১) ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপক (omnipresent), কিন্তু আল্লাহ সপ্তম আকাশে থাকে।
২) ঈশ্বর হলেন সর্বশক্তিমান (omnipotent), তিনি কাজ করতে কারও সহায়তা নেন না, কিন্তু আল্লাহকে ফারিস্তা আর জিনের সহায়তা নিতে হয়।
৩) ঈশ্বর হচ্ছেন ন্যায়কারী, তিনি জীবের কর্মানুসারে নিত্য ন্যায় করেন, কিন্তু আল্লাহ কেবল কায়ামতের দিনই ন্যায় করে আর সেটাও তাদের যাদের কবরে পুতিয়ে রাখা হয়েছে।
৪) ঈশ্বর ক্ষমাশীল নন, তিনি দুষ্টদের অবশ্যই দণ্ড দেন, কিন্তু আল্লাহ দুষ্টদের, ধর্ষণকারীদের পাপকে ক্ষমা করে দেয়, যারা মুসলিম হয়েছে তাদের পাপ ক্ষমা করে দেয়।
৫) ঈশ্বর বলেন - "মানুষ হও" মনুর্ভব জনয়া দৈব্যম্ জনম্ (ঋগ্বেদ ১০/৫৩/৬)
কিন্তু আল্লাহ বলে - "মুসলিম হও", সূরা -২, অলবকরা পারা - ১, আয়ত - ১৩৪,১৩৫,১৩৬
৬) ঈশ্বর হচ্ছেন সর্বজ্ঞ, জীবের কর্মের অপেক্ষা তিনকালের বিষয়কে তিনি জানেন, কিন্তু আল্লাহ হল অল্পজ্ঞ, সে জানতো না যে শয়তান তাঁর আজ্ঞা পালন করবে না, তা নাহলে শয়তানকে কেন উৎপন্ন করেছে?
৭) ঈশ্বর হলেন নিরাকার তাই তিনি শরীর-রহিত, কিন্তু আল্লাহ হল শরীর-সহিত, সে একটা চোখ দিয়ে দেখে।
ঈশ্বর বলেন - "আমি (ঈশ্বর) এই কল্যাণকারী বেদবাণীকে সকল মানুষের কল্যাণের জন্য দিয়েছি।" (য়জুঃ ২৬)
আল্লাহ বলে - "আল্লাহ কাফিরদের (অমুসলিম) মার্গ দেখায় না।" (কুরআন ৯:৩৭)
৮) ঈশ্বর বলেন -
সম্ গচ্ছধ্বম্ সম্ বদধ্বম্ সম্ বো মনাম্সি জানতাম্।
দেবাম্ ভাগম্ য়থাপূর্বে সম্জানানা উপাসতে।। (ঋঃ ১০/১৯১/২)
অর্থাৎ - হে মনুষ্য! একত্রিত হয়ে চলো, পরস্পর একত্রিত হয়ে কথা বলো। তোমাদের চিত্ত এক সমান হয়ে জ্ঞান প্রাপ্ত করুক। যেভাবে পূর্ব বিদ্বান, জ্ঞানীগণ সেবনীয় প্রভুকে জেনে উপাসনা করে আসছেন, তেমনটা তোমরাও করো।
কুরআনের আল্লাহ বলে -
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَاتِلُوا الَّذِیۡنَ یَلُوۡنَکُمۡ مِّنَ الۡکُفَّارِ وَ لۡیَجِدُوۡا فِیۡکُمۡ غِلۡظَۃً ؕ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۲۳﴾
হে মুমিনগণ, তোমরা (মুসলিম) তোমাদের নিকটবর্তী কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। (কুরআন ৯:১২৩)
৯) ঈশ্বরীয় গ্রন্থ বেদ বলছে -
অজ্যেষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাস এতে সম্ ভ্রাতরো বাবৃধুঃ সৌভায়। (ঋঃ ৫/৬০/৫)
অর্থাৎ ঈশ্বর বলছেন যে হে সংসারের মনুষ্য! তোমাদের মধ্যে না তো কেউ বড় আর না কেউ ছোটো, তোমরা সবাই ভাই-ভাই। সৌভাগ্য প্রাপ্তির জন্য এগিয়ে যাও।
আল্লাহর গ্রন্থ কুরআন বলছে -
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡمُشۡرِکُوۡنَ نَجَسٌ فَلَا یَقۡرَبُوا الۡمَسۡجِدَ الۡحَرَامَ بَعۡدَ عَامِهِمۡ هٰذَا ۚ وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ عَیۡلَۃً فَسَوۡفَ یُغۡنِیۡکُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖۤ اِنۡ شَآءَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۲۸﴾
হে ঈমানদারগণ (কেবল এক আল্লাহকে যারা মানে), মুশরিকরা (মূর্তিপূজকরা) নাপাক (অপবিত্র)। (কুরআন ৯:২৮)
১০) কুরআনের আল্লাহ অজ্ঞানী, সে মুসলমানদের পরীক্ষা নেয়, তাই তো ইব্রাহীমের কাছে তার পুত্রের কুর্বানী চেয়েছিল।
বেদের ঈশ্বর হলেন সর্বজ্ঞ অর্থাৎ তিনি মনের কথাকেও জানেন, তাঁর কারও পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
১১) আল্লাহ জীবের তথা কাফিরের প্রাণ নিলে খুশি হয়, কিন্তু বেদের ঈশ্বর মানব তথা জীবের উপর সেবা শুভকর্ম আর দয়া করলে খুশি হন।
এইরকম অনেক প্রমাণ আছে, কিন্তু এর দ্বারাই বুদ্ধিমান ব্যক্তি বুঝে যাবেন যে ঈশ্বর আর আল্লাহ এক নয়।
0 মন্তব্যসমূহ