প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে সাম্প্রদায়িকতা - অপরাজিতা পূজা

 

প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে ইসলামি ছড়া

ঢাকার একটা প্রাইভেট স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছড়ার বই (বাংলা)। হ্যাঁ, ঠিক পড়ছেন আপনি। ধর্মের না, এটা বাংলা ছড়ার বই। এবার এই স্কুলে গুলাতে শুধু কিন্তু মুসলিম না, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সহ সকল ধর্মের বাচ্চারা পড়তে পারে, তবুও বাধ্যতামূলক একটা নির্দিষ্ট ধর্মের বন্দনা সবাইকে করতে হবে। বন্দনা করতে হলে ইয়াসিন-আসাদুজ্জামান-জান্নাতুল-মাসুম-নাসিমরা করুক, কেন গার্গী-প্রিয়ন্তি-কৌশাম্বীনি-বাসুদেবরা করবে? 


আমায় যে দিদি পাঠালেন বা আমার নিজেরও কিন্তু এই কবিতা নিয়ে আপত্তি “না”, আপত্তি শুধু “হিন্দু ধর্মালম্বী” বাচ্চারা কেন বাধ্যতামূলক এই কবিতা পড়বে সে নিয়ে। 


দিদি কথা বলেছিলেন, স্কুল কতৃপক্ষের সাথে। অনুরোধ করেছিলেন, এই কবিতা তো আমাদের ধর্মের সাথে যায় না। এটা বাদ দিয়ে অন্য গুলো মুখস্ত করুক।” স্কুল থেকে জানানো হয়, “অন্য গুলো না, এটা মুখস্ত করান, এটাই পরীক্ষায় ধরা হবে।” 


প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের কভার

উদ্দেশ্য বুঝতে আর বাকি থাকে? এসব মানুষদের শিক্ষক বলা মানে শিক্ষকদের ছোট করা। হ্যাঁ, এভাবেই বাংলাদেশ চলছে। এভাবেই প্রতিদিন হিন্দু সহ অন্যান্য সকল ধর্মের মানুষকে নিজ দেশে “দ্বিতীয়” শ্রেণীর নাগরিক বানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ আদৌ কোনোদিন শুধরাবে বলে আপনি মনে করেন? 


মুসলিম বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলি, এই সেম কাজ ইন্ডিয়া, ইউরোপ-আমেরিকা করে তাহলে আপনি মেনে নিতে পারবেন তো? যদি সেক্ষেত্রে আপনাদের মেনে নিতে আপত্তি না থাকে, তাহলে আমাদের হিন্দুদেরও আপত্তি নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ