যারা এবার ইউনিভার্সিটি যাবে তাদের জন্যে:

বাংলাদেশী মুসলিমদের খেস্টামি নিয়ে লিখলে কয়েকটা সাহিত্য লিখে ফেলা যায়। অনেকেই জানেন যে গত সপ্তাহে বাংলাদেশে দ্বাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট বেরিয়েছে। তো যারা এবার পাশ করেছে তাদের বা তাদের পরিবারের মধ্যে একটা উত্তেজনা বা ভাবনা যে ছেলে-মেয়ে এবার কি পড়বে বা কোন ইউনিভার্সিটিতে শেষমেশ সুযোগ পাবে। আর এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে এক দল মুসলিম। এই মুসলিম রা কি করছে তা একটু বিস্তারিত বলি,


আমার এক পরিচিত এবার দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করেছে, তবে কোথায় চান্স পাবে বা কি নিয়ে পড়বে সে নিয়ে তো একটা টেনশন আছেই। হঠাৎ সে খেয়াল করে ফেসবুকে একটা “মেয়ে আইডি” স্টুডেন্টসদের ভর্তির ব্যাপারে সহায়তা করছে। তো আমার পরিচিতা মেয়েটি ভাবে একবার আপুকে নক করে দেখি। তো মেয়েটি “আপুকে” নক করলে, সরাসরি তার মেসেঞ্জার এ কল আসে। তবে আশ্চর্য্যের যে আইডি একজন মেয়ের নামে হলেও কল করেছে একটা ছেলে। এবং ছেলেটি জানায় যে তারা কয়েক বন্ধু মিলে দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণদের সাহায্যের জন্যে এই আইডি খুলেছে। যাইহোক এই পর্যন্ত খারাপ কিছু নেই। আমার পরিচিতার থেকে তার HSC র নম্বর জেনে বলেছে, কোন কোন ইউনিভার্সিটি হবে আর কোন ইউনিভার্সিটি হবে না। এরপরেই ছেলেটি আরও বিস্তারিত তথ্য দেবার জন্যে পরিচিতা মেয়েটিকে তার Whatsapp নম্বর দিতে বলে। মেয়েটি তৎক্ষণাৎ জানায়, “ভাইয়া আমার যা জানার ছিল আমি জেনেছি। আর কোনো তথ্যের প্রয়োজন নেই, moreover Whatsapp নম্বর আমি কাউকে দিই না। আপনি মহিলা নামের আড়ালে ছেলে-মানুষ জানলে বা সাধারণ তথ্য দিতে গিয়ে এতো অতিরিক্ত কথা বলার চেষ্টা করবেন বুঝতে পারলে আপনাকে মেসেজও করতাম না।”


এদের তো লজ্জা নেই। মুসলিম ছেলেটি তাতে বিন্দুমাত্র দমে না গিয়ে বলে, “আপনি WhatsApp নম্বর দিলে হিন্দু ধর্মের কিছু কুসংস্কার, আর ইসলামের উদারতা তুলে ধরতাম। কারণ এসব সবার জানা দরকার।” মেয়েটি এতে ঘাবড়ে না গিয়ে প্রতিবাদ বা গালি দিলে, এবং এক পর্যায়ে তার মা’কে ডেকে আনলে ছেলেটি কল কেটে দেয়। এবং পরবর্তী সময়ে তার আইডি ডিলিট বা Deactivate করে।

আমি মেয়েটির অভিজ্ঞতা শোনা ইস্তক ভাবছি, মুসলিম রা আদতে কতটা সুযোগসন্ধানী। সামনের এডমিশন টেস্ট নিয়েও তারা সহায়তার নাম করে হিন্দু ছেলেমেয়েদের নম্বর জোগাড় বা ইসলাম ধর্মকে প্রমোট করছে। কোন বিশ্বাস বা ভরসার জায়গা থেকে মা-বাবা তাদের ১৮-১৯ বছরের ছেলে-মেয়ে গুলোকে এমন ধর্মান্ধ আপু-ভাইয়া বা শিক্ষকদের মধ্যে ইউনিভার্সিটি-কলেজ পড়তে পাঠাবে! এখনও এডমিশন টেস্ট হলো না, কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পা দিলো না, কিন্তু এদের কার্যক্রম শুরু। এদের ধর্মান্ধতা কি উগ্র এবং ভয়ঙ্কর!

সনাতনী গ্রুপ গুলোকে অনুরোধ করবো যদি সম্ভব হয়, এডমিশন টেস্ট বা তার Criteria নিয়ে প্লিজ কিছু পোস্ট করুন, যাতে আমাদের আঠারো-বিশ বছরের ছেলে-মেয়ে গুলো ইউনিভার্সিটি যাবার আগেই এসব ইয়াসিন ভাইয়া-ফাতেমা আপুদের খপ্পরে না পরে।

দেখেছেন তো পরিস্থিতি। ছেলে-মেয়েকে ইউনিভার্সিটি পড়তে পাঠিয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন না। নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন সোর্স কাজে লাগিয়ে তাদের গতিবিধি এবং মেলামেশার খোঁজ রাখুন। নয়তো রাধিকা মুখার্জী বের হয়ে আসবে রাধিকা খাতুন হয়ে।।

Post a Comment

0 Comments