অনেক সময় মুসলমানরা সনাতন ধর্ম সম্পর্কে নানারকম প্রশ্ন করে। তাদের প্রশ্নের পিছনে উদ্দেশ্য থাকে সনাতন ধর্মকে হেয় করা। তাদের প্রশ্নগুলো বেশিরভাগ বানানো, বা মিথ্যা তথ্যের উপর নির্ভর করে তৈরি করা। আপনি ওদেরকে বিনিময়ে নিচের প্রশ্নগুলো করতে পারেন। রীতিমতো রেফারেন্স দিয়ে প্রশ্নগুলো তৈরি। ফলে প্রশ্নগুলোকে তারা উপেক্ষা করতে পারবে না।
মুসলিম ভাইয়েরা মন খারাপ করবেন না। শুধু জানার জন্য জিজ্ঞাসা করতেছি। দয়া করে সঠিকটা জানাবেন-
১). যদি আল্লাহকে কেউ নাই দেখে থাকে (Quran 42:51, 6:102-103), তার লিঙ্গ নির্ধারন সম্ভব নয় ! তাহলে তাকে কেন পুরুষ বাচকে আহবান করা হয় (Quran 42:51, 6:102-103) ?
২). কোন কথা আস্থাযোগ্য না হলেই মানুষ শপথ করে / কসম কাটে ! তবে কেন আল্লাহকে কুরানে এতোবার কসম কাটতে হলো (Quran 57:1-4, 52:1-6, 53:1, 56:75, 70:40, 74:31-34, 84:16-18, 89:1-4, 92:1-3, 95:1-3 … ইত্যাদি) ?
৩). কুরানের আয়াত (7:1) ‘আলিফ লাম মিম’ এর অর্থ কি সেটা কোন মুসলিমই জানে না ! তাহলে এটাকে কুরানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মানে কি যেখানে কুরানেই বার বার বলা হয়েছে যে তা সহজ ভাবে নাজিল হয়েছে যেন সবাই বুঝতে পারে (Quran 12:2, 43:3, 54:32, 54:40, 54:22, 54: 17, 24:18) ?
৪). কুরানের আয়াত (Quran 6:101) অনুযায়ী আল্লাহর কোন সন্তান থাকতে পারেন না যেহেতু তাঁর কোন সঙ্গী নেই ! আবার এও বলে যে মেরির গর্ভে সন্তান আসে কোন পিতা ছাড়াই (Quran 19:20-21) কিভাবে মেরির ক্ষেত্রে এমন একটা ব্যাপার ঘটলো যেটা আল্লাহ পারে না ? এটা কি আল্লাহর ক্ষমতার (Omnipotence means unlimited power, capable of doing absolutely anything) দিকে প্রশ্ন তোলে না ?
৫). কুরান ‘বৈদিক’ বা ‘বৌদ্ধ’ ধর্মের মত গুরুত্বপুর্ণ ধর্ম গুলো বাদ দিয়ে কেন এমন একটা ধর্মের উল্লেখ করে যার অস্তিত্ব বিলুপ্ত (যেমন Sabians : Quran 2:62) এর মানে কি এই দাড়ায় না যে আল্লার সেসকল ধর্ম সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিলো না ?
৬). মুসলিম দের দাবী অনুসারে কুরান যদি মানুষের জন্যে সৃষ্টকর্তার পাঠানো জীবন বিধানই হবে, তবে কেন এতে পুরো একটা সুরা জুড়ে স্থান পাবে Abu Lahab নামক তৎকালিন এক ব্যক্তির প্রতি আল্লাহর আক্রোশ এবং অভিশাপ পূর্ণ বানী (Quran 111:1-5) এটা কি একজন সৃষ্টিকর্তার জন্যে হাস্যকর নয় ?
৭). কুরানের ভাষ্যমতে, এটা যদি আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো রচিত হত তবে তাতে বৈপরিত্য দেখা যেত (Quran 4:82) ! কিন্তু কুরানে প্রচুর আয়াত খুঁজে পাওয়া যায় যেগুলো একটার সাথে অন্যটা সাঙ্ঘর্ষিক (যেমন Quran 29:46 এবং 9:29) ! এর মানে কি এই নয় যে কুরান আসলে মুহম্মদেরই রচনা ?
৮). সুরা ফাতিহা’র (Quran 1:1-7) আয়াতগুলো দ্বারা মুহম্মদ কর্তৃক আল্লাহর প্রশংসা করাটাকেই বোঝায় ! তাহলে কুরান কি করে আল্লাহর থেকে পাঠানো বানী হতে পারে ?
৯). কুরানে রয়েছে আল্লাহর প্রতি প্রচুর প্রশংসা / গুন বাচক শব্দ (Quran 2:37,54,105,115,127-129,137,143,148, 173,182,199,209,126-128 …. ইত্যাদি) ! কোন সৃষ্টি কর্তার দ্বারা কি এমন (মানুষের মত) হাস্যকর কাজ করা সম্ভব (নিজের ঢোল নিজে পেটানো) ?
১০). কুরান আল্লাহর পাঠানো বানী হলে তাতে সর্বদা থাকবে প্রথম পুরুষ বাচক শব্দ (যেমন Quran 2:3 8) কিন্তু কুরান জুড়েই রয়েছে তিনি/যিনি/তাঁর/আমরা/আল্লাহ (নিজের নাম) ইত্যাদি অজস্র ব্যাকরণগত ভুল (Quran 1:1-7, 2:7-10,26-29,31,33, …. 3:2-9,18-21,32-34,40-41,50-55,62-63,70,73-74, …. 4:1,5,11-15,17,19,26-29,32,34,36, …. 5:7-8,11-12,47,51,54-56, …. ইত্যাদি) ! এ থেকে কি এটাই প্রতিয়মান হয় না যে কুরান নিরক্ষর মুহম্মদের নিজের মুখের কথা ?
যদি কোনো মুসমানের ক্ষমতা থাকে তাহলে এই প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে যেন আমাকে তুষ্ট করে।
0 মন্তব্যসমূহ