বাংলাদেশে হিন্দু জীবন - পাঁচ

বাংলাদেশে হিন্দু জীবন - পাঁচ

নমস্কার,

আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্টুডেন্ট। তো বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে একজন কম্পিউটার দোকানদার যার কাছে আমরা প্রয়োজনীয় শীটপত্র নিয়ে থাকি তার সাথে একটা ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়। তো একদিন ফাইনাল পরীক্ষার জন্য কিছু শীট সংগ্রহ করতে যাই। আগের মতই গেলাম উনিও বসতে বললেন। একসময় উনি যেচে প্রশ্ন করলেন যে ভাই একটা প্রশ্ন করবো। আমিও বললাম যে বলেন। তারপর উনি বললেন আচ্ছা ভাই যে আমাদের এক আল্লাহ পাক সৃষ্টি করছে এ জন্য আমরা এক আললার উপাসনা করি, এক আললাহ ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করা পাপ। তো আমি বললাম ভালই তো করেন। তখন আমায় বললো তাহলে আপনারা যে এত দেবদেবীর পূজা করেন এটা তো আপনাদের শিরক। পাপ করতেছেন।


তারপর আমি আমার কথা উপস্থাপন করলাম যেটা বলার। বাট উনি আমার কথা মানতে নারাজ। আমি একটু রাগী টাইপের। তারপরও কন্ট্রোল করে তার সাথে কথা বলছি। এক পর্যায়ে দেখা দেখা গেলো উনি উঁচু স্বরে আমার সাথে কথা বলতেছে। আশেপাশে অনেক মানুষ আছে।


আমি জাস্ট বলছি যে ভাই আপনারা কেনো মাটির তৈরি একটা ঢিবিকে এভাবে সিজদা দেন....পরক্ষনেই আমি চুপ ছিলাম কারন আমার মধ্যে একটা ভয় আতঙ্ক কাজ করছিলো....


ভয় আতঙ্ক কাজ করলো কেনো। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জুনিয়র ছেলে শুধু একটা হিন্দু মেয়ের পোস্টে কমেন্ট করছিলো ধর্ম নিয়ে। তো ওখানে ইষলামের কিছু কথা ফুটে তোলে। তো ওই বেয়াদব মেয়ে হিন্দু হয়ে হিন্দু ছেলেটাকে না বুঝিয়ে কমেন্টটা পাবলিক করছিলো। অতঃপর ভার্সিটির সকল অহিন্দু রাতেই ছেলেটাকে মারার জন্য লাঠি, দা ইত্যাদি নিয়ে গেছিলো। কিন্তু এমন সিচুয়েশন হওয়ার আগে কোনভাবে এক দাদা ছেলেটাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। যার কারণে ছেলেটা ওই সময়ের জন্য বেঁচে গেলো পুলিশ তাঁকে নিয়ে যায় অবমাননার জন্য।


এখানে আমি দেখেছি যেসব ফ্রেন্ডদের অনেক ভালো ভাবছিলাম তাঁরাও হিন্দু ছেলেটাকে ধরতে গেছে।


এখন আমার কথা হচ্ছে মুসলিমরা কি আসলেই কোনকিছুর জানার জন্য আমাদের এভাবে প্রশ্ন করে নাকি আমাদের বিপদে ফেলার জন্য এমন প্রশ্ন করে। তাদের সঠিক জবাব দিতে গেলে তারা উচ্চস্বরে কথা বলে যাতে আশেপাশের মানুষ শুনতে পায়। আর আমি এটা বুঝে গেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব মুসলিম পড়াশোনা করে তারা বেশি উগ্রবাদী টাইপের। আমি আরেকটু তর্কাতর্কি করলে হয়তো কিছু ঘটনা ঘটতো।


আসলেই কি আমাদের পাল্টা জবাব দেওয়া উচিত নাকি তাদের সাথে কথা না বলে এড়িয়ে আসা উচিত।


ধন্যবাদ 🙏

========

মতামত ১


১. বর্তমানে এগুলা হলো‌ টোপ। অনেকে মিলিতভাবে করে। অনেকে রেকর্ড অন করে রাখে।


২. অনেকে অনলাইনে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে।। এবং অনেকে উত্তেজিত হয়েও যায়। একবার একজনকে অনেক কষ্টে বের করে এনেছিলাম।


৩. বর্তমানে সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে মাস্টার্সের স্বীকৃতিও দিয়েছে। আর স্কুল এবং কলেজের পাবলিক পরীক্ষায় মার্ক কম উঠে অপরদিকে দাখিল আর তার সমসাময়িক এ নাম্বার উঠে ভুড়ি ভুড়ি যার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় তারা এগিয়ে যায় আর অনেক ভর্তিও হয় এখন। দেখবেন গত ১০ বছরে এতো মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছিলো না যা এখন আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।


৪. এই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনার কলিগও হবে আর এখনকার যা সিচ্যুয়েশন আগামী ১০ বছর পরে আরো খারাপ হবে।।


এগুলার সবগুলোরই প্রধান কারণ হলো-


১. সরকার রেডিক্যালাইজেশন প্রমোট করছে। এই জেনারেশন এ আপনি যা দেখছেন আপনার বাচ্চার জেনারেশন তার ১০ গুণ দেখবে। আপনার নাতির জেনারেশন বর্তমান পাকিস্তানের পরিস্থিতি দেখবে কারণ এসব তাদের মাথায় পার্মানেন্টলি গেঁথে যাবে।। আর এটা এমন একটা প্রসেস যেটায় কোনো ব্যাক বাট নাই।।


২. সৌদি। আগামী ৫০ বছর পর সৌদির তেলের রিজার্ভ শেষ হয়ে যাবে+ সারাবিশ্ব এখন ইলেকট্রিক যানের দিকে ছুটছে। তাই সৌদির সংস্থাগুলো এখন রেডিকেল ইসলামাইজেন প্রমোট করছে। নিজের দেশ ছাড়া। কারণ সবাই আর কিছু করুক না করুক হজ আর ওমরা ঠিকই পালন করবে। যত মুসলিম জনসংখ্যা বাড়বে তাদের সেই ব্যাবসায় ততো লাভ। বরং তাদেরকে কেউ আক্রমন করবে না কারণ, তাদের ২ টা পবিত্র শহর সৌদির আন্ডারে।


মতামত ২


এত কিছু বলতে যান কেন আপনারা!!! বলবেন, আমরা ধর্ম নিয়ে এত ঘাটাঘাটি করি না। আপনাদের ধর্ম নিয়েও করি না। যদি প্রশ্ন থাকে, আপনি আসিফ মহিউদ্দিনের ভিডিও দেখেন, তার যুক্তি খণ্ডন করেন, মিথ্যা প্রমাণ করেন। উনি আপনার ধর্মেরই লোক। আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।


যা দেখেছি, জেনেছি সেখান থেকেই এবং মিলিয়ে দেখেছি। এতটুকুই। নিজের উপর দোষ আনবেন না।।


মতামত ৩


একদমই জানার জন্য নয়! আমার একটা ফ্রেন্ড ছিল, হোস্টেলে থাকতো। ওকে এসব প্রশ্ন করা হতো, স্রেফ গায়ে পড়ে ওকে বাজে কথা বলার জন্য। অপমান করার জন্য। এক পর্যায়ে বাবা মা ও দেবদেবী তুলে গালি দিতো। এরপর ঐ বন্ধুসহ বাকি কয়েকটা ছেলে হোস্টেল ত্যাগ করে। এরা আসলে সুযোগে থাকে, কখন আপনি তাদের প্রশ্নের উত্তরে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করবেন। আর ওরা তখনই সেটাকে ঝগড়া বাধানোর কিংবা ঝামেলা পাকানোর‌ কাজে লাগাবে। মূল উদ্দেশ্য হলো: আপনাকে অত্যাচার করা। প্রথম মানসিক। এরপর শারিরীক এবং বিবিধ দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রচেষ্টা চলে🙂


মতামত ৪


ওরা যখন বলতে থাকে ওদের বলতে দিন, আপনি শুধু ধৈর্য ধরে মাথা ঠান্ডা রেখে শুনে যান, আর মাঝে মতো মধ্যে একটু আধটু মাথা নাড়ুন এবং তার কথায় সম্মতি জানান। খবরদার তখন সে ভুলভাল বা আক্রমনাত্মক কিছু বললেও পাল্টা আক্রমন করা যাবে না। সেসময় যতটুকু সম্ভব চুপ থাকাটাই শ্রেয়। আর যদি আপনার তার প্রশ্নের উত্তর জানা থাকে তাহলে সেটা হাসিমুখে সুন্দরভাবে তাকে বুঝিয়ে বলুন, তবে হ্যাঁ, তাকে শুধু আমাদের ধর্মের ব্যাপারে বলবেন, ভুলেও তার ধর্মের ব্যাপারে না, তা আপনি যতই ঠিক বলেন না কেন, যতই যুক্তিসঙ্গত বলেন না কেন। যেমন আপনার তাকে তাকে এটা বলা ঠিক হয় নি যে, তারা মাটির তৈরি একটা ঢিবিকে সিজদা দেন। হ্যাঁ, আপনি হয়ত একদম ঠিক বলেছেন, কিন্তু ওরা সেটাকে ঠিকভাবে নেবে না। সুতরাং এইরকম টাইপের কিছু বলা যাবে না যে আপনারা তো এইটা করেন, আপনারা তো ঐটা করেন ইত্যাদি। যদি পারেন জানা থাকলে শুধু তার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিন, বাড়তি একটা কথাও বলার দরকার নাই, সম্ভব হলে কৌশলে প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে ফেলুন।আর এইরকম ধর্ম নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন করে এমন মুসলিমদের সাথে ইন্টারেকশন কমিয়ে ফেলা বা একেবারে না থাকাই ভাল।


মতামত ৫


প্রথমত, জানার জন্যে প্রশ্ন করলেও, সেটা প্ররোচনায় ধাবিত হয়, হাঙ্গামা তৈরি হয়, এতে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ হয়।

তাই, তাদের সাথে পাবলিকলি এ ব্যাপারে কথা না বলাই ভালো।

কারন, চোরে কখনো ধর্মের কাহিনি শুনে না।


মতামত ৬


জানার জন্য এরা কেও ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করে না। এদের মূল উদ্দেশ্য থাকে হাঙ্গামা তৈরি করা। দেশে এখন পর্যন্ত হিন্দুদের প্রতি যত হামলা হয়েছে সব ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। কেও এই ধরনের প্রশ্ন করলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো।


মতামত ৭


এগুলো জাস্ট ইগনোর করবেন। এগুলো ফাঁদে ফেলে আপনাকে উত্তেজিত করে উল্টো পাল্টা বলানো। তারপর ধর্ম অবমাননা নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করবে।


মতামত ৮


আপনাকে ফাঁদে ফেলতে চায় দাদা... এইরকম অনেকেই আছে...

যাকে আপনি বেশি ভালো মনে করবেন সেই আপনার মহা কাল হয়ে দাঁড়াবে.. এটাই হলো ওদের ধর্ম... এক্টু কেয়ারফুলে থাকবেন দাদা... ধন্যবাদ


মতামত ৯


একদম সহজ বেপার। মুসলিমরা কেউ হিন্দুদের সাথে তর্ক করলে আপনি ওদের বিষয় নিয়ে তার সাথে তর্কে বেধে যাবেন। যেমন ওদের কওমী আর আলিয়া দুই রকম কেন।শরিয়ত আর মারফতি মিলেনা কেন। তারা ত মুস্লিম তাহলে আলাদা কেন। মাহফিলে হুজুররা ঝগরা করে আর কত বিষয় আছে। কেউ মাজারে যায় আবার কেউ মাজার মানে না। শিয়া আর সুন্নিরা নামাজ কেন দুইরকম পরে এসব বিষয় জানতে চাইবেন। অনেক তরিকার মুস্লিম গরু খায় না। মাইজভান্দারি যারা তাদের আচারণ ভিন্ন। এসব নিয়ে ও দের সাথে কথা বলবেন। কউশলি না হলে ওদের সাতে পারবেন না ভাই।


মতামত ১০


কারণ ওদের maz-hub অনুসারে ধর্ষক, খুনি, ইত্যাদি যদি সে অল্লাহ(al-Lah) কে মানে তাহলে সে নিষ্পাপ একটা পরিশ্রমী, সৎ এবং সম্মানিত সনাতনীর সামনে - kur'an 4:48, kur'an 31:13


আর আমি এটা বলছি না যে আপনি পাল্টা জবাব দিন যদি আপনার মনে হয় আপনার ওপর কোনোরকম ক্ষতি হতে পারে। নিজেদের মধ্যে awareness ছড়ান।


আল্লাহ(al-Lah) এক নাকি দশটা জানতে চাইলে আপনি Adam Seeker Urdu channel এ Islamic monotheism Part 1 - 3 দেখতে পারেন।


মতামত ১১


ওরা জেনে বুঝে,আগে থেকে প্লেন করেই প্রশ্নগুলা করে আামাদের বিপদে ফেলার জন্য। তাই আমার মতে তর্কে না জড়িয়ে চলে আসাই ভালো। কারন আমরা যে দেশে বাস করি কখনো স্বাধীনতা পাবো না। ভুল বললেও ওরা জিতবে না বললেও। মাঝখানে আমাদের মায়ের বুক খালি হবে।


মতামত ১২


নমস্কার নিবেন। দাদা সঠিক ভাবে বোঝাতে না পারলে। চলে আসুন।আর যদি আপনি বুঝতে পারেন। যেমন আমরা সবাই সনাতন হয়ে জন্ম গ্রহন করি। পরে আলাদা আলাদা হয় কেন। বলেন তো যদি বলে কিভাবে বলবেন। আপনার আল্লাহ সৃষ্টি করছে। তাই না সে বলবে। হাঁ তো ৭/৮ বছরের শিশু ছিলেন আপনি তাই না। তখন আপনাকে আত্মীয় স্বজন গ্ৰাম প্রতিবেশী কে নিয়ে আপনাকে সুন্নত করাছে তাই না হাঁ তো পরে টুপি ও নামাজ পড়তে বলছে। তো আপনি কি মুসলিম হয় জন্ম গ্রহন করলেন। না সনাতনী হয়ে জন্ম গ্রহন করলেন। সব প্রশ্নের উত্তর দেন। দাদা সব জায়গায় বলেছেন না। যাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কথা বলবেন। তাতে আপনার জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত করবেন। তাহলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকবেনা ওঁ


মতামত ১৩


সবাই এধরণের উস্কানিমূলক টোপ থেকে সাবধানে থাকবেন। হিন্দু ছেলে মেয়েদেরকে এভাবেই ফাঁদে ফেলা হয়। সবাই সাবধান


মতামত ১৪


আপনি টেকনিকালনি এসবের উত্তর দিবেন যেন তারা আপনার কথার ভুল ধরতে না পারে। আসলে এরা ট্রেনিং প্রাপ্ত মাদ্রসা এবং মসজিদ থেকে। তাদের এসব প্লানিং করা। আপনি তাদের নিয়ে বাজে কথা বলবেন না। কিন্তু নিজের ধর্মটাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরবেন। তারা মানতে চাইবে না। এদের ইগ্নোর করবেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ