নাম পরিবর্তন করে বংশের পরিচয় মুছে ফেলা যায় না - নারায়ণ দেবনাথ

নাম পরিবর্তন করে বংশের পরিচয় মুছে ফেলা যায় না - নারায়ণ দেবনাথ


নাম পরিবর্তন করে বংশের পরিচয় মুছে ফেলা যায় না - নারায়ণ দেবনাথ

✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️


বাংলাদেশে যারা নিজেদের মুসলমান ভাবছেন তারা কেউ মুসলমান নন। সপ্তদশ শতকের পর আপনারা সবাই হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছেন। এখন আপনারা যতই শিববাড়ি মোড়কে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর নামকরণ করেন না কেন নিজেদের রক্তের ডিএনএ থেকে কখনো সনাতন সংস্কৃতির ধারাকে মুছে ফেলতে পারবেন না।


রক্তের ঋন যেমন শোধ করা যায়না ঠিক তেমনি রক্তের ধারাও পাল্টানো যায়না।বাংলাদেশের যেখানে যত সনাতন সংস্কৃতির নামকরন রয়েছে তা অস্বীকার করা মানে নিজের পূর্ব পুরুষের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।যারা নিজের পূর্ব পুরুষের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে তাদের বলা হয় জারজ বা অবৈধ সন্তান।এখন বাংলাদেশের মানুষ বুঝে নিক তারা বৈধ না অবৈধ। 


বাংলাদেশে এমন অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তি আছেন যাদের জন্ম পরিচয় এখনো বিতর্কিত।


PETER LANG এর লিখিত SABRIA CHOWDHURY BALLAND দ্বারা সম্পাদিত BANGLADESH নামে একটি বইয়ের একটি পাতা হুবহু এখানে তুলে দিচ্ছি। এর দায় আমার নয়।


আধুনিক ভারতবর্ষের ইতিহাসে যা উল্লেখ আছে তার কিছুকিছু অংশ অনেকেরই অজানা।সে ইতিহাসে শেখ মুজিবের জন্ম ও শৈশবের কিছু বর্ননা আছে। যার সামান্য অংশ পাঠকদের অবগতির জন্য তুলে ধরা হল।কলকাতা সিভিল কোর্টের উকিল মি:চন্ডিদাস তার এক মেয়ে ছিলো যার নাম গৌরিবালা দাস। চন্ডিদাসের সহকারি উকিল মি:অরন্য কুমার চক্রবর্তী চন্ডিদাসের কলকাতাস্থ বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এই সুযোগে গৌরিবালার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে।এক সময় গৌরিবালা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। গৌরিবালা যখন বুঝতে পারেন যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন তিনি অরন্য কুমারকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু অরন্য কুমার এতে রাজি না হয়ে অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।এদিকে চন্ডিদাস বিষয়টি জানার পর চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/১২/১৯২০ ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন যার নাম দেওয়া হয় দেবদাস চক্রবর্তী। চন্ডিদাস অরন্য কুমারকে গৌরিদাসকে উঠিয়ে নেবার জন্য চাপ দিতে থাকলেও কিন্তু অরন্য কিছুতেই রাজি হননা। এরই মধ্যে দেবদাসের বয়স ২ বছরে উন্নীত হয়। চন্ডিদাস হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং ভীষণ অসুস্থতা বোধ করেন। যখন দেবদাসের বয়স ৩বছর তখন চন্ডিদাসের মুহুরী শেখ লুৎফর রহমান গৌরিবালাকে বিয়ে করেন। এতে যেনো কুলের দেখা পান চন্ডিদাস। এরপর গৌরিবালার নাম বদলিয়ে রাখা হয় ছালেহা বেগম এবং তার ছেলে অর্থাৎ দেবদাস চক্রবর্তীর নাম হয় শেখ মুজিবুর রহমান। যার এফিডেবিট নং-১১৮ তারিখ ১০/১১/১৯২৩ ইং কলকাতা সিভিল কোর্টের স্বাক্ষী:


১। জনাব আবদুর রহমান সাফায়াত;কোর্ট দারোগা কলিকাতা,থানা + পো: ভান্ডারিয়া সাবেক জেলা বরিশাল। ২। শ্রী অনিল কুমার, কোর্ট দারোগা,

সাবেক জেলা বরিশাল। 


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী /শিক্ষামন্ত্রীর নিকট আমাদের আবেদন উক্ত ঘটনা যদি সত্য হয় তবে তা ইতিহাস লিখনীতে স্থান দেয়া হোক। আর যদি মিথ্যা হয় তবে শেখ মুজিবের নানার নাম সহ তার মাতৃকূলের পরিচয় ইতিহাসে উল্লেখ করা হোক।

উক্ত তথ্যটি এখন সংসদ কার্যবিবরণীর অংশ। কারণ তথ্যটি শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সংসদে পড়ে শোনান হয়েছিল।

(বইয়ে বাংলায় লিখিত অংশটুকু এখানে উদ্ধৃত হল)


নাম পরিবর্তন করে বংশের পরিচয় মুছে ফেলা যায় না  (বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আসল পরিচয়) - নারায়ণ দেবনাথ


সূত্র: নারায়ণ দেবনাথ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ