শিক্ষক-হত্যা-জিতুর-দায়-স্বীকারশিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতু। ছবি: সংগৃহীত |
শিক্ষক হত্যা: জিতুর দায় স্বীকার
ইমতিয়াজ উল ইসলামইমতিয়াজ উল ইসলাম, সাভার ৬ জুলাই, ২০২২ ১৫:০২
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, ‘বুধবার রিমান্ড শেষে আসামি জিতুকে আদালতে তোলা হয়। শিক্ষককে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।’
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রাজিব হাসান আসামির জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বুধবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মতিয়ার রহমান মিঞা নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, ‘বুধবার রিমান্ড শেষে আসামি জিতুকে আদালতে তোলা হয়। শিক্ষককে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।’
শিক্ষক হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। এই মামলায় গেল বুধবার জিতুকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
যা ঘটেছিল
সাভারে হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন,
‘প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা ছেলেদের ফুটবল ও মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। শনিবার (২৫ জুন) স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। এ সময় প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় তলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিল ছেলে শিক্ষার্থীরা।
‘অভিযুক্ত ছাত্রও দ্বিতীয় তলায় ছিল। হঠাৎ সে নেমে মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় উৎপলকে উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রোববার সকালে উৎপলের মৃত্যু হয়।’
অধ্যক্ষ জানান, উৎপলের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি আরও জানান, দায়িত্বের অংশ হিসেবেই উৎপল শিক্ষার্থীদের আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন এবং তাদের নানা অপরাধ বা নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিচার করতেন।
0 মন্তব্যসমূহ