বরিশালে সাহাবের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে ক্ষোভ : সাংগঠনিকভাবে খতিয়ে দেখার আশ্বাস আওয়ামী লীগের

বরিশালে সাহাবের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে ক্ষোভ : সাংগঠনিকভাবে খতিয়ে দেখার আশ্বাস আওয়ামী লীগের


বরিশালে সাহাবের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে ক্ষোভ : সাংগঠনিকভাবে খতিয়ে দেখার আশ্বাস আওয়ামী লীগের

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

    

কাগজ প্রতিবেদক : সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হেয় করে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে আওয়ামী লীগের এক সভায় দলটির স্থানীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাহাব আহমদের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা। ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তারা সাহাব আহমদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে সাহাব আহমদের বক্তব্য খতিয়ে দেখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন।

গত ২৩ জুলাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভায় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমদের ভাই সাহাব আহমদ বলেন, 

‘বাংলাদেশে স্বাধীনতার আগে এক সময় অনেক হিন্দু ছিল এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিল। এখানে এক সময় উচ্চবর্ণের যত সনাতন ধর্মাবলম্বী লোক ছিল তারা কিন্তু সব পশ্চিমবঙ্গে চলে গেছে। আর যত নিকৃষ্ট হিন্দু ছিল তারা এখানে থেকে গেছে।’

তার এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এজন্য তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক ভোরের কাগজকে বলেন, জাতিগত বিদ্বেষ থেকে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এ দেশ থেকে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে হয়রানি, হেয় করে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে চান। তাদের সম্পত্তি দখল করতে চান।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার যারা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার বলে দাবি করে তাদের মধ্যেও আমরা দেখতে পাচ্ছি ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ বেশি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনার প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন যেমন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা জড়িত। তারা বাইরে অসাম্প্রদায়িকের মুখোশ পড়া থাকলেও প্রকৃত অর্থে ইসলামী দলগুলোর চেয়ে বেশি ধর্মীয় বিদ্বেষী। প্রশাসন স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেপ্তার ও শাস্তির উদ্যোগ নেবে আমরা এমনটাই আশা করি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল বিভাগের আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, এমন সাম্প্রদায়িক বক্তব্যই তো তারা দেবেন। কারণ বরিশালের বিখ্যাত মুখার্জি বাড়িটি স্বাধীনতার পর উনার পরিবারই দখল করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের সঙ্গেও তাদের কোন্দল রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, সাংগঠনিকভাবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে সাংগঠনিকভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


https://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2022/07/27/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6/


Post a Comment

0 Comments