নোয়াখালী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরবরাহকৃত প্রাথমিক স্কুলের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতা

নোয়াখালী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরবরাহকৃত প্রাথমিক স্কুলের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার তৃতীয় শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রের সাম্প্রদায়িক চেহারা দেখে শিক্ষিতজন অবাক। সম্প্রতি নোয়াখালী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার তৃতীয় শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। সেখানে মৌখিক পরীক্ষার গ নং প্রশ্ন সরাসরি ইসলাম ধর্মীয়। সুধীজনের বিস্ময়ের বিষয় হল যে শারীরিক শিক্ষার প্রশ্নপত্রে ইসলামী ধর্মীয় প্রশ্নের প্রয়োজন কীরূপ? সুরা ফাতেহা জেনে শিক্ষার্থীর শারীরিক শিক্ষার কী সুবিধা বা উন্নতি হবে তা সচেতন সংস্কতিমান মানুষের বোধের অতীত। নিচে প্রশ্নপত্রটির একটি চিত্র দেখুন। সেখানে ৩ নং প্রশ্নের গ নং হল


সুরা ফাতেহা পাঠ করে শোনাও


ইসলামী মানসিকতার তথা আরবীয় সাম্রাজ্যবাদের এদেশীয় দালালরা কতটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে, কত ব্যাপকভাবে তাদের হিংস্র ধারালো দাঁত ব্যাদান করে বসে আছে, তার বিকটতা দেখে শান্তিপ্রায় মানুষ শিউরে উঠেছে। বাংলাদেশের সমাজকে আরবের ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদের বাংলাদেশী দালাল তথা এজেন্টরা এভাবেই সাম্প্রদায়িকতা লালন করেছে। সমাজকে কীটদষ্ট করে তুলছে। আমরা মনে করি ইসলাম বাদে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের প্রতি সরাসরি বিদ্বেষ প্রকাশ করা হয়েছে এই প্রশ্ন দিয়ে।



সূত্র: ফেসবুকে সুমি খানের পোস্ট


তিনি লিখেছেন-

নোয়াখালী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরবরাহকৃত প্রশ্ন যেটি ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে- এর সত্যতা জানেন কেউ? 

 ৩ (গ) প্রশ্ন কেন সব ধর্মের বাচ্চাদের জন্য থাকবে? 

কী করে  ধর্মীয় বিষয় বা সুরা ফাতেহা শারীরিক শিক্ষার বিষয়,হয়? 

নিরীহ অবোধ শিশুদের মানসিক চাপে রাখার অপচেষ্টা কারী কে এই লোক?? 

এসব শিক্ষক দ্বারা  কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানআপরিচালিত হতে পারে? সাজা হওয়া উচিত তার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ