"বেদ" মহাগ্রন্থ অনেক হিন্দু লোক পড়া তো দূরের কথা কখনো চোখেই দেখেননি । বেদ পড়ার অধিকার নিয়েও একসময় ছিল বৈষম্য । বেদে হিন্দু নারীদের সম্মানের সহিত বেশ কিছু অধিকারের কথা বলা হলেও এখনো নারীকে সবকিছু সঠিক ভাবে দেওয়া হয়না। পবিত্র বেদের আলোকে সনাতন (হিন্দু) ধর্মে নারীর কয়েকটি মৌলিক অধিকার হলো........
১) “গর্ভের সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সে যেনো ভালো থাকে।” (অথর্ব বেদ ২/৩/২৩)
২) “একজন নারীর কখনো যেনো কোনো সতীন না থাকে।” (অথর্ব বেদ ৩/১৮/২)
৩) “নারী হল মঙ্গলময়ী লক্ষী”। (অথর্ব বেদ ৭/১/৬৪)
৪) “নারী হল জ্ঞানের ধারক”। (অথর্ব বেদ ৭/৪৭/১)
৫) “নারী হল শিশুর প্রথম জ্ঞানদাতা”। (অথর্ব বেদ৭/৪৭/২)
৬) “নারী শিক্ষা গ্রহণ শেষে পতিগৃহে যাবে।” (অথর্ববেদ ১১/৫/১৮)
৭) “নারীর যেনো দুঃখ কষ্ট না হয়।” (অথর্ব বেদ ১২/২/৩১)
৮) “নারীকে উপহার হিসাবে জ্ঞান উপহার দাও।” (অথর্ববেদ ১৪/১/৬)
৯) “যেসকল নারী কেবল দেহ-রূপ দেখিয়ে অপরের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়,তারা হায়েনাদের মত এবং তাদের জন্য নরকভোগ অনিবার্য, তাদের পরিত্যাগ কর”। (ঋগবেদ ১০/৯৫/১৫)
১০) হে নারী, মৃত পতির শোকে অচল হয়ে লাভ
কী? বাস্তব জীবনে ফিরে এস। পুনরায় পতি গ্রহণ কর”।
পরাশর সংহিতায় আছে এই শ্লোক। যা দেখে বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন করেছিলেন প্রবল বিরোধীতার মধ্যে ও।
(অথর্ববেদ ১০/১৮/৮, ঋগবেদ ১০/১৮/৭)
এই শ্লোকে বিধবা নারীকে বিবাহ করতে বলা হয়েছে।
১১) সনাতন ধর্মে নারী যতটা স্বাধীনতা ও মর্যাদা পায় তা বিশ্বের আর কোন ধর্ম ও সমাজে পায় না।
১২) সনাতনী নারী-পুরুষ একসাথে পূজা করতে পারে।
১৩) স্ত্রী ছাড়া স্বামীর কোন পূজা-যজ্ঞ সম্পন্ন হতে পারে না, তাই স্ত্রীকে সহধর্মিনী ও অর্ধাঙ্গিনী বলা হয়।
১৪) মন্দিরে নারী দেবী রূপে পূজিত হন।
১৫) সনাতনী নারী পৌরহিত্য করতে পারে, কীর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে, নারীর নেতৃত্ব সনাতন ধর্ম ও সমাজে স্বীকৃত।
১৬) বিশ্বের প্রাচীনতম ও সনাতনীদের মূল ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ রচয়িতা ঋষিদের মধ্যে ২৭ জন বিদুষী নারী ঋষি ছিলেন।
১৭) বিশ্বের অন্য কোন ধর্মের গ্রন্থ রচনাতে নারীর কোন অবদান স্বীকৃত হয়নি।
১৮) সনাতনী বিবাহ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট বিবাহ।
১৯) সনাতনী বিবাহ হল একটা ব্রত, অবিচ্ছেদ্য, আজীবন সুখের আবাসস্থল।
হরে কৃষ্ণ 🙏
0 মন্তব্যসমূহ