সনাতন ধর্মাবলম্বী অভিভাবকদের সচেতনতা বিষয়ে কিছু কথা

সনাতন ধর্মাবলম্বী অভিভাবকদের সচেতনতা বিষয়ে কিছু কথা


নমস্কার 🙏

 অভিভাবকদের সচেতনতা বিষয়ে কিছু কথা বলব।


টিউশনি করার সুবাদে বিভিন্ন সময়ে হিন্দু-মুসলমান উভয় পরিবারের শিক্ষার্থীদেরই পড়ানোর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রতিটি হিন্দু বাসাতেই কমন একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি, সেটা হচ্ছে এরা নিজেদের বাচ্চাদের থেকে ভালো রেজাল্ট চায় যেকোনো মূল্যে। পাশাপাশি এদেরকে ধর্মীয় জ্ঞান দেওয়ার ক্ষেত্রে "বিগ-জিরো"। প্রায় প্রতিটা পরিবারেই এই বিষয়টি খেয়াল করেছি। 


অন্যদিকে মুসলমানদের ক্ষেত্রে তারা যা-ই করুক, নামাজ মিস দিতে দেয় না। এমন বহুবার হয়েছে পড়াশোনা বাদ দিয়ে নামাজ পড়তে উঠে চলে গেছে বা নামাজের জন্য আমার ৩০ মিনিট পর্যন্তও কোন ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাদের একটাই কথা, ইহকালের জীবন কিছুই না, পরকালই প্রধান। 


মুসলমানদের আরেকটি বিষয় খুব ভালভাবে খেয়াল করেছি, যারা একটু ধর্মপ্রাণ তারা বাচ্চাদের ধর্মীয় জ্ঞান দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে।


প্রতিটি মুসলমান ছেলে বা মেয়ে ছোট থেকেই বুঝে যায় হিন্দুরা কাফের। হিন্দুদের সাথে একসাথে বসাও পাপকাজ।। অথচ হিন্দুরা ২০-২৫ বছর বয়সে এসেও নিজের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান শূন্য। 


একটা ঘটনা বলি-

আমার মুসলিম বন্ধু একটা ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া হিন্দু মেয়েকে পড়ায়। তো মেয়ের জন্য ছেলে টিউটর রেখেছে টোটাল ৩ জন। বন্ধুর কাছে জানলাম তিনজনই মুসলিম। অবাকই হলাম একটু, জিজ্ঞাসা করলাম এর কারণ কখনো জানতে পেরেছিস কি-না যে হিন্দু হয়ে তিনটা মুসলিম টিচার রেখেছে। তার উত্তর শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। 


উক্ত মেয়ের মায়ের ভাষ্য অনুসারে -

হিন্দু শিক্ষক দিলে মেয়ে প্রেম করে পালিয়ে যাবে। এজন্যই সবগুলো মুসলিম টিচার রেখেছে যাতে মেয়ে প্রেম না করতে পারে। অবস্থাটা চিন্তা করেন একটু। এই মেয়ে যদি মুসলিম ছেলের সাথে পালিয়ে যায়, এই অভিভাবক কি করবে?


প্রতি ক্ষেত্রেই হিন্দু অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের সঠিক জ্ঞান দিতে পারেন না। আমার একটা স্টুডেন্ট আমাকে বলেছিল, স্যার আমি বড় হলে খ্রিস্টান হয়ে যাব। অথচ এদের টাকার অভাব নেই, অভাব নেই কোনদিকেই, অভাব শুধু বাবা-মা ধর্মীয় শিক্ষাটা দেয় না।


অভিভাবকদের এখন বোঝা উচিত দিন পাল্টেছে। মানুষ সবাই সমান এই কথা এখন আমাদের জন্য অভিশাপ। ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের সঠিক জ্ঞান দেন।


শুধু ধর্মীয় জ্ঞানই না,পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানও দেন। যাতে এরা প্রকৃতপক্ষে জাজ করতে পারে।


আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, অভিভাবকেরা অবশ্যই চেষ্টা করবেন শিক্ষক রাখার পূর্বে সেই শিক্ষক সেক্যুলার বা ধর্মবিমুখ কি-না যাচাই করে নেওয়ার। সেক্যুলার হিন্দু হলে এরা পরিবারের মানুষের বিরুদ্ধেও আপনার সন্তানের মগজকে চুবিয়ে রাখবে।


আমার যতগুলো হিন্দু স্টুডেন্ট আছে সবাইকে ইসলামের অন্ধকার দিকের কথা সুন্দরভাবে বুঝিয়েছি।সনাতন ধর্মের আলোকিত বিষয়ে দিনের পর দিন আলোকপাত করেছি। এখন তারা সবাই-ই মোটামুটি ধর্ম নিয়ে খুবই সচেতন।


যাঁরা টিউটর আছেন বা যাদের সুযোগ আছে অন্যকে জানানোর তারা চেষ্টা করবেন নিজেদের ধর্মের পাশাপাশি ইসলামের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরতে। মুসলমানরা হিন্দু বিদ্বেষী তৈরী করেই হিন্দুদের নামে অপবাদ ছড়িয়ে।


আপনারা চেষ্টা করবেন মুসলমানদের প্রকৃত এবং ঘৃণিত ইতিহাস তুলে ধরতে। দেখবেন ধীরে ধীরে সবাই-ই ধর্মমুখী হচ্ছে। এভাবেই সনাতন ধর্ম পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ