কিছুদিন আগে সিলেটে ধর্মান্তরিত হওয়া দুই বোনের বিস্তারিত ঘটনা


কিছুদিন আগে সিলেটে ধর্মান্তরিত হওয়া দুই বোনের বিস্তারিত ঘটনা সামনে এসেছে। এবার শুনুন তাহলে – 


--- অভিভাবকরা সচেতন হোন, সাহসী হোন ---


প্রশাসনকে দেওয়া ছোট বোনের জবানবন্দী  (পূর্ণা রানী) 


একসাথে কোচিংয়ে যাওয়া আসার সময় পরিচয়। গ্রামের ছেলে তাই মাঝেমধ্যে হায় হ্যালো, মাঝে মধ্যে কোচিংয়ে দেখা হয় ভালো মন্দ কথা হয়, আর সেটা নজরে আসে হুজুর আবুল কালাম স্যারের চোখে। তিনি ছলে বলে কৌশলে মেয়েটার সাথে সম্পর্ক করতে ছেলেটিকে উৎসাহ দেন, নানা রকম ধর্মীয় বাণী, ভালবাসার নানান বিশ্লেষণ দিতে থাকেন ছেলেকে, বুঝান মেয়েটি যদি ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে আমাদের জান্নাত কনফার্ম। ছেলেটি এগোতে থাকে মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার সব ধরনের চেষ্টা করতে থাকে, আর সাথে সাথে বন্ধুর মতো সব শিখিয়ে দেন আবুল কালাম।

 

এক সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব শেষে রিলেশন,এবং তা ঘনিষ্ঠ হলে তাদের শারীরিক সম্পর্ক করার সুযোগ করে দেন আবুল কালাম। এরপর শুরু হয় ব্রেন ওয়াস। হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হওয়ার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যান আবুল কালাম।একদিকে স্যারের ব্রেইন ওয়াশ আর অন্যদিকে বয়ফ্রেন্ডের চাপে মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বড়বোন।স্যারের প্ল্যান অনুযায়ী ৬ই এপ্রিল ২০২৪  শনিবার ছোট বোনকে সাথে নিয়ে মেয়েটি স্যারের বাসায় যায় ।

বলে রাখি, ছোট বোন সাথে গিয়েছিলো বড়ো বোনকে দিয়ে আসতে, কিন্তু স্যারের বাসায় যাওয়ার পর একরকম জোর করে বোঝালেন ছোটবোনকে ছাড়া তোমার মন লাগবে না, তাছাড়া তোমার বোনও চায় মুসলিম হয়ে যেতে। সব রকম ব্রেইনওয়াশ করে ছোটবোনকে ও রেখে দেন শনিবার রাতে।


পরদিন রবিবার সকালে তাদের দুইজনকেই ধর্মান্তরিত করে হিজাব বোরকা পরিয়ে ভিডিও বানিয়ে সেটা ভাইরাল করে দেন সোসাল মিডিয়ায়।


সোমবার সকালে শুরু হয় আসল নাটক, স্যারের বাসায় হাজির হয় দুই সন্তানের বাপ, লম্বা দাঁড়ি ওয়ালা এক মোল্লা। সে জানায় ঐ মেয়েকে সে বিয়ে করতে এসেছে কিন্তু এসবের কিছুই জানেনা দুই বোনের একজনও। আর এদিকে মেয়ে অপেক্ষা করছে বয়ফ্রেন্ডের জন্য !!


এক সময় স্যার কৌশলে জোর পূর্বক বিয়ে পরিয়ে দেন ঐ হুজুরের সাথে। পরে আবার আরেকটি ভিডিও,যেখানে মেয়ে বলে সে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করছে, আর হুজুর বলে রিলেটিভ এর কাছে শুনেছে তাই সে বিয়ে করবে বলে এসেছে।


আসল ঘটনা হলো আবুল কালাম বয়ফ্রেন্ডের এর মাধ্যমে ঐ মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে এনে মুসলিম বানিয়ে উনারই রিলেটিভ হুজুর এর সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। ঐ হুজুরকে আগে থেকে রেডি করে রেখেছিলেন বিয়ের জন্য। এরপর আর ঐ মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের কোনো খবর নেই, এবং বড় বোনের কোনো বিবৃতি ও শোনা যায়নি। 


এবার আপনার ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাতে পাঠানোর আগে এই লাভ জিহাদ, মুসলিমদের চক্রান্ত ও হিন্দুদের প্রতি মনোভাব এবং ধর্মান্তরের বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন।


কপি- সংগৃহিত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ