চকরিয়ায় দুর্ঘটনা
ছয় ভাইয়ের মৃত্যুতে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা , প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ১৬: ১৮
শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চলছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ ভাইয়ের। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই মারা যানফাইল ছবি
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পিকআপের চাপায় নিহত ছয় ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে চকরিয়ার মালুমঘাট হাইওয়েতে অনুমোদিত ও অনিবন্ধিত যান চলাচল এবং ওই দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতি নিরূপণ করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী ৪ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পিকআপ ভ্যানের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হন। ‘একসঙ্গে ৫ ছেলের মৃত্যু: অধিক শোকে পাথর মানু রানী সুশীল’ শিরোনামে ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উজ্জ্বল পাল ও জাহিদ হোসেন দোলন রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হাসিনাপাড়া এলাকায় সুরেশ চন্দ্র সুশীল ১০ দিন আগে মারা গেছেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সুরেশের সাত ছেলে ও দুই মেয়ে আজ ভোরে স্থানীয় একটি মন্দিরে যান। সেখান থেকে ৯ ভাইবোন একসঙ্গে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে একসঙ্গে চার ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে আরও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯)।
দুর্ঘটনার ১৫ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত আরেক ভাই রক্তিম সুশীল (৩১) মারা গেছেন।
১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যানের চালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না বলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়। এ ঘটনায় বিআরটিএ, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বেপরোয়া গতি ও কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় তদন্ত কমিটি।
https://www.prothomalo.com/bangladesh/jy1p93hnnz
0 মন্তব্যসমূহ