মুসলিম বন্ধু ও মুসলিম ম্যাডামের তিনটি চ্যালেঞ্জ

মুসলিম বন্ধু ও মুসলিম ম্যাডামের তিনটি চ্যালেঞ্জ

 

আমার ক্লাসের কিছু মুসলিম বন্ধুরা আর এক মুসলিম ম‍্যাডাম আমাকে তিনটি চ‍্যালেঞ্জ করেছে:- 


(১) অন্য ধর্মের মানুষদের কাছে সনাতন ধর্ম প্রচার ও তাদের কাছে সনাতন ধর্মের সত‍্যতা তুলে ধরার কোন অনুমতি সনাতন ধর্মে দেওয়া হয়নি। তাহলে আমরা এগুলো কেন করি? অনুমতি আছে এমন একটা প্রমাণ সনাতন ধর্মের যেকোন গ্রন্থ থেকে রেফারেন্সসহ।


(২) অন্য ধর্মের মানুষদের সনাতন ধর্মে আমন্ত্রণ জানানোর কোন অনুমতি সনাতন ধর্মে দেওয়া হয়নি। তাহলে আমরা এগুলো কেন করি? অনুমতি আছে এমন একটা প্রমাণ সনাতন ধর্মের যেকোন গ্রন্থ থেকে রেফারেন্সসহ।


(৩) অন্য ধর্মের কেউ যদি সেচ্ছায় সনাতন ধর্ম গ্রহণ করতে চায় তাকে স্বীকৃতি দেওয়া ও সনাতনী সমাজে পূর্ণমর্যাদা দেওয়ার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে আমরা কেন অন্য ধর্মের মানুষদের গ্রহণ করি? অনুমতি আছে এমন একটা প্রমাণ সনাতন ধর্মের যেকোন গ্রন্থ থেকে রেফারেন্সসহ।


আমি তাদের তিনটি কথারই বিরোধীতা করেছি বলেছি অনুমতি আছে কিন্তু তারা বল্ল তোমার মত সব হিন্দুরাই শুধু মুখে বলে আজ পর্যন্ত কোন সনাতনী মহাপণ্ডিতও রেফারেন্সসহ প্রমাণ দিতে পারেনি।


বিঃ দ্রঃ আমাকে ক্লাসের একটা মুসলিম মেয়ে গত দুই মাস আগে একটা হিন্দু ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। তারা মন্দিরে বিয়ে করেছে। ছেলের পরিবার বর্তমানে মেয়েটিকে মেনে নিয়েছে আর সেটা দেখেই তাদের জ্বলছে।


ধর্মজ্ঞানী দাদাদিদিগণ আমার মুসলিম বন্ধুদের চ‍্যালেন্সের জবাব দিতে আমাকে সাহায্য করুন, নয়তো তাদের কাছে লজ্জায় মুখ লুকাতে হবে।


যেহেতু আমার মুখের কথা তাদের কাছে গ্রহণযোগ‍্য নয় তাই রেফারেন্সসহ উত্তর আশা করি


++++++++++


ইন্দ্রং বর্ধন্তো অপ্তুরঃ কৃন্বন্তো বিশ্বমার্যম্।

অপঘ্নন্তো আরাবৃণঃ।। (ঋগ্বেদ: ৯.৬৩.৫)


সরলার্থ: হে মনুষ্য! ঈশ্বরের মহিমা বৃদ্ধি করো। ধর্ম থেকে বিচ্যুত হওয়া জীবকে যথাযোগ্য শিক্ষা দাও। বিশ্বের সকলকে আর্য করো।


(বি:দ্র: সনাতন ধর্মের মানুষদের আর্য বলা হয়। যিনি সত্য, অহিংসা, পবিত্র, সদাচার পরায়ণ; তিনিই আর্য তথা সনাতনী।)


++++++++++


সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।


অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।


# অনুবাদঃ সর্বধর্ম পরিত্যাগ করে একমাত্র আমার শরণ গ্রহণ কর; আমি তোমাকে সর্বপাপ হতে মুক্ত করব, তুমি শোক করো না।

গীতাশ্লোক ১৮/৬৬


++++++++++


নমস্কার দিদি। ধর্ম একটাই তাহা সনাতন। তাই অন্য ধর্ম নয় বরং মত। এখন কেউ যখন ধর্মচ্যুত হয় তাকে ধর্মে ফিরিয়ে আনার উপদেশ পবিত্র বেদ এ বলা হয়েছে,


ইন্দ্রং বর্ধন্তো অপ্তুরঃ কৃন্বন্তো বিশ্বমার্যম্।

অপঘ্নন্তো আরাবৃণঃ।। (ঋগ্বেদ: ৯.৬৩.৫)


সরলার্থ: হে মনুষ্য! ঈশ্বরের মহিমা বৃদ্ধি করো। ধর্ম থেকে বিচ্যুত হওয়া জীবকে যথাযোগ্য শিক্ষা দাও। বিশ্বের সকলকে আর্য অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ করো।


বিষয়টা এমন যে, কেউ ভুল পথে চললে তা ন্যায় বা সঠিক পথে নিয়ে আসা। আর বিভিন্ন ধর্মের কনসেপ্ট এটা তাদের আবিষ্কার। সনাতন শাস্ত্র ধর্ম একটাই সেটা ধর্ম। তাহাই সনাতন কারণ তা ছিল, আছে এবং থাকবে। সনাতন ধর্ম কেউ গ্রহণ করে না বরং ফিরে আসে।


++++++++++


ওনাকেও আপনি একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিন।


মৃত্যুর পর ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী মেয়েদের কি হবে? দাসী হবে না-কি হুর?


সময় নেই নয়তো আরোও কিছু প্রশ্ন দিতাম।


++++++++++


এরকম সাম্প্রদায়িক ম্যাডামের বিরুদ্ধেই সবার আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷

এইসব সাম্প্রদায়িক ম্যাডাম বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিষফোঁড়া।


আর সনাতন ধর্ম সৃষ্টির শুরু থেকে আছে। সনাতন ধর্মের আগে পৃথিবীতে কোনো ধর্মই ছিলোনা। তাই সনাতন ধর্মে অন্য ধর্মের কোনো কথাই নেই।


ধর্ম শব্দটিই আদতে সনাতন ধর্ম থেকে নেওয়া।


++++++++++


যেখানে সনাতনই একমাত্র ধর্ম

সেখানে এসব নিয়ম থাকা বিলাসিতা।

পৃথিবীর প্রথম ও একমাত্রই ধর্ম হচ্ছে সনাতন ধর্ম। বাকি সব ধর্মগুলো, অনেক নিয়ম ও সিস্টেম ইনক্লুড করে অর্গানাইজড করা একেকটা মতবাদ মাত্র। কারণ, সনাতনের পর পৃথিবীর বাকি যত ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে, সবগুলোর মূল কনসেপ্ট বা দর্শন সনাতনের কোন না কোন অংশের সাথে মিলে যায়। কেউ যদি এখন দাবি করে, সৃষ্টিকর্তা সময়ের ও যুগের পরিবর্তনের কারণে মানুষের জন্য সময়োপযোগী করে ধর্ম সৃষ্টি করে। তাহলে, ওই ব্যক্তির বক্তব্যের সূত্রানুযায়ী সৃষ্টিকর্তার মানুষের জন্য পরবর্তীতে করা সকল ধর্মের সিদ্ধান্ত সৃষ্টিকর্তার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। কারন, সৃষ্টিকর্তা পরবর্তীতে আরো ধর্ম যদি তৈরী করেই থাকেন, তাহলে পূর্বে সৃষ্টি করা প্রথম ধর্মের সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিলো?? সৃষ্টিকর্তা তাহলে পূর্বের সিদ্ধান্ত ভুল নিয়েছেন?? সৃষ্টি কর্তা ভুল হতে পারেন কি করে??


সুতরাং, পৃথিবীর প্রথম ও শেষ এবং একমাত্রই ধর্ম হলো সনাতন ধর্ম। বাকিসব কিছু নিয়ম দিয়ে তৈরী মতবাদ মাত্র।


++++++++++


তাদের কাছে প্রথম প্রশ্ন রাখবেন যেই “ধর্ম” শব্দটা ব্যবহার করছে সেটি কোন ভাষার শব্দ?


সনাতন ধর্ম অনুসারে সকলে মানুষ হিসেবেই জন্মগ্রহণ করে, তৎকালীন সময়ে ধর্ম আর অধর্ম ছিল, এইসব নব্য রিলিজিয়নগুলো নয়। সনাতন ধর্ম গ্রহণ করা যায়না, সনাতন ধর্মে অধর্ম ত্যাগ করে প্রত্যাবর্তন করা যায়।


++++++++++


প্রথমত আমাদের ধর্মের নাম সনাতন ধর্ম, সনাতন শব্দের অর্থ চিরন্তন এক ধর্ম, এই ধর্ম শুধু মানুষের না বিশ্বের প্রতিটা কণার ধর্ম, কেউ বলে না একটা কণার ধর্ম ইসলাম বা খ্রিস্টিয়ান, কিন্তু সনাতন ধর্মের ক্ষেত্রে মানুষ কেনো, বিশ্বের প্রতিটা কণার ধর্ম এটা, যেহেতু এই ধর্ম বিশ্বের সবথেকে প্রাচীন ধর্ম, আর ধর্ম বলতে একটাই বোঝায় তাই আমাদের বেদাদি শাস্ত্রে অন্য কোনো ধর্মের উল্লেখ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক, তাই সনাতন ধর্মে আসতে গেলে শুদ্ধিকরণ লাগে, কারণ সারা বিশ্ব ই সনাতন, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে সেটা ভুলে গিয়ে অন্য ধর্ম নিয়ে নেই, তাই শুদ্ধিকরন বলা হয়, বা গৃহ প্রত্যাবর্তন।


++++++++++


ইন্দ্রং বর্ধন্তো অপ্তুরঃ কৃন্বন্তো বিশ্বমার্যম্।

অপঘ্নন্তো আরাবৃণঃ।। (ঋগ্বেদ: ৯.৬৩.৫)


সরলার্থ: হে মনুষ্য! ঈশ্বরের মহিমা বৃদ্ধি করো। ধর্ম থেকে বিচ্যুত হওয়া জীবকে যথাযোগ্য শিক্ষা দাও। বিশ্বের সকলকে আর্য করো।


(বি:দ্র: সনাতন ধর্মের মানুষদের আর্য বলা হয়। যিনি সত্য, অহিংসা, পবিত্র, সদাচার পরায়ণ; তিনিই আর্য তথা সনাতনী।)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ