কালের সাক্ষী রবীন্দ্র স্মৃতি ভবনের নাম মুছে সেখানে ইসলামী কালেমা লিখে দেয়া হয়েছে

কালের সাক্ষী রবীন্দ্র স্মৃতি ভবন, আঠারবাড়ী জমিদারবাড়ি। ছবি : কালের কণ্ঠ
কালের সাক্ষী রবীন্দ্র স্মৃতি ভবন, আঠারবাড়ী জমিদারবাড়ি। ছবি : কালের কণ্ঠ
 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী জমিদারবাড়ির নাম রাখা হয়েছিল 'রবীন্দ্র স্মৃতি ভবন'। কিন্তু ৫ই আগস্ট ২০২৪ এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাল্টে দেয়া হয়েছে এই ভবনটির নাম। পাল্টানো নামের ছবি এই খবরের নিচে যোগ করা হল। কালের কণ্ঠ পত্রিকার ৮ই মে ২০২৪ তারিখে এই রবীন্দ্র স্মৃতি ভবন নিয়ে একটি ফিচার প্রকাশ করা হয়। ফিচারটি প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় প্রকাশ করা হল।


ময়মনসিংহ | কালের সাক্ষী রবীন্দ্র স্মৃতি ভবন


আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ (আঞ্চলিক), ০৮ মে, ২০২৪ ০০:০০


বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য রবীন্দ্রনাথের অনেক স্মৃতিস্থান রয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি বা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি আলোচিত থাকলেও তেমন আলোচনা হয় না ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী জমিদারবাড়ি নিয়ে।


ছাত্র জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে তাঁর কাছারিবাড়ি উদ্বোধন করতে আঠারবাড়ী এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি কবির আগমনের সেই স্মৃতি বহন করে জমিদারবাড়িটি আজও দাঁড়িয়ে আছে, তবে নড়বড়ে অবস্থায়।


  সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় মুছে যাচ্ছে সেখানকার সব স্মৃতিচিহ্ন।


প্রতিবছর ২৫ বৈশাখ কবির জন্মদিনে বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে আঠারবাড়ী জমিদারবাড়িতে আসেন। ঈশ্বরগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই চোখে পড়বে জমিদারবাড়ির কারুকার্যমণ্ডিত ভাঙাচোরা অট্টালিকা। রবীন্দ্রনাথের উদ্বোধন করা সেই কাছারিবাড়ি ভবনেই ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজ।

পরে কলেজটি পাশের নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হলে কাছারিবাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কবির স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সুনসুান নীরবতা। দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি ময়লা-আবর্জনায় ভরা থাকলেও বছরখানেক আগে এর কিছু অংশে সংস্কার করা হয়।


১৯২৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কবি ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌঁছান।


এ সময় মুক্তাগাছার জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী কবিকে দেন  বরণমালা। কবির সঙ্গে ছিলেন ছেলে রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অধ্যক্ষ জোসেফ তুচি ও অধ্যাপক কারলো জারমিকি, কবির ব্যক্তিগত সচিব হিরজি ভাই মরিচ, অধ্যাপক নেপাল চন্দ্র রায়, কালীমোহন ঘোষ প্রমুখ। সারা দিন কবি সংবর্ধিত হয়ে রাত যাপন করেন শশী লজে।


সূত্র: কালের কণ্ঠ


-০-০-০-০-০-০-০-


২০২৪ সালের ৫ই আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভবনটি নাম 'রবীন্দ্র স্মৃতি ভবন' মুছে ফেলা হয়। লেখা হয় আরবীয় ধর্ম ইসলামের কালেমা।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ