আমেরিকা নিবাসী আজ এক সিলেটি ভদ্রমহিলার সাথে বেশ কিছু সময় কথা হলো। গরমের দীর্ঘ ছুটিতে সে স্বামী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরতে গেছিলো। বড় মেয়ে ফাইনাল ইয়ার কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট, আর ছোট মেয়ে এই সেপ্টেম্বেরে ইউনিভার্সিটি শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পরে দেশে ফিরে সবকিছুই বেশ ভালো ছিল, কিন্তু তাল কাটে আগস্টের শেষে বাল্যকালের বন্ধু ফাহিমার বাড়িতে “দাওয়াত” খেতে গিয়ে।
ফাহিমা একটা “ছোট্ট” আবদার করে বসে। ফাহিমা দুপুরের খাওয়া শেষে এক ঘর লোকের সামনে বাল্যকালের হিন্দু বান্ধবীর কাছে চেয়ে বসে তার বড় মেয়েকে “পুত্রবধু” হিসেবে। সিলেটি ভদ্রমহিলার কথায়, “আমি কিছু সময়ের জন্যে ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গেছিলাম। বার বার ভাবছিলাম ঠিক শুনছি তো! ফাহিমা তো জানে যে আমরা গোঁড়া হিন্দু। তারপরে কি করে ও প্রস্তাব দেয় ওর ছেলে শাফিনের জন্যে। জীবনে প্রথমবার উপলব্ধি করলাম, তেলে আর জলে কখনও মেশে না। আমরা হিন্দুরা বৃথা সে চেষ্টা করি। এতদিন দেখতাম ওরা আমাদের মেয়েদের বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে লাভ জি হা দে জড়ায়, আর এখন সরাসরি সব জেনেও বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে। ছিঃ!
তবে আমিও প্রতিশোধ নিয়েছি বাবা, ফাহিমাকে ছাড়ি নি। ওকে বলি, আমার মেয়ের তো রিলেশনশিপ আছে, তো এটা হবে না। তোর মেয়ে সালমাকে বরং আমায় দে। আমার ননদকে জানিস তো ডিভিতে নিয়ে গেছি। ওর ছেলের জন্যে মেয়ে খোঁজ করছে। তোর মেয়ে সালমা দেখতে বেশ মিষ্টি হয়েছে, ওকে দে আমার ননদের ছেলের জন্যে। দিবি?
দু-বছর আগে এমন হলে হয়তো লজ্জা বা কষ্ট পেতাম, ঘরে ফিরে কাঁদতাম। কিন্তু বিভিন্ন সনাতনী গ্রুপের মাধ্যমে তোমরা যেভাবে ওদের মুখোশ উন্মোচন করছো, এখন পাল্টা কাউন্টার করতে শিখে গেছি। Attack is the best defence.”
আমি মানুষের অভিজ্ঞতা গুলো শুনি। সত্যি বলে আর অবাক হই না। আমার মনে হয়, ওদের থেকে এর বেশি কেউ আশাও করে না। কারণ মুখে স্বীকার করার ধক না থাকলেও সবাই সত্যিটা জানে, উপলব্ধি করে। এক পাক্ষিক সম্প্রীতি রক্ষা করুন, অন্ধ বিশ্বাস করুন প্রব্লেম নেই। শুধু মাথায় রাখবেন, ফাহিমা বা শাফিনের চোখ আপনার “হিন্দু” মেয়ের উপরেই।।
0 মন্তব্যসমূহ