সমালোচনার মুখে সরিয়ে নেওয়া হলো ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীর প্রেমের নাটক

আলাদা ধর্মাবলম্বী দুই তরুণ–তরুণীর গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সজীব খান/সংগৃহীত
আলাদা ধর্মাবলম্বী দুই তরুণ–তরুণীর গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সজীব খান/সংগৃহীত
 

নাটকের মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও সাবরিন আজাদ


আলাদা ধর্মাবলম্বী দুই তরুণ–তরুণীর গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সজীব খান


ট্রিবিউন ডেস্ক, প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫, ০৬:০৫ পিএমআপডেট : ২৭ মে ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম


ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউব থেকে ‘‘আয়েশা আদিত্য’’ নামের একটি নাটক সরিয়ে নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। নাটকটি প্রযোজনা করেছে কাহিনি।


নাটকটির গল্প ছিল এমন, প্রভাবশালী রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে আয়েশার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আদিত্য নামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবকের। একসময় আয়েশার পরিবার তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এরপর এক সকালে নদীতে পাওয়া যায় আদিত্যর মৃতদেহ।


আলাদা ধর্মাবলম্বী দুই তরুণ-তরুণীর গল্পে নির্মিত ‘‘আয়েশা আদিত্য’’ নাটক, যা ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তুমুল সমালোচনা।


সমালোচনার মুখে ইউটিউব থেকে নাটকটি সরিয়ে নিয়ে গত রবিবার (২৫ মে) নাটকটির নির্মাতা সজীব খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।


সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, 


“আমি নির্মাতা। নাটক নির্মাণ করা আমার পেশা। সেই নাটক  বানাতে গিয়ে আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি যাতে কখনও কারও অনুভুতিতে কোনো আঘাত না লাগে। সাম্প্রতিক সময়ে আমার নির্মিত নাটক ‘আয়েশা আদিত্য’ রিলিজ হয়। রিলিজ হওয়ার পর আমি বুঝতে পারি, নাটকটা আমার অনেক মুসলিম ভাই-বোনদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। যা পুরোটাই আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোদিনই চাইনি আমার কোনো কাজের দ্বারা আমার কোনো মুসলিম ভাই-বোন কেউ কষ্ট পাক। তারপরও এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি এবং আমার টিম ক্ষমাপ্রার্থী। নাটকটা এরইমধ্যে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমি ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।”  


নাটকটিতে মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও সাবরিন আজাদ। পার্থ শেখও এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।


নাটকটি নিয়ে তরুণ অভিনেতা পার্থ লিখেছেন, 


‘‘এমন কোনো কাজ করবো না যা মুসলিম ভাই-বোনদের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। তাই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি। আমি কখনোই চাইনি কেউ কষ্ট পাক। বিশেষ করে আমাদের ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ বা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত হোক। আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন।’’


সূত্র: ঢাকাট্রিবিউন

Post a Comment

0 Comments