লাভ জিহাদ সম্পর্কে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা - অনামিকা

লাভ জিহাদ সম্পর্কে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা - অনামিকা


লাভ জিহাদ সম্পর্কে অনেকের লেখা দেখে শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো কাছ থেকে ফেস করা একটা ঘটনা।


 ৯ম শ্রেণীতে পড়ার সময় এক বান্ধবীর সম্পর্ক হয় ক্লাসের মুসলিম এক ছেলের সাথে! মেয়েটা ছেলেটাকে খুব ভালবাসত আর ছেলেটাও। মেয়েটাকে যখন বুঝাতাম তার পরিবারের কথা....সে বলত ছেলেটাকে ছাড়া বাঁচবে না.......! মুসলিম মেয়ারা আবার খুব সাপোর্ট করত তাদের। তখন তাদের কথায় একসময় আমারও মনে হত ভালোবাসায় শ্রেষ্ঠ ধর্ম....!  


একদিন ছেলেটা তার এক আত্মীয়ের সাথে মেয়েটাকে দেখা করাতে নিয়ে যায় সাথে আমিও ছিলাম। সেই লোক যখন কথা বলছিল মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করে ভবিষ্যতে সে করবে বিয়ে করার পর। মেয়েটা আবার পাত্রী দেখার মত লজ্জা পাচ্ছিল। আমি তখন ওকে সাপোর্ট করতে যেয়ে বলি দরকার হলে ও মুসলিম হবে। আরও কিছু কথা হবার পর আমরা চলে আসি। পরবর্তীতে আমার খুব খারাপ লাগত একথাটা বলার জন্য। মনে হতো আমি হিন্দু হয়ে কিভাবে বললাম ওমুসলিম হবে! যায়হোক সেইভাবেই চলছিল ওদের সম্পর্ক।

 ১০ম শ্রেণীর শেষের দিকে সেই মুসলিম ছেলেটা আমাকে প্রপোজ করে। সে বলে তার যে আত্মীয়ের সাথে দেখা করাতে নিয়ে গেছিল সে নাকি আমাকে পছন্দ করেছে তারপর সে আমার প্রতি দুর্বল হয়ে গেছে.... আমি তার সাথে সম্পর্ক করলে বান্ধবীকে ভুলে যাবে.... আমি আবার ওকে বুঝায় মেয়েটাকে তাকে খুব ভালোবাসে কিন্তু সে বার বার আমাকে এটা বলতে থাকে! 


এক পর্যায়ে আমি মেয়েটার সাথে কথা বলি আর বলি যার জন্য সে সব কিছু ত্যাগ করতে চায় সে এরকম বলছে আমাকে। এসব নিয়ে সম্ভাবত ওদের ঝামেলা হয়। এর পর অনেকদিন ওদের কারও সাথে কথা হত না। হঠাৎ একদিন ছেলেটা ফোন দিয়ে বলে আমার জন্য নাকি ওদের সম্পর্ক ভেঙে গেছে। ওর তখন মনে হয় আমও গেল ছালাও গেল টাইপ অবস্থা! আমাকে প্রপোজ করলেও সেই মেয়েটার সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখেছিল। কিন্তু ছেলেটা মনে হয় কঁাদছিল আর আমাকে বলেছিল "কারও ঘর ভেঙে কোন দিন ভাল থাকা যায় না.... আমার ঘর ভাঙলি একদিন তোর ঘরও ভেঙে যাবে......"


পরবর্তীতে আমার খুবই খারাপ লাগত ওদের জন্য। আমি তখন চাইনি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাক। যেন তাদের মধ্য সমস্যা থাকলে ঠিক করে নেয় এরকম ভেবে মেয়েটাকে বলেছিলাম। তখন আমার লাভ জিহাদ সম্পর্কে কোন ধারনা ছিল না। 


আমার মাঝে মাঝে খুব অপরাধবোধ হতো, আমার জন্য ওদের সম্পর্ক ভেঙে গেল ভেবে!! আর সেই অভিসাপের জন্য ভয়ও লাগত। তবে এখন লাভ জিহাদ সম্পর্কে জানার পর আর অপরাধবোধ হয় না তবে ভয় লাগে যদি সত্যিই ঘর ভাঙা বা এরকম কিছু হয়!!


++++++++

মন্তব্য:


ছেলেটার ক্যারেক্টার কতো লুজ সেটা আগে চিন্তা করুন। আপনার বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় আপনাকে প্রপোজ করে বসেছে!


তার প্ল্যান ছিলো মেবি দুই বান্ধবীকে একসাথে বিয়ে করা।


কোথায় আপনি ওকে গালাগালি করবেন। উল্টো সে আপনাকে দোষারোপ করছে! এ কোন যুগে আছি! 

আর কী অবস্থা আমাদের মেয়েগুলার! নিজ ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নাই। আবার অন্য ধর্মের জন্য টান বেশি।


যাইহোক, আপনি ঠিক কাজ করেছেন। ঐটা কোনো সম্পর্কই ছিলোনা। সাফ কথা, লাভ জিহাদ মানে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে পা বাড়ানো। আপনি বরং একটা মেয়ের জীবন রক্ষা করেছেন। 


ধর্মকে ভালোবাসতে শিখুন, ধর্ম সম্পর্কে জানুন। আপনার বান্ধবীকেও জানান।


**

আমি নিজে এটার অনেক শিকার কিন্তু কখনো পা দিনি  উল্টো চড়িয়ে নিয়েছে কারন আমি এক জায়গায় বেড়াতে যায় তখন ওদের বুক সেল্ফএ একটা ছোট বই পায় লিখা ছিল লাভ জিহাদ ওটা দেখে বসে বসে পড়ি ঐ দিন এর পর থেকে আমার ধারনা বদলে যায়


**

সে আপনাদের দুজনকেই ইমোশনালি ব্ল্যাক মেইল করতো যদি তার প্রস্তাবে রাজি হতেন।আফটারঅল শেষে দুজনকেই ছুড়ে ফেলে দিত।এখানে সে কাউকে ভালোবাসেনি।সবটা ছিল অভিনয়। প্রথম জনকে ভালোবাসলে আপনাকে প্রপোজ করতো না।


**


ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রধান কারণসমূহ :


১/ ফ্যামিলিগত অসচেতনতা 

২/ পরিবারে সুশিক্ষা না পাওয়া 

৩/অন্য ধর্মের ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করা

৪/ অবাধ স্বাধীনতা অতিরিক্ত  সুযোগ দেয়া

৫/ পরিবারে ধর্মীয় শিক্ষা না দেয়া

৬/ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া জ্ঞান,বিবেক,বুদ্ধি,সংযম,বিনয়ী, সদালাপী  হওয়া সম্ভব নয়। 

৭/ ধর্মীয় শিক্ষাদানের পাশাপাশি অন্য ধর্ম সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন না করানো।

আপনার সন্তানকে ধার্মীয় শিক্ষা দেন।

সচেতনতা বৃদ্ধি করুন । তা নাহলে আপনার সন্তান অন্য ধর্মে চলে যাবে।


এখন সিদ্ধান্ত টা আপনার ।


*


সংগৃহীত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ