পৃথিবীর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিমদের কানেক্টিভিটি অন্য পর্যায়ের।
ম্যানচেস্টার, কেমব্রিজ এমনকি পিএইচডি স্টুডেন্টদের মধ্যেও হিন্দু মুসলিম বিভাজন রীতিমতো স্পষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে মুসলমানরা চাপে থেকে এসব বাইরে আনতে পারে না, তবে তাদের অন্তরে অমুসলিম বিদ্বেষী ব্যাপারটা তীব্রভাবে থেকে যায়। এজন্যই কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস্ প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়েও এরা তালিবান আইএসএসে যোগ দেয়। এসব দেশে এদের সংখ্যা খুবই সামান্য, অথচ এদের কোরাম মারাত্মক স্ট্রং। কারণ একটাই; সবাই মুসলিম।
মূল ঘটনায় আসি-
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। নবীন বরণ, সাপ্তাহিক ধর্মীয় পরিক্রমা এবং পদ নিয়ে মারামারি করা এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থা এবং কিভাবে সংগঠন থেকে হিন্দুদের সর্বোচ্চ সাহায্য করা যায় সে বিষয়ে কোন আলোকপাত করা হয় না।
সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় সংগঠনগুলো যে এমন সেটা বলছি না, তবে সিংহভাগই এমন। যেহেতু সংগঠন চলে মানুষ দ্বারা সুতরাং আমরা হিন্দুরাই খারাপ।
এই সংগঠনগুলোর প্রথম কাজ ছিল যেসব হিন্দু ছেলে বা মেয়ে অন্যধর্মের ছেলের সাথে রিলেশন করছে সেটা নিয়ে তাকে বাস্তবতা বুঝানো। এসব কাজ একার পক্ষে করা সম্ভব হয় না। কারণ একা মানেই বোকা।বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন বাধা আসে। সংগঠিত হয়ে কাজ করলে এসব লাভ জিহাদ অনেকাংশে কমানো সম্ভব ছিল।
আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর বহু হিন্দু মেয়ে লাভ জিহাদ অথবা মুসলিমের সাথে লিভ টুগেদার করছে। অথচ এদেরকে বোঝানো গেলে এরা ফিরে আসতো।
আমি কয়েকজনের সাথে কথা বলে দেখেছি,এদের ভাষ্য এমন-
কোন হিন্দু ফ্রেন্ড জানার পরও এগুলো সম্পর্কে বাস্তবতা বোঝায় না। রিলেশনে যাওয়ার সময় আবেগের বশে অনেক কিছু বুঝেও বুঝতে পারি না। তখন কেউ এসব নিয়ে বোঝালে হয়তো ফেরা সম্ভব হতো। বরং হিন্দুরাই এগুলোতে বেশি উৎসাহ দিয়েছে।
আসলেই এই কথাগুলো সত্যি। কোন হিন্দু ছেলে বা মেয়ে কখনো আরেকজনকে এসব ব্যাপারে সামান্য পরিমাণও অবগত করে না।
আরেকটা ব্যাপার বলি-
একটা হিন্দুকেও দেখি না এরা হামলা বা বিদ্বেষমূলক আচরণে মুখ খোলে। এর কারণ অহিন্দু বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে। অথচ ভারতের মুসকানের ঘটনা দেখেন, কিভাবে এত এত মানুষের সামনে ডিফেন্ড করে গেল।
আমি একটা জিনিস বুঝি না, বিড়াল, কুকুর শেয়ালের মত পালিয়ে বেঁচে কি লাভ!
এত ভয় নিয়ে বেচে থাকার মধ্যে সার্থকতা কোথায়?
ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে নিজের রিয়েল আইডিতে পোস্ট দিয়ে বন্ধু, বান্ধব সব হারিয়েছি। থ্রেট পেয়েছি, তারপরও থামি নাই। অবশ্যই দূরত্ব বজায় রেখে বলেছি, যাতে সামগ্রিক দোষারোপ না হয়। ১-২ জন করতে করতে ১০০-২০০ জন সঠিক পথে আসবেই।
ভয় পেয়ে চুপচাপ বসে থাকলে কেউ আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে না। পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মত অবস্থা হবে যদি এখনই জেগে না ওঠেন সবাই।
কত বন্ধুকে বলেছি একটু সচেতনতামূলক কথাবার্তা লিখতে। অথচ তাদের ভাষ্য এমন-
আমি একা লিখে কি করব, এর থেকে ভালো আমি যেমন আছি তেমনই থাকি; ভালোই তো আছি।
অথচ একজন থেকেই যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয় এটা তারা বোঝে না। এরকম স্বার্থপর বন্ধুকে সপাটে চড় মেরে সম্পর্ক ছিন্ন করেন, কারণ আপনি আক্রান্ত হলেও এ এগিয়ে আসবে না।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, যারা সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন বা অন্যকে জানানোর সুযোগ আছে তারা প্রকৃত জ্ঞান দিয়ে মানুষকে বুঝান। ব্যক্তিগতভাবে যাদের সাথে আপনার ঘনিষ্ঠতা আছে বা পরিচয় আছে তাদের সামনে মুসলিমদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেন, দেখবেন মুসলিম প্রেম নিমিষেই গায়েব হয়ে যাবে। তারা যেভাবে আমাদের নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেয়, আমরা সেরকম তাদেরকে নিয়ে সঠিক তথ্য দিব। তাদের সঠিক তথ্যই তাদের ঘৃণিত ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়।
সংগৃহিত
0 মন্তব্যসমূহ