বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিস্থিতিতে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘ইউনাইটেড হিন্দুজ ইন ইউএসএ’।
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিস্থিতিতে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘ইউনাইটেড হিন্দুজ ইন ইউএসএ’।


  • ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড হাতে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন প্রবাসীরা।
  • বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ
  • বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে ‘হামলা ও ভাঙচুরের’ অভিযোগ করা হয় সমাবেশে।


নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, Published : 19 Aug 2024, 02:18 PM


বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিস্থিতিতে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘ইউনাইটেড হিন্দুজ ইন ইউএসএ’।

রোববার বিকেলে নিউ ইয়র্কের ইউনিয়ন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে ‘হামলা ও ভাঙচুরের’ অভিযোগ করা হয়।


আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রভাত দাস ক্ষোভ নিয়ে বলেন, 

“বাংলাদেশে যখনই সরকার পরিবর্তন ঘটে তখনই হিন্দুরা আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছি। সারা বিশ্বের হিন্দুরা আজ ঐক্যবদ্ধ। একই ভাষায় আমরা কথা বলছি, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো থেকে বিরত থাকুন।”


মানবাধিকার সংগঠক দীলিপ নাথ বলেন, 

“ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর তছনছের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ঘৃণ্য প্রয়াস চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুহীন করার জঘন্য একটি চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”


সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রভাত দাস (ডান থেকে চতুর্থ)।
সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রভাত দাস (ডান থেকে চতুর্থ)।


দীলিপ বলেন, 

“দুর্বৃত্তরা এখনও তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘের তদন্ত দলকে বারবার বলা হচ্ছে ১৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতার তদন্ত করতে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, তদন্তের পরিধি ৫ অগাস্ট থেকে বাড়িয়ে ১৮ অগাস্ট করা হোক। তাহলে সব হত্যাকাণ্ড, লুটতরাজ ও ভাঙচুরসহ সহিংসতায় জড়িতরা বিচারের আওতায় আসবে।”


‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের’ সভাপতি নব্যেন্দু বিকাশ দত্ত অভিযোগ করেন, 

“প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরই শুরু হয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা। ওরা হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ করে। মালামাল লুট করে। মন্দির ভাঙচুর করে। সারা দেশে প্রায় ৫০ জেলায় ওরা এমন বর্বরতা চালিয়েছে। আর এটা নতুন ঘটনা নয়। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসীরা বারবারই আক্রান্ত হচ্ছে, যখনই কোন নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হয় কিংবা অন্য কোন কারণে সরকার উচ্ছেদ হয়, তখনই ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বর্বরতার শিকার হয়, দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়।”


সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সদানন্দ হালদার, আশীষ ভৌমিক ও প্রদীপ মালাকার।



সূত্র: বিডিনিউজ ২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ