মুসলমানদের "গরুর দুধ খাও তবে মাংস খাও না কেন" প্রশ্নের উত্তর

মুসলমানদের "গরুর দুধ খাও তবে মাংস খাও না কেন" প্রশ্নের উত্তর


বিধর্মীদের প্রশ্ন: তোমরা গরুর দুধ খাও তবে মাংস খাও না কেন ? গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা কেন পায়ে দাও? ওটা তো অশুদ্ধ।

আমাদের উত্তর: আপনারা এবং আমরা সকলেই মায়ের দুধ পান করি। কিন্তু এজন্য নিশ্চই মায়ের মাংস খাব না! শিশুকালে আমরা মায়ের দুধের পাশাপাশি গোরুর দুধ পান করি। তাই গোরুকেও মাতৃরূপে ভালোবাসি। সেজন্য গোরুর মাংস খাই না। এছাড়া আমাদের ধর্মেও এই উপকারী প্রানীটিকে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রমান: ঋগ্বেদ- ৮/১০১/১৫, যজুর্বেদ- ১৩/৪৯, অথর্ববেদ- ১০/১/২৯; ইত্যাদি।

সনাতন ধর্মে কিছু বিষয় সর্বদা শুদ্ধতার স্থানে রাখা হয়েছে। যেমন: দাঁত অশুদ্ধ, কিন্তু হাতীর দাঁত শুদ্ধ। চামড়া অশুদ্ধ, কিন্তু হরিণের চামড়া শুদ্ধ (গীতা: ৬/১১)। একটি হরিণের মৃত্যুর পর তার চামড়া ব্যবহার করা হত। গরুর চামড়া অশুদ্ধ হলেও গরুর মৃত্যুর পর যদি তার চামড়া সমাজ কল্যনে কাজে আসে তখন স্বয়ং সেটা শুচির স্থান লাভ করে। সনাতন ধর্মের মাহাত্ম্য এখানেই। সমাজ কল্যানে কোন কিছু যদি ধর্মের বিপরিতে যায় তবুও সেটি গ্রহনযোগ্য। যেমন: মিথ্যা বলা পাপ। কিন্তু কারো জীবন বাঁচাতে মিথ্যা বলা যাবে। এটাকে আপদকালীন ধর্ম বলা হয়। বর্তমান বাজারে অধিকাংশ জুতা চামড়ার তৈরি। এই জুতা পায়ে দিলে মানুষের পাঁ সুস্থ থাকে। তাই এটি গ্রহণ করা যায় আপদকালীন ধর্ম বা সমাজ কল্যানের দৃষ্টিতে। ধন্যবাদ।

© ॐ শাস্ত্রপৃষ্ঠা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ