বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহশিক্ষক আশিষ মল্লিক। |
বরিশালের ওই স্কুল ছাত্র ও তার গৃহশিক্ষক রাতে কীর্তন শেষে মামার বাড়িতে একটি কক্ষে ঘুমিয়েছিল বলে জানায় স্বজনরা।
বরিশাল প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, Published : 11 March 2024, 09:37 PM
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ঘুমন্ত স্কুল ছাত্র ও তার গৃহশিক্ষকের ওপর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার ভোর রাতে উপজেলার রফিয়াদি গ্রামের ছোট মীরগঞ্জ বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।
আহতরা হলো- উপজেলার রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও উত্তর দেহেরগতি বাসিন্দা উত্তম হালদারের ছেলে উৎপল হালদার (১৫) এবং গৃহশিক্ষক রহমপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিষ মল্লিক (১৮)।
তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
রাতে কীর্তনে অংশ নিয়ে বেপারী বাড়ির একটি কক্ষে ছয়জন ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এতে দুজন আহত হয়।
তিনি বলেন,
“খবর পেয়ে সকালে হাসপাতালে যাই। কারা নিক্ষেপ করেছে কেউ দেখেনি। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবুও এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
উৎপলের বড় ভাই উজ্জ্বল হালদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“রফিয়াদি গ্রামের কৃষ্ণ মন্দিরে বাৎসরিক কীর্তনে অংশ নেয় ছোট ভাই ও তার গৃহশিক্ষক। কীর্তন শেষে মামা বাড়িতে একটি কক্ষে তারা ঘুমিয়েছিল।“পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে সাতজন অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে। এতে উৎপলের মুখ ও গলায় ঝলসে গেছে। আশিষের বাহু পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।”
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-৩ এর সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন,
দাহ্য জাতীয় পদার্থে তারা ঝলসে গেছে। তারা শঙ্কামুক্ত হলেও মুখের দাগ থেকে যেতে পারে।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 মন্তব্যসমূহ