হিন্দু ছাত্রী অপহরণকারী কামরুল হাওলাদার |
ঐশী'র ধর্মান্তরের এফিডেফিড |
থানায় ঐশীর মায়ের আবেদন |
ঐশীর জন্মসনদ |
সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ঐশী |
আইনের লোকের মাধ্যমে বেআইনী কাজ ! দেশ নাকি অসাম্প্রদায়িক (?)!
Illegal work through the lawyer ! Is the country non-communal (?)!
বরিশালে ১২ বছরের নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে নোটারি পাবলিক কর্যালয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তরকরণ ও বিবাহ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসন নিরব! ক্ষোভে ফুঁসছে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়।
আইন অনুসারে বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচের বিয়ে গুলোকে বাল্য বিবাহ হিসাবে গণ্য করা হয় এবং তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু ১২ বছরের নাবালিকা সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরকরণ করলে সেটা নাকি বাংলাদেশে বেআইনি নয়, আশ্চর্যজনক!
বরিশালের সদর উপজেলার ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া ১৩ বছর (চলমান) বয়সী এক হিন্দু মেয়েকে ধর্মান্তরিত করেছে মুসলিম ছেলে মোঃ কামরুল ইসলাম (২৪)। তার পিতার নাম: মোঃ ইউনুস হাওলাদার, গ্রাম: চন্ডিপুর ( হাওলাদার বাড়ী), থানা: কোতয়ালী, জেলা: বরিশাল।
মেয়েটির নাম ঐশী সাহা, পিতার নাম: সঞ্জীব সাহা, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অনুযায়ী মেয়েটির জন্ম তারিখ: এপ্রিল ০৭, ২০১১ ইং। স্থায়ী ঠিকানা: হোল্ডিং নং-১৫৯, রাজাপুর, রাজাপুর-৮৪১০,ওয়ার্ড নং-২ রাজাপুর, রাজাপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল বিভাগ।
উল্লেখ্য যে, ঐশী সাহা নামের সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েটি গত মে ২২, ২০২৩ থেকে নিখোঁজ ছিল এবং নিখোঁজের ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১ মাস অতিবাহিত হলেও মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ এমনকি অভিযুক্ত ছেলেকেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঐদিকে অভিযুক্ত মুসলিম ছেলেটি বরিশাল আদালতের মাধ্যমে কতিপয় মৌলবাদী উকিলের সহায়তায় নাবালিকা মেয়েকে সাবালিকা সাজিয়ে ধর্মান্তর করতে সাহায্য করেছে এবং অভিযুক্ত ছেলের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়েছে। এতবড় ঘটনার কিছুই কি জানতে পারলনা পুলিশ! নাকি পুলিশ ইচ্ছা করেই না জানার ভান করে সময় ক্ষেপন করেছে যাতে করে হিন্দু মেয়েটিকে মুসলমান বানানো যায়! সম্প্রতি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও প্রশাসন নিরব।
বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সী কোন ছেলে বা মেয়ে নিজ ইচ্ছায় ধর্মান্তর বা বিয়ে করার আইগত অধিকার নেই। আমাদের চোখের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রসাশনিক কর্মকর্তাগন বহু বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদয়ের সকল মহলের কাছে আমার প্রশ্ন, সংখ্যালঘু ঐশী সাহার বিয়ে বন্ধ করতে বরিশালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রসাশনিক কর্মকর্তাগন নিরব ভূমিকা পালন করেছিল কেন এবং কোন স্বার্থে? এছাড়া বরিশাল কোর্টের নোটারী পাবলিক কর্যালয়ের উকিল এ্যাডভোকেট রাশেদা আক্তার ১২ বছরের একটি নাবালিকা মেয়েকে কিভাবে সাবালিকা বানিয়ে দিল?
মেয়ের পিতামাতা, বিশিষ্টজন, সচেতন মহল এবং হিন্দুরা মনে করেন, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত বয়স ঐশী সাহার এখনও হয়নি। তাকে জোর করে ধর্মান্তরকরণ করা হয়েছে।
আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
নিহার রঞ্জন বিশ্বাস।
গণমাধ্যম সমন্বয়ক,
ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগল কমিটি।
সূত্র: ফেসবুক
0 মন্তব্যসমূহ