লাভজিহাদের আরেক রূপ - শুভাশিস সরকার

লাভজিহাদের আরেক রূপ - শুভাশিস সরকার

লাভ-জিহাদের শিকার এবং বর্তমানে টরন্টো থাকে এমন এক বাংলাদেশী মেয়ের সাথে বেশ দীর্ঘক্ষণ কথা বললাম। কথা প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম, মুসলিম ছেলেদের মধ্যে এমন কি আছে যা তাকে বা তার মত হাজারো হিন্দু মেয়ে কে কোনো এক পর্যায়ে আকৃষ্ট করছে? (এই প্রসঙ্গে আরও একটা কথা বলে রাখতে চাই, সে ছোট থেকেই যথেষ্ট ধার্মিক বা পারিবারিক ভাবে পূজা-পার্বণের সাথে জড়িত বা একাত্ম)

তার বক্তব্য, “মুসলিম ছেলেরা যেহেতু একটা উদ্দেশ্য নিয়েই হিন্দু মেয়েদের পেছনে পরে থাকে তাই তারা দেখা যায় অনেক বেশি efforts দেয় যা কিনা একটা হিন্দু ছেলে দেয় না। হিন্দু ছেলেদের হয়তো কোনো হিন্দু মেয়ে কে ভালো লাগলে বলে থাকে, তোমায় আমার ভালো লাগে বা বন্ধুত্ব করতে চাই … তুমি বন্ধুত্ব করতে চাও কিনা? কিন্তু উল্টোদিকে মুসলিম ছেলেরা অনেক বেশি ছলের আশ্রয় নেয় বা রঙিন স্বপ্ন দেখায় যা কিনা একজন উঠতি বয়সের মেয়ে কে অনেক বেশি সম্মোহিত করে। জানি যে কোথাও গিয়ে একটা ভুল করছি, কিন্তু তাও বের হয়ে আসা যায় না। আমার ক্ষেত্রেই যেমন ছেলেটা বলেছে, তোমার সাথে টাইম-পাস করা আমার উদ্দেশ্য না। আমি সিরিয়াস সম্পর্ক চাই, এবং 2 বছরের মধ্যে এই সম্পর্ক কে বিয়ে নামক পরিণতি দিতে চাই। আমার আম্মু-আপা তোমার ফটো দেখে বা গুনের কথা শুনে তোমায় বাড়ির বৌ হিসেবে পাবার জন্যে মুখিয়ে আছে। তোমার ধর্ম তুমি করবে, আমার ধর্ম আমি। আমার আম্মুও হিন্দু ছিল যখন বিয়ে করে আমার আব্বু কে, কিন্তু কেউ কোনোদিন জোর করে নি তা কে মুসলিম হতে। আমি তো নিয়ম করে সত্যনারায়ণ পূজার প্রসাদ খাই, লোকনাথ বাবার মন্দিরে যাই। এমন কি অনেক ফটোও দেখায়। এতকিছুর পরে আসলে নিজের ক্ষেত্রে হোক কি বান্ধবী-কাজিনদের ক্ষেত্রেও দেখেছি যে আস্তে আস্তে মন নরম হয়। কিন্তু হিন্দু ছেলেরা যেহুতু কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মেশে না তাই মনে হয় সে ignore করছে বা টাইম পাস শুধু। কিন্তু ওই যে বললাম, উঠতি বয়সে ভালো-খারাপ আলাদা করার মত বোধ-বুদ্ধি সকল মেয়ের থাকে না। কিন্তু বাড়ির লোকে যদি 14-15 বছরের পর থেকেই জেনুইন উদাহরণ দিয়ে এই ভণ্ডামি গুলো ধরিয়ে দেয় তাহলে হয়তো অনেক হিন্দু মেয়ে এই আমার মত ভুল করবে না। ওদের মুখোশ এবং মিথ্যে efforts নিয়ে প্রতিটা হিন্দু বাড়িতে নিয়মিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন ।”

মেয়েটির যেটা ভালো লাগলো, সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং সব ভুলে নতুন জীবনে ফিরেও এসেছে। হ্যাঁ … একটা বয়সে অনেকেই ক্ষনিকের মোহের বশে খুব বড় ভুল করে বসে। কিন্তু তাদের দূরে সরিয়ে দিলে হবে না। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে অনেক হিন্দু মেয়ে এখনও একাদশী, দ্বাদশীর উপোস রাখে … অথচ এই ভুলগুলো হামেশাই করে। তাই ধর্মীয় জ্ঞান এর পাশাপাশি মুসলিম সমাজের মুখোশ তুলে ধরাও হিন্দু পরিবার গুলোর আশু কর্তব্য। তা না হলে মেয়ে দন্ডিও কাটবে এবং কনভার্টেড ও হবে।।

* আশা করি এই মেয়েটিকে কেউ অহেতুক গালাগালি করবে না 😊 ভুল বুঝতে পারা এবং সত্যিটা বলে অনেক কে সাবধান করাও একটা বড় দায়িত্ব। আর হ্যাঁ, ভুল ছেলে বা মেয়ে যে কেউ ই করতে পারে। আমি যেহেতু একজন মেয়ের মুখ থেকে শুনেছি, তাই তারটাই তুলে ধরলাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ