বাংলাদেশে হিন্দু সম্পত্তি আইন নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কে একজন হিন্দু নারীর মতামত

বাংলাদেশে হিন্দু সম্পত্তি আইন নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কে একজন হিন্দু নারীর মতামত


#বোনের_লেখাটা_একবার_পড়বেন 🙏🙏


সম্প্রতি হাইকোর্ট হিন্দু নারীদেরকে তার পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার, বিহাহ-বিচ্ছেদ, দত্তক গ্রহণ বিষয়ে কেন অধিকার দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। আমি বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিষয়টা পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। 

পিতামাতার কাছে সব সন্তানই সমান তাই পিতার সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ের উভয়েরই অধিকার রয়েছে ৷ এ ব্যাপারে বেদে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেটার কিছু ভিন্নতা দেখা যায় একটা দেশে বসবাসরত ঐ সম্প্রদায়ের নিজস্ব সমাজ ব্যবস্হা ও সংস্কৃতির উপর৷ ভারতে পিতার সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ের উভয়ের অধিকার থাকলে-ও বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দুদের ক্ষেত্রে সাধারণত ছেলে থাকা অবস্থায় মেয়েরা পিতার সম্পত্তির ভাগ পাচ্ছে না৷ এটাই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। 


এই যে আমরা হিন্দু মেয়েরা পিতার সম্পত্তির ভাগ পাচ্ছি না তাতে কী এতদিন ধরে সমস্যা হয়েছে বা হচ্ছে? উত্তর হচ্ছে না৷ কোনো হিন্দু মেয়ে/ হিন্দু মেয়েদের সংগঠন কী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে পিতার সম্পত্তির ভাগ পাওয়ার জন্য? উত্তর হচ্ছে না৷ তাহলে ওরা কারা যারা হাইকোর্টে রিট করেছে? 


ওরা হচ্ছে তারাই যারা গত দুর্গাপূজায় যখন সিরিজ হামলা হয়েছিল তখন ১৯ টা নপুংসক হিন্দু এমপি থাকা সত্ত্বেও কারও সাহস হয় নি সংসদে দাঁড়িয়ে একটা প্রতিবাদী ভাষণ দেওয়ার। দেশে নিয়মিত বিরতিতে চলা হিন্দুদের উপর নির্যাতন, জমি, ঘর-বাড়ি দখলের বিরুদ্ধে কোনো জোড়ালো ভূমিকা রাখতে পারে নি, পারে নি কোনো আইন পাশ করতে। কিন্তু উত্তরাধিকার আইন পাশ করতে এরা তৎপর। 


এরা হচ্ছে দালাল। এদের দ্বারা সাধারণ হিন্দুদের কোনো লাভ হয় নি আর হবেও না৷ সাধারণ হিন্দুদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে এরা নিজেদের আখের গোছাচ্ছে, নিজেদের স্বার্থ হাছিল করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য সংগঠন একটা ব্যর্থ সংগঠন, এড. রানা দাশগুপ্ত একজন চিহ্নিত দালাল; আছে অনলাইনের আরো কিছু সুবিধাবাদী একটিভিস্ট৷ 


এই আইন করতে গিয়ে তারা দেশে বসবাসরত প্রায় ৮% হিন্দুদের মতামত নিয়েছে / অনলাইন কোনো পল করেছে?


সারা বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দুুরা কী তাদের উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করার অনুমতি দিয়েছে বা দিলে কখন? না দিলে কোন ক্ষমতা বলে তারা হাইকোর্টে রিট করল? 


উত্তরাধিকার আইন পাশ হলে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হবে।


১। হিন্দু নারী-নির্যাতন ব্যাপকভাবে বাড়বে( সম্পত্তির লোভ)

২। মধ্যবিত্ত পরিবারে ভাই-বোনের সম্পর্ক নষ্ট হবে।

৩। বিবিধ


তাই প্রতিটি সচেতন হিন্দুর উচিত এ ব্যাপারে জোড়ালো ভূমিকা পালন করা ও প্রতিবাদ করা৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হিন্দুদের উত্তরাধিকার আইন সংশোধন হলে হিন্দুদের ক্ষতি ছাড়া কোনোই লাভ হবে না, অস্তিত্বও সংকটে পড়তে পারে।



লেখা: শ্রী**** পাল

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ