হোলি উৎসবকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় মুসলমানগণ

হোলি উৎসবকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় মুসলমানগণ

ঘটনা ২০১৭ সালের। পুরাতন ঢাকা এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দোলযাত্রার অনুষ্ঠানে রঙ ছিটানোর খেলা খেলছিল। অন্য সময়ে হিন্দুবিদ্বেষী জীবন যাপন করলেও হোলি উৎসবে মুসলমান তরুণরা সমস্যা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে অনুপ্রবেশ করে। আনন্দ উৎসবে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে। সেই উদারতায় হিন্দুরা মুসলমান তরুণদেরকেও তাদের সাথে রং খেলা খেলতে দেয়। আর এই সুযোগে মুসলমান তরুণরা নারীদের অপমান করা শুরু করে। নারীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে রং মাখানোর মত অসভ্য কাজে মেতে উঠে। আসলে হিন্দুদের অনুষ্ঠানকে অপমান ও প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।


পুরানা ঢাকা শাঁখারীবাজার এলাকায় এমন একটি ঘটনা যমুনা টিভির সাংবাদিকগণ ভিডিও করতে সক্ষম হয়। সে সময় দেখা যায় একজন হিজাব পরা মুসলিম তরুণীকে কয়েকজন ছেলে রঙ মাখাচ্ছে। মেয়েটি চাকুরী করতে যাচ্ছিল। বারবার মানা করা ও ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও মুসলিম বখাটে ছেলেরা থামছিল না। আপাতদৃষ্টিতে তাদেরকে হিন্দু ছেলে বলে মনে হচ্ছিল। যমুনা টিভির রিপোর্টের কারণে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রিকায় হিন্দুবিদ্বেষী মতামতের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। সবাই হিন্দুদের আচরণ ও ধর্মীয় উৎসবকে আজেবাজে ভাষায় মন্তব্য ও গালিগালাজ করেছিল। পরে টিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ সেই ছেলেদের গ্রেফতার করলে দেখা যায়, তারা সবাই মুসলমান ছিল। তখন বিশিষ্ট আলোচকরা আর মুখ খুলেনি। নিজেদের সম্প্রদায়ের কুকীর্তির বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। হিন্দুদের ধর্মকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টাকে তারা মৌন থেকে সমর্থন দিয়েছিল।


 ২০১৭ সালের এই ঘটনা আজ ২০২৩ সালে মনে পরে গেল। 


bd24live.com থেকে পড়ুন ২০১৭ সালের ১৬ইমার্চের সেই ঘটনার খবর। >>


 পুরান ঢাকায় হোলি উৎসবের আড়ালে যে সব কাণ্ড ঘটেছে

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৭, ১২:১৪ পিএম


নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব হোলিকে ঘিরে পুরাতন ঢাকা রঙের ছোঁয়ায় মেতে ওঠে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ তরুণ-তরুণী অংশ নেয় উৎসবে। কিন্তু এবছর পুরাতন ঢাকা হোলি উৎসবকে ঘিরে বেশকিছু উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে জোরপূর্বক অনেককেই রঙ মাখিয়ে বিব্রত করা হচ্ছে। ফলে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ অনেকেই।


আসলে কী ঘটেছিল। একটি টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায় এক চাকরিজীবী নারী অফিসে যাওয়ার পথে তাকে রঙ মাখানোর চেষ্টা করে বেশকিছু যুবক। তিনি বারবার অনুরোধ করেন যে তার অফিস রয়েছে। কিন্তু সেই অনুরোধ কানে তোলেন নি উচ্ছৃঙ্খল তরুণেরা। তাঁকে রঙ মাখিয়ে দেয়। মেয়েটি ক্যামেরার সামনে প্রায় কান্নারত অবস্থায় বলেন, এখন তিনি অফিসে যেতে পারবেন না। আর অফিসে যদি যেতে না পারেন তাহলে চাকরি চলে যেতে পারে, এই দায় কে নেবে?


আরেক তরুণী, ক্যামেরার সামনে কথা বলার সময় অভিযোগ করছিলেন যে তাকে জোর করে রঙ মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিষেধ করেছিলেন কিন্তু নিষেধ অমান্য করেই তাকে রঙ মাখিয়ে দেওয়া হয়। ক্যামেরার সামনে কথা বলার সময়ই এক যুবক তার মুখে জোরপূর্বক রঙ দিয়ে যায়।


ভীড় বাড়ার সাথে সাথেই উচ্ছৃঙ্খলতা বাড়তে শুরু করে। ভীড়ের মধ্যে একটা শ্রেণি শুধু মেয়েদেরকেই টার্গেট করে রঙ মাখানো শুরু করে। এ সময় তাদের বন্ধুরা মেয়েগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও অনেকেই ব্যর্থ হন। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছিল। কোনো রিকশা গেলেই তাতে চড়াও হচ্ছিলেন যুবকেরা।


শাঁখারীবাজারের স্থানীয় কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবক বলেন, তাদের এই শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত উতসবে বেশকিছু বহিরাগত ও সুযোগ সন্ধানী যুবক প্রবেশ করে এই ধরনের কাজ করছে এবং তাদের এই উৎসবকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে যুবকেরা অপরিচিত এবং দলবদ্ধভাবে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এটা সত্যিই লজ্জাজনক। এদিকে, এ ঘটনার ফুটেজ শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ক্ষোভ প্রকাশ।


তবে, অপ্রীতিকর এ ঘটনায় ৩ জনকে গতকাল বুধবার গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আকাশ (১৯), মোঃ সিফাত (২০), ও মোঃ মামুন (১৮)।


এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় এবং অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে বলেছে ডিএমপি।


সূত্র: bd24live.com

======


কালের কণ্ঠের নিউজে মুসলিম তরুণদের নাম নেয়া হয়নি। পড়ুন লিংক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ