ভোট ঘিরে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ অভিযোগ বিএনপির

ভোট ঘিরে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ অভিযোগ বিএনপির

বিএনপি বলছে, নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ‘হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট, গুরুতর জখম, এলাকা ছাড়ার হুমকিসহ নিপীড়ন-নির্যাতনের’ অভিযোগ পেয়েছে তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, Published : 29 Jan 2024, 09:12 PM


দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ‘নিপীড়ন-নির্যাতনের’ অভিযোগ পাওয়ার দাবি করে সেগুলো খতিয়ে দেখতে ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে বিএনপি।


সোমবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি করার কথা বলা হয়।


দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে গঠিত ১১ সদস্যের এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, রুহুল কুদ্দুস কাজল, অমলেন্দু দাস অপু, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, নিপুণ রায় চৌধুরী, রমেশ দত্ত, অ্যালবার্ট ডি কস্টা, এসএন তরুণ দে ও পার্থ দেব মণ্ডল।


তাদেরকে অভিযোগগুলোর বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হবে।


বিএনপির বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ‘হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট, গুরুতর জখম, এলাকা ছাড়ার হুমকিসহ নিপীড়ন-নির্যাতনের’ অভিযোগ পেয়েছে তারা।


সেখানে বলা হয়েছে, 


“৭ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচনের পূর্বাপর সহিংস ঘটনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও ব্যাপকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছে। তাদের ওপর চলেছে বর্বর নিপীড়ন-নির্যাতন। দেশের অনেক জায়গায় রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছিল আওয়ামী সন্ত্রাসী ক্যাডাররা।”


বিএনপি শেষবার ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। প্রায় দুই যুগ আগের সেসব ঘটনার কথা তুলে এখনো নির্বাচনের আগে পরে বিএনপিকে আক্রমণ করে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ।


আওয়ামী লীগও সেই নির্বাচনের পর ‘গণতদন্ত কমিশন’ গঠন করেছিল। ২০০৮ সালে দলটি ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারবিভাগীয় তদন্ত হয়। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


২০১১ সালে সেই বিচার বিভাগীয় কমিশনের প্রতিবেদনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ২৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ ২৬ হাজার ৩৫২ জনকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।


কমিশন জানায় সেই নির্বাচনের পর ধর্ষণের ঘটনাই ঘটে ১৮ হাজারের বেশি। হিন্দুদের ওপর সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্যাতনের কথাও সেখানে উঠে আসে।


তবে বিএনপির পক্ষ থেকে সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, 


“আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে ভয় দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় করতেই সরকার চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে।”



সূত্র:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ