![]() |
বাবরি মসজিদের নিচে চাপা পড়া পিলার |
প্রথমে বলা হলো মন্দির ভেঙে মসজিদ বানানো হয়নি। ১৯৭৬-৭৭ এর বি বি লালের খননকার্যে দেখা গেল মন্দিরের পিলার ব্যবহার করা হয়েছে মসজিদে, পাওয়া গেল পূর্ণকলস, অষ্টমঙ্গল চিহ্ন।
১৯৯২ এ মসজিদ ধ্বংসের পর পাওয়া গেল রাজপুত গহদবল বংশের মহারাজ গোবিন্দচন্দ্রের শিলালিপি, যেখানে লেখা আছে-
"প্রস্তরনির্মিত এবং স্বর্ণশিখর অলঙ্কৃত এই মন্দিরটি সাকেত মন্ডলের অযোধ্যায় ভগবান শ্রীবিষ্ণুর প্রতি উৎসর্গ করা হলো, যিনি বালি এবং দশাননের হন্তারক।"
বলা হলো এই শিলালিপি লখনৌ মিউজিয়াম থেকে এনে বসানো হয়েছে, কিন্তু মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
![]() |
বাবরি মসজিদের মেঝের নিচে পাওয়া কারুকার্য খচিত পিলারের ভিত্তি ও ১২শ শতকের শিলালিপি |
২০০৩ এ গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং সোনার ব্যবহার করে জানা গেল মসজিদের নিচে একটি পুরোনো মন্দিরের অস্তিত্ব। অর্থাৎ মসজিদ কোনো "ভার্জিন ল্যান্ডের" ওপর নির্মিত হয় নি। বি আর মণির খননকার্যের ফলে পাওয়া গেল সতেরো সারিতে সজ্জিত পঞ্চাশটি স্তম্ভভিত্তি, অভিষেক জল নিষ্কাশনের জন্য মকর প্রণালী, শিবলিঙ্গ। নব্বই মিটার দীর্ঘ এবং পঞ্চাশ মিটার প্রস্থ এলাকা জুড়ে ছিল মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। খননকার্য চালানো হলো বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির সদস্যদের সামনে, পুরো খননকার্যের ভিডিও রেকর্ডিং করা হলো। এবার বলা হলো মন্দিরটি ছিল বৌদ্ধ এবং জৈনদের। বস্তুত বৌদ্ধ স্তুপ এবং হিন্দু মন্দিরের মধ্যে পার্থক্য কোনো শিশুর চোখেও ধরা পড়ে যা কমিউনিস্টদের চোখে পড়েনি।
![]() |
অভিষেক জল নিষ্কাশনের জন্য মকর প্রণালী |
শেষ পর্যন্ত মরিয়া হয়ে বলা হলো কে কে মহম্মদ ১৯৭৬-৭৭ এ কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বি বি লাল সেটা নস্যাৎ করে দিলেন।
কমিউনিস্ট ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব, রোমিলা থাপার, বিপান চন্দ্র, সুরয ভান বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি একের পর এক মিথ্যাচার করে গিয়েছে এবং এখনও করে চলেছে।
✍️✍️✍️ পিনাকী পাল
সূত্র: ফেসবুক
0 মন্তব্যসমূহ