি ছোট চাকরি করে ঠিক মতন সংসার টা চলছে না। চুয়াডাঙ্গাতেই মায়ের আত্মীয় পাতানো মোহাম্মদ শামীম  মুন্সিকে ভাই ডেকেছেন। শামীম মুন্সির একটি ছেলে আছে ঢাকা সাভারে চাকরি করে। তাদের আত্মীয় সম্পর্ক হিসেবে শামীম মুন্সীর ছেলে আর অনামিকা হালদার সম্পর্কে মামাতো ভাই বোন। অনামিকা হালদার কে ভালো চাকরি দেবে বলে সাভার একটি গার্মেন্টসে চাকরি পাইয়ে দেয় শামীম মুন্সির ছেলে। অনামিকা ২৩ সালে সাভারে একটি গার্মেন্টসে চাকরিতে জয়েন করে।


এখানে আমার একটি প্রশ্ন থেকে যায় একজন নাবালিকা মেয়েকে যার বর্তমান বয়স ১৬ বছর ১১ মাস। তাহলে ২৩ সালে তার বয়স কত ছিল কি করে  গার্মেন্টসে চাকরি  হয় একজন নাবালিকা মেয়ের?


মেয়েটি সাভারে থাকতো একটি মেয়েদের ম্যাচে, ওখান থেকে শামীম মুন্সীর ছেলে ভাই বোনের পরিচয় তাকে নরসিংদী একটি রিসোর্টে নিয়ে যায়। সাথে ওই মেয়ের বান্ধবীরাও ছিল এবং ওই ছেলের বন্ধুরা ও ছিল মেয়ের ভাষ্যমতে। ওই রিসোর্টে গিয়ে কিছু আপত্তিকর ছবি তোলে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায়। একপর্যায়ে তাদের ভিতর প্রেমের সম্পর্ক হয়ে যায়। অভাবী সংসার মাস গেলে যে টাকা ইনকাম করে তার অর্ধেক টাকা বাড়িতে পাঠানো লাগে অনামিকার। যে মেসে থাকে সবাই মুসলিম একমাত্র অনামিকা হিন্দু। এক রুমে চারজন মেয়ে থাকে তার ভিতর একজন হিন্দু। কিন্তু সপ্তাহে একদিন করে গরুর মাংস রান্না করা হয় যেটাও কিনা এক সময় অনামিকাকে বাধ্য করে খেতে। এরকম চলতে থাকে তাদের সময়টা। অনামিকা জিহাদি ছেলেটির কৌশলে পড়ে ২২ দিন আগে উধাও হয়ে যায়। প্রথমে যায় কুয়াকাটা তারপরে খুলনা থেকে ঢাকায় আসে। মেয়ের মা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে নিজের মেয়েকে। কোথায় ও না পেয়ে ১৮ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা সদরে আমার এক দাদার কাছে এসে অভিযোগ করে এবং ওই দাদা আমাকে সকল বিস্তারিত বলে। মেয়ের মা আমাকে প্রায় এক থেকে ২০০ ফোন দিয়েছিল কিন্তু আমি তার একটা ফোনও রিসিভ করিনি। কারণ জিহাদিরা আমার নাম্বারটি পাবলিক করার কারণে আমি অচেনা নাম্বার রিসিভ করি না। তাই আমার ওই চুয়াডাঙ্গা সদরের একটি মানবতা সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা দাদার সহযোগিতায়। মেয়ের মাতার আকুতি কান্না ও অনুরোধে আমি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরে। আজ সাভারে চলে যাই, এবং ওই ছেলের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের কে আইনের মাধ্যমে বুঝানের চেষ্টা করি। এবং আরো অনেক কিছু পথ ব্যবহার করতে হয়েছিল যেগুলা এখন আর অনলাইনে তুলে ধরা যায় না। ১৮ দিন পরিশ্রমে করে এত কষ্টের পরে যখন তাদের হাতে তাদের মেয়ে তুলে দিয়েছি তখন তারা আমাদের কে একটি হতাশ উত্তর দিল। তাদেরকে আমি বলেছিলাম, আপনারা আইনের মাধ্যমে ওই ছেলে এবং ওই ছেলের বাবার বিরুদ্ধে ও ওই ছেলে দুই বন্ধু এবং ওই মেয়ের এক বান্ধবীদের বিরুদ্ধে থানায় না হলেও কোর্টে মামলা দিন। কিন্তু ওই মেয়ের সম্পর্কে কাকা এবং এক মামার উত্তর আমাদের মেয়েটা পেয়েছি আপনার কাছে আমরা সারা জীবন ঋণী হয়ে থাকবো। আপনি ভগবান হয়ে আমাদের এই মেয়েটা তুলে দিয়েছেন আমাদের গাড়িতে টিকিট কেটে দেন আমরা বাড়ি নিয়ে যাব আমরা কোন ঝামেলায় যেতে চাই না। আমাদের পরিবারের কোন টাকা পয়সা অর্থ সম্পদ কিছু নাই যে আমরা  মামলা করবে এবং তারা এদের সাথে লড়বে তাই আপনার পায়ে পড়ি আমাদেরকে গাড়িতে টিকিট কেটে দেন।


আমি সাথে সাথে আমার শ্রদ্ধাভাজন এবং আমার প্রিয় জ্যেষ্ঠ এডভোকেট সুমান কুমার রায়কে তাদের সামনে টেলিফোনে যুক্ত করি। আমি তাদেরকে আশ্বাস দিই আমি আপনাদের সকল মামলার খরচ দিব এবং সুমন দা ও তাদের সবকিছু ফ্রি করে দিতে চেয়েছে তারপরও তারা রাজি হয়নি । আমি আমার ধারণা থেকে বলছি এই বোনটাকে যদি মেডিকেল করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতাম তাহলে ওরা কঠিন সাজা ভোগ করতে হতো। মেয়েটাকে বিবাহ ছাড়া এই কয়দিনে কুকুরের মতন ছিরে ছিরে খেয়েছে এটা যে কেউ বোনটার দিক তাকালে বুঝবে। এই বোনটা তো আমারই বোন আপনারই বোন এগুলা দেখে কি আপনাদের রক্তক্ষরণ হচ্ছে না? আর কত সেকুলারি দেখাবেন? এই চলতি মাসে চারটা বোন এবং একটা ভাইকে ধর্মান্তরিত পথ থেকে ফিরিয়ে এনে পুনরায় সনাতনের ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন আর ফেসবুকে তুলে ধরতে পারিনা কারণ একটি গ্রুপ এমনভাবে আমার পিছনে লেগেছে তাই আর ফেসবুকে তুলে ধরছি না। এই ঘটনাটি তুলে ধরার একটাই কারণ এখোনি আপনারা শিখুন আর সেকুলারি বাদ দেন সম্পর্ক নিজেদের ভিতরে তৈরি করুন অন্যদের ভিতরে নয়। 


আমার দেখা মতে এবং বর্তমানে সনাতনী সমাজকে নিয়ে যারা কাজ করছে সেই সব যুবকদের উদ্দেশ্য বলব। 


কাদের জন্য চিৎকার করছেন?

কাদের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করছেন?

কাদের বিচারের জন্য পথে নামছেন?


যাদের আমরা বুঝিয়ে বুঝিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি, যাদের আমরা লাভ জিহাদ কি সেটা বোঝাতে গিয়ে নিজের মা-বোন সমন্ধে বাজে খিস্তি শুনেছি, যারা আমাদের অশিক্ষিত চাড্ডী বলে, যারা আমাদের ২৪ ঘন্টা খিস্তি দেয়।যে মা-মেয়ে একসাথে বিধর্মী যুবকের বিছানায় শুতে পারে সামান্য অর্থের লোভ। 


যে হিন্দু বাঙালী মেয়েরা এতকিছু দেখার পরও জিহাদীদের ভাই বলে সম্বোধন করে, যে হিন্দু বাঙালী মেয়েদের লাভ জিহাদ নিয়ে বোঝালে আমাদের মা-বোন এক করে দেয় তাদের সাথে এসব ঘটনা ঘটবেই কারন বাঙালী হিন্দুরা একের পর এক ঘটনা থেকেও শিক্ষা গ্রহন করে না. . . . .


আপাতত "লাভ জিহাদ" নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধই করে দেওয়া উচিত, কারন যে মেয়ের পরিবারের লোকজনরা সব জেনেও চুপ করে থাকে তাহলে আমাদের কি দরকার অযথা জ্ঞান দেওয়ার, নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করা। 


যে যা পারে করুক চোখ-কান বন্ধ করে থাকুন বাঙালী হিন্দুরা আরও বেশী বেশী শিক্ষার প্রয়োজন আছে. . . . .


হিন্দু-হিন্দু করে চিৎকার করে কি করবেন মিত্র, মনে রাখবেই এই ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরাই কিন্ত আমাদের ফাঁসানোর জন্য ২৪ ঘন্টা বুদ্ধি খাটায়, সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষদের "লাভ জিহাদ" করতে দিন, কারন ধর্মনিরপেক্ষরা এমনিতেই আমাদের হিন্দু সমাজের জন্য কোনো কাজে আসে না, এরা যত কমবে হিন্দুরা ততই শক্তিশালী হবে!!! ধর্ম নিরপক্ষতা বলতে বুঝি যে আমি আমার ধর্মকে যতটা শ্রদ্ধা করব অন্য ধর্মাবলম্বীও আমার ধর্মকে ততটাই শ্রদ্ধা করবে তাহলেই ধর্ম নিরপেক্ষই ভাবা যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ