22 June 2025
বাংলাদেশে বসবাসরত ভূমিপুত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের সম্পর্কে বাংলাদেশে কীরকম চিন্তাভাবনা বহন করা হয়, তা প্রকাশিত হয়েছে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ নামক একজন নিষ্ঠাবান বিশ্বাসী মুসলমানের পোস্টে। যে সব হিন্দুরা মুসলমানদের প্রতি ভ্রাতৃভাব প্রকাশ করেন, যারা একই বৃন্তের দুইটি ফুল তত্ত্বে বিশ্বাসী তাদের চিন্তারাজ্যে ঢেউ তুলতে নিচের পোস্টটি প্রকাশিত করা হল।
বাংলাদেশের হিন্দুরা সাধারণ কোনো কাফির বা মুশরিক নয়। তারা ' হারবি' অর্থাৎ মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফির হিসেবে গণ্য হবে। এখন, আপনি প্রশ্ন করতে পারেন কীভাবে?
আওয়ামী হায়েনাদের গত ষোল বছর ক্ষমতায় থাকার অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল হিন্দুদের সহযোগিতা। মুসলমান নামধারী আওয়ামীদের সহযোগিতায় মুসলমান কোপানো ( গুম,খুন, চাকরিচ্যুত, কারাবন্দী করা,পাচার, ধর্ষণ) তথা হেন কোনো অপরাধ নাই, যেটা হিন্দুরা করে নাই। গত ষোল বছরে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা, নতুন কারিকুলামের নামে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর প্রধান সহযোগী ছিল এদেশের হিন্দুরা।
আওয়ামী হায়েনাদের শাসনামলে তারা ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ইসলাম পালন করা শিক্ষার্থীদের শিবির, জঙ্গি এই রকম বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে অত্যাচার করতো। ভাগাও লাভ ট্রাপের নামে পরিকল্পিত ভাবে মুসলমান নারীদের ইজ্জত নষ্ট করার, ধর্মান্তরিত করার, ইন্ডিয়ায় পাচার করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আওয়ামী হায়েনাদের পতনেও তারা ক্ষান্ত হয় নাই।
আওয়ামী হায়েনাদের শাসনামলে পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী গুলোতে হিন্দুদের একচেটিয়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরা বিভিন্ন নামে মুসলমান কোপাতো, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার মূলভিত্তি ছিল এরা।
ইন্ডিয়ায় মুসলমানদের ওপর হিন্দুরা যে অত্যাচার, নির্যাতন করছে তাতে এদেশীয় হিন্দুরা খুব আনন্দিত,আহলাদিত। শুধু তাই নয় অনলাইনে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের দুরবস্থায়ও তারা খুব পৈশাচিক আনন্দের সাথে উদযাপন করছে।
বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদে, আরাম আয়েশে থাকা সত্ত্বেও তারা বিদেশে বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে। যেমন, প্রিয়া সাহা হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে। হাসিনার পতনের পর হিন্দুরা ইন্ডিয়ান মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আওয়ামী লীগের হয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যেসব হিন্দু শিক্ষক -শিক্ষিকা রয়েছে, তারা শ্রেণি কক্ষে মানবতাবাদ, বিজ্ঞানবাদ সহ বিভিন্ন বাতিল চিন্তাধারার প্রচার করে। ওরা জানে মুসলমান ঘরের ছেলে মেয়ে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হবে না। তাই মুসলমান ছেলে মেয়ের মধ্যে ইসলামের ব্যাপারে সন্দেহ -সংশয় তৈরির জন্য এসব মতবাদের আশ্রয় নেয়। তাতে সাপও মরল, লাঠিও ভাঙল না। বাংলাদেশে শাতিমে রাসূলদের যে উৎপাত তারও পেছনে রয়েছে এই হিন্দু শিক্ষক ও একটিভিস্টরা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলাম বিরোধী শক্তি হচ্ছে, " প্রথম আলো গং"। এই প্রথম কালোর ৮০ভাগ সাংবাদিক, কর্মকর্তা হিন্দু। মুসলমান নামধারী যারা আছে, তারাও কমিউনিস্ট। আর বাংলাদেশে কমিউনিজম প্রচার করেছে, সাতচল্লিশে জমিদারি হারানো হিন্দুরা।
এখন আপনি যদি এই আশায় থাকেন, বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ঐ দিন যখন আসবে, প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার, সেদিন হয়তো আপনি আর আপনার পরিবার পরিজন চরম লাঞ্চিত - নিপীড়িত হয়ে দুনিয়া ত্যাগ করেছেন।
তাই বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত হিন্দুদের প্রতি 'বারআ' শত্রুতা- ঘৃণার সুন্নাহকে জিন্দাহ করা। নিজেদের ঈমান নবায়ন করা।
হিন্দুদের সাথে সামাজিক মেলামেশা, বন্ধুত্ব বাদ দেওয়া, লেনদেন করা বাদ দেওয়া, হিন্দুদের দোকান থেকে কেনাকাটা করা যাবে না, এমনকি হিন্দু সেলুনে চুল না কাটানো। হিন্দুদের বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। (ওরা আপনার বাসা ভাড়া নিয়ে মূর্তিপূজা করবে, আপনার বাসাকে ছোটখাটো মন্দিরে পরিনত করবে।)
হিন্দু দোকানদাররা দেখবেন অনেক নরম সুরে, মোলায়েম স্বরে কথা বলে। ওরা জানে শুধু হিন্দু কাস্টমার দিয়ে ব্যবসা টিকবে না, তাই এই কৌশল গ্রহণ করে। কিন্তু আবার যেখানে শক্তিশালী সেখানে আপনাকে নূন্যতম স্পেস দিবে না।যেমন চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে মুসলমানরা ব্যবসা করতে পারে না, কুমিল্লা শহরের ঔষধ মার্কেটগুলোতে চাইলে মুসলমানরা দোকান দিতে পারে না, শাঁখারী বাজার, খুলনা, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের জায়গা রয়েছে।
সূত্র: ফেসবুক
0 Comments