লাভ জিহাদের পরিণতি ও সমকাল সম্পর্কে কয়েকটি ভাবনা

লাভ জিহাদের পরিণতি ও সমকাল সম্পর্কে কয়েকটি ভাবনা


গত ২৮শে মে ২০২৩ তারিখে দিল্লিতে প্রকাশ্যে ১৬ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাক্ষী নামের সে ১৬ বছরের মেয়ের সাথে ২০ বছরের সাহিলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। হত্যার আগের দিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং পরের দিন বন্ধুর বাসা থেকে আসার সময় সাহিল পথ আটকে তাকে ছুড়ি দিয়ে জঘন্যভাবে কুপিয়ে দেয়। এরপর এক পর্যায়ে ছুড়িটি তার কপালে গেঁথে গেলে, বিশাল পাথর খন্ড দ্বারা মাথাটা থেতলিয়ে দেয়।


ভাবার বিষয় হলো, আশে পাশে অনেক মানুষ এ ঘটনা দেখেও নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে,  কেউ বাধা দিচ্ছে না অথবা সেটাকে দৃষ্টিপাতও করতে চাইছে না।


মূল পয়েন্টে আসি, মুসলিম সাহিল সরফরাজের হাতে লাল সুতো বাধা (পুরানো অপরাধের সময় গ্রেফতারের ছবি)। অর্থাৎ, সে হিন্দু ছেলে সেজেই, নাম লুকিয়ে হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেম করতো।


LOVE JIHAD (লাভজিহাদ) এর সবচেয়ে ভয়ংকর দিকগুলো প্রতিদিনই প্রকাশ পাচ্ছে। অথচ, এরকম জিহাদ আগেও প্রচুর হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারতে, পাকিস্তানে। মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং হাতে হাতে ফোন থাকার কারণে এখন যেভাবে দ্রুত জানা যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে বীভৎসতা, আগে সেগুলো তেমন প্রচার হয়নি। 


LOVE JIHAD কে সুশীল সমাজ যতই প্রোপাগাণ্ডা বলুক না কেন, এটা কিন্তু মোটেই প্রোপাগাণ্ডা নয়, তা আমরা সবাই দেখছি। বোরখা না পড়ার কারণে, স্ত্রীকে হত্যা। মুসলিম পরিচয় জানার পর প্রেমিকাকে হত্যা, ভালোবেসে ধর্মান্তরিত করে সামান্য ঝগড়া হতে কেটে টুকরো করে ফ্রিজে, স্যুটকেসে ভরে নর্দমায় ফেলে দেওয়া। লিভ টুগেদার করে রাতের আঁধারে জবাই করে হত্যা করা ইত্যাদি বর্বরোচিত হত্যা থেকেই প্রকাশ পায়, এগুলো কোন সাধারণ হত্যা নয়। তীব্র কোন অজানা হিংসা থেকে তারা এরকম হত্যার রাস্তা বেছে নিয়েছে। মুখমন্ডল থেথলে দেওয়া অথবা দেহকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা থেকে প্রমাণিত হয়, তাদের যত ক্ষোভ হিন্দু মহিলাদের দেহ ও মুখের উপর। অপরাধবিজ্ঞানের ভাষায় এরূপ pre planned murder গুলোর বীভৎসতা তারা ছোটকাল থেকেই দেখে দেখে অভ্যস্ত। 


লাল সুতো, তিলক কাটা ছদ্মবেশী জিহাদীর সকল চাহিদা আমাদের বোনগুলোর উপর। তাই, হাজার হাজার গালাগাল ও অপমানের পরও, ফেসবুকে রিপোর্ট খাওয়ার পরও এরকম পোস্ট গুলো দিয়ে যাই বারবার; শুধুমাত্র আরেকটা সাক্ষী যেন ভালোবাসার বিনিময়ে উন্মুক্ত রাস্তায় বলি না হয়...🙏


ভিডিও টা খুবই স্পর্শকাতর। তাই দুর্বল চিত্তের বোনদের দেখা উচিত নয় বলে অনেকে মতামত দিবেন। কিন্তু, আমি বলবো, বাস্তবে যা হচ্ছে, তা না দেখলে আপনি তাদের নিষ্ঠুর হিংসার মাত্রা অনুধাবন করতে পারবেন না। এরপরও,  সমস্যা থাকলে লিংক ওপেন করবেন না।🙏


সতর্কতা: সংযুক্ত ভিডিওটির ভয়াবহতা অনেকের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে


ভিডিওটা দেখতে এখানে ক্লিক করুন


সংগৃহিত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ