⚠️⚠️⚠️ লাভ জিহাদ বিষয়ে সতর্কতামূলক পোস্ট ⚠️⚠️⚠️
আমার সাথে কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া লাভজিহাদ টাইপের একটা ঘটনা শেয়ার করতে চাচ্ছি আপনাদের সাথে আশা করছি approve হবে। এবং ঘটনা আমার নিজের চোখের সামনে দেখা এবং এ বিষয়ে আমি এই গ্রুপে পোস্টও করেছিলাম খুব সম্ভবত।
মেয়েটি ঢাকায় তার বিধবা মায়ের সঙ্গে কোন এক এলাকায় থাকতো, ও পড়াশোনাও করতো। বয়স খুব সম্ভবত ১৪ বছর হবে। মেয়েটার বড় বোনের আগেই বিয়ে হয়ে যায় ও ওই একই ঘরেই বড় বোনের দেবরের সাথে ওর বিয়ে পারিবারিকভাবে ঠিক হয়। সবাই সিদ্ধান্ত নেয় ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই মেয়েটির বিয়ে দেয়া হবে, শুধু আশীর্বাদ সেরে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু মেয়েটি তার বিশেষ ধর্মাবলম্বী বান্ধবীদের প্ররোচনা বলেন কিংবা উৎসাহ প্রদান বলেন কিংবা সাহায্য সহযোগিতায় এক গার্মেন্টস শ্রমিক ছেলের(ওই বিশেষ ধর্মের) প্রেমে পড়ে। তো যেদিন ওই মেয়ের মা ঢাকার বাসা ছেড়ে দিয়ে চিরতরে গ্রামে চলে যাবে ওইদিন বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই মেয়ে সবকিছু ফেলে মায়ের থেকে পলায় চলে যায়।
অতঃপর আমার রুমমেট দাদা যিনি ওই মেয়ের সম্পর্কে আপন মামাতো ভাই হয় , সে তার পরিচিত লোকজন নিয়ে খুঁজতে বের হয় ও পুলিশের সাহায্য নিয়ে অনেক কষ্টে খুঁজে পায় কাছাকাছি কোনো একটা এলাকায়। ওই দাদার ভাষ্য অনুযায়ী, মেয়ে এক রাতেই পুরোপুরি সনাতন ধর্মের নাম নিশানা মুছে ফেলেছে, এমন ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে যে উনি ওনার বোনকে চিনতেই পারতেছিল না একদম। অর্থাৎ পুলিশ যখন মেয়েটিকে ধরে ফেলে মেয়েটি বোরকা পরা ছিল ওর বান্ধবীর। আর ওই বান্ধবীগুলি ওকে নিজের বাসায় আশ্রয় ও দিয়েছে পরের দিন পলায় দূরে সরে যাওয়ার জন্য।
তো এককথায় ওই বিশেষ ধর্মের ছেলে ছাড়া ওই মেয়ে নিজের আত্মীয় স্বজনকে শত্রু মনে করে। আমার রুমমেট দাদার সাথে অনেক বাজে ব্যাবহারও করে আর বলে ওই ছেলের সঙ্গেই ওই মেয়ে থাকবে তার জন্য যদি পরিবার ওকে ত্যাগ ও করে তাও রাজি। দাদা অনেক বুদ্ধিমত্তার সাথে মেয়েটিকে ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনোমতে পুলিশ স্টেশন থেকে বের করে আনে কারণ নাহলে মেয়ে অনেক ঝামেলা করতো। আর পুলিশ তখন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা করতো।
অতঃপর উনি কৌশলে গ্রামের বাড়ি থেকে আত্মীয় এনে প্রাইভেট কারে করে মেয়েটিকে ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনোমতে গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। এরপর পরিবারের লোকজন আসল পরিচর্যা শুরু করে ওই মেয়ের 😅। পরে ফোন ভেঙে ফেলে যেন ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলতে না পারে কখনো। তারপর মোটামুটি ভালোই খাতির যত্ন হয় বাড়িতে ওই মেয়ের।
যে বিয়ে ৪ বছর পর হওয়ার কথা ছিল তা ১ মাসের মদ্ধে দিয়ে দেয়া হয়। আর মেয়ের মুখের ভাষ্য অনুযায়ী ও তার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তাই ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু আসলেই ওর মুখের কথা কতটা সত্য ছিল তা এখন বোঝা শুধু সময়ের দাবি।
তারপরও কিছু নির্বোধ হয়তো ইগনোর করে যাবে এই গুরুতর বিষয়টি। এই লাভজিহাদ যে আমাদের সনাতনী সমাজের মধ্যে মহামারীর রূপ নিয়েছে তা এখনো অনেক নির্বোধেরই বোঝার বাইরে। একমাসে আমার নিজ চোখে দেখা দুটো কাহিনীর একটা আজকে বললাম। তাই কাউকে সাবধান করে কি লাভ যদি কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিতে পারে?
ও আরও একটা কথা, মেয়েটির ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হলো এটা কার দোষে হলো? পরিবারের নাকি ওই মেয়ের নিজের দোষে? প্রাচীন কালে পরিবারের থেকে এতো তাড়াতাড়ি কেন বিয়ে দিয়ে দিতো এটারও হয়তো কারণ ওইদিন কিছুটা বুঝতে পেরেছি যদিও বাল্যবিবাহ উচিৎ নয় কিন্তু পরিবারের চিন্তাও একদম ফেলে দেয়া যায় না।
আমি খুব ভালো গুছিয়ে লিখতে পারি না, ভুল ত্রুটি মার্জনীয় দৃষ্টিতে দেখবেন।
সংগৃহীত
0 মন্তব্যসমূহ