কুলাঙ্গার মেয়েরা মানবরূপী আগাছা - তৃপ্তি রায়

কুলাঙ্গার মেয়েরা মানবরূপী আগাছা- তৃপ্তি রায়

~ হিন্দু মেয়েরা একে একে প্রেমের ফাঁদে পড়ে মুসলিম ছেলেদের হাত ধরে চলে যাচ্ছে । আর বিভিন্ন সনাতনী সংঘ, কমিটি তাদের উদ্ধার কাজে নামছেন। আচ্ছা উদ্ধার করে কি করবেন ? 


সে তো নিজে ইচ্ছে করে একজনের হাত ধরে চলে গেছে। নিজের দোষের জন্য অন্যকে দায়ী করতেছেন কেন ? তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে কি আমার ধর্মের নিরীহ কোন দাদার গলায় ঝুলাবেন?  বিয়ে দেওয়ার সময় বলবেন তার মত সতী নারী তার মত ভাল মানুষ আরো কত কি মিথ্যা কথা বলে আরেকজনের সাথে বিয়ে দিয়ে ঘর বাঁধাবেন কিছুদিন পর তার ঘরের ও মানসম্মান শেষ করে আরেক জনের হাত ধরে চলে যাবে। 


এরকম নষ্টা কুলাঙ্গার মেয়েদের পিছনে সময় না দিয়ে চুপ করে বসে থাকেন। যেগুলার পরিবার অসচেতন, ধর্মীয় শিক্ষার অভাব, বেশি ভালোবাসার টান, বেশি আবেগের বশীভূত হয়ে অন্য ধর্মের ছেলের সাথে পরিবারকে ছেড়ে, প্রতিবেশীদের ছেড়ে, নিজের বাবা মায়ের মানসম্মান ক্ষুন্ন চলে যায় এবং কিছুদিন পরে যখন উসটা খায় তখন ভালোবাসা আর জীবন সম্পর্কে ভালো বুঝতে পারে ।


শ্রদ্ধা থেকে ববিতা ভারত থেকে বাংলাদেশ দিল্লির  আফতাবের সাথে 'ঘর' করবে বলে ধর্ম ত্যাগ করে মহারাষ্ট্রের শ্রদ্ধা বাপ-মাকে ছেড়ে প্রেমের জিহাদি আফতাবের হাতে খুন হয়ে, ৩৫ টুকরো হয়ে জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । আমাদের ববিতা আবার বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে গিয়ে ৩ কাটা হল । এরকম মেয়েদের এই পরিণতিতে  হিন্দুত্ববাদীরা কেন শোক প্রকাশ করছে ? এতে তো  হিন্দু সমাজ থেকে আবর্জনা মুক্ত হয়েছে । 


আমাদের ধর্মে মানবরূপি কিছু আগাছা রয়েছে যেগুলো কে ঈশ্বর নিজের ইচ্ছায় তুলে ফেলে । এতে আমাদের দুঃখিত বা কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই । কারন জমিকে পবিত্রতা দান করতে পাশে থাকা সম্ভাবনাময় ফসলি গাছটির ভালো ফলন পেতে আগাছা দমন করা আবশ্যক । 


ঠিক সেভাবেই যাঁরা সামান্যতম সুখের আশায় ধর্ম পরিবর্তন করছে নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশীদের কলঙ্কিত করে চলে যাচ্ছে এতে কোনো সমস্যা নেই, সাগর থেকে এক বালতি জল আনলে যেমন সাগরের ক্ষতি  হয়না কিংবা কমতি পড়েনা তেমনি সনাতন ধর্ম ছেড়ে যাওয়াতে সনাতন ধর্মের ও কোন ক্ষতি হবে না । 


জয় গীতা, জয় নিতাই, জয় শ্রীরাম ।


তৃপ্তি পাল

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ