এস এস সি ২০২৩ এ চট্টগ্রাম বোর্ডে প্রথম পিয়াল দে |
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৯ আগস্ট, ২০২৩ | ১২:২০ অপরাহ্ণ
পিয়াল দে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১৩শ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ১২৭৪। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের বিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থী হয়েছে চট্টগ্রাম বোর্ডে প্রথম। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কলেজিয়েট স্কুলে ক্লাসে প্রথম হতো সব সময়। স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির ছয়টি বিভাগের মধ্যেও প্রথম হয়েছে পিয়াল। রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়ার অরুন্যার বাড়ির বাসিন্দা নিপুল চন্দ্র দে এবং আভা রাণী দে দম্পতি। এই দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে ছোট পিয়াল দে। বড় মেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। পিয়াল দে’র এমন ভালো ফলে এলাকার বাসিন্দার আনন্দে মেতে উঠেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিয়াল দে পূর্বকোণকে বলে,
যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পরিশ্রমের বিকল্প নেই। বছরের শুরু থেকেই কোন গ্যাপ ছাড়াই নিয়মিত পড়াশুনা করেছি। আমাদের স্কুলের স্যাররা অবশ্যই অনেক অভিজ্ঞ। তারা আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা তাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পড়াশুনা করেছি। ভালো ফলের জন্য অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে কিন্তু এই পরিশ্রম সঠিক পথে এবং সঠিক উপায়ে করতে হবে। ক্লাসের একটি টপিক আয়ত্ত করার জন্য স্যাররা আমাদের প্রচুর তথ্য দিতেন।
স্কুলের ক্লাসের ব্যাপারে পিয়াল বলে,
স্কুলের ক্লাস অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। আবার স্কুলের ক্লাস ৪৫-৫০ মিনিট। অনেক সময় স্যাররা এই সময়ের মধ্যে সব টপিক কাভার করতে পারেন না। তাই ক্লাসের বাইরে কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে হতো। টেস্ট পরীক্ষার আগে বাসায় বারবার টেস্ট পেপারগুলো সমাধান করতাম। ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেষ করতে হবে। অবশ্যই বোর্ড বইকে প্রাধান্য দিয়ে পড়াশুনা করতে হবে। আমার পরিকল্পনা হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করা।
পিয়ালের বাবা নিপুল চন্দ্র দে বলেন,
ছোটবেলা থেকে পড়াশুনার জন্য ওকে কখনো বকাঝকা করতে হয়নি। নিজে নিজেই স্কুলের পড়া শেষ করতো। পড়াশুনার ব্যাপারে আমি তেমন সময় দিতে পারিনি, তবে ওর মা এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।
মা আভা রাণী দে বলেন,
স্কুল যাওয়ার পর প্রথমেই ক্লাসের পড়া শেষ করতো। এবং প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করতো। আজকের পড়া আগামীকালের জন্য কখনো সে রাখেনি। ওর চাওয়ার মত আমিও চাই ভবিষ্যতে সে ইঞ্জিনিয়ার হোক।
তিনি আরো বলেন, স্কুল থেকে আসার পর আমি প্রতিদিন ওর খাতা চেক করতাম। ঠিক মত স্কুলের পড়া নোট করেছে কিনা দেখতাম। স্কুলের পরীক্ষার খাতাও আমি দেখতাম। সেখানে বড় কোন ভুল ছিল কিনা। কোন ভুল থাকলে ওর শিক্ষকদের সাথে কথা বলে পরামর্শ নিতাম।
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, পিয়াল দে বরাবরই ভালো শিক্ষার্থী। ক্লাসের ফাস্ট বয় ছাড়াও সে নবম ও দশম শ্রেণিতে সব শাখার মধ্যে প্রথম হয়েছে। পড়াশুনার পাশাপাশি কো-কারিক্যুলাম এক্টিভিটিসও পিয়াল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। আমাদের শিক্ষকরা যেভাবে গাইড করেছেন, পিয়াল সেভাবে পড়াশুনা করেছেন। আমি তার মা-বাবাকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা সন্তানের প্রতি যথেষ্ট সময় দিয়েছেন, গাইড করেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর
সূত্র: দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ