নারায়ণগঞ্জ নিবাসী আনুসকা চক্রবর্তীর উপরের ফেসবুক পোস্টটি দেখুন। একটি গ্রুপে এই পোস্টটি দিয়েছিল। এখানে লেখা আছে--
আমি আনুশকা চক্রবর্তী বলছি আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া যেহেতু এটা রিলেশনশিপ গ্ররুপ তো আমার কিছু কথা আপনাদের সাতে শেয়ার করতে চাই আমি একটা ছেলের সাতে রিলেশন করতাম
অনেক ভালোও বেসেছি ওকে হয়তো দুইজন দুই ধর্মের অনেকেই বলতো এইসব কি করিস তুই হিন্দু আর ও মুসলিম কি ভাবে সম্ভব আমি বলতাম ভালোবাসা কখনো জাত দেখে না দেখে মন আমার কাছে মানুষই বড় ধর্ম তো ওর সাতে দুই বছর তিন মাস রিলেশন ছিলো এখন ও আমায় শুধু ব্লাকমেইল করতেছে আর আমার বাবাও অসুস্থ বাবা আমায় একটা কথা
বলছিলো মা এমন কিছু করিস না যাতে তর বাবার মান সম্মান টুকু নষ্ট না হয় তো বাবার কথা শুনে ওরে কিছু বলতেও পারছি না কিন্তু ও আমাকে বলছে ধর্ম ত্যাগ করতে আর না হয় আমার থেকে কিছু বাজে বাজে পিক নিয়েছিলো ওই গুলা ভাইরাল করবে তো ভাই ও বোনেরা এখন আমি কি করবো বাবার দিকে তাকাবো নাকি নিজ ধর্ম ত্যাগ করবো সত্যি কি আমি কোন ভুল করেছিলাম..?
এই পোস্টটি দেখে আমার যা মনে হল তা আপনাদের কাছে প্রদান করলাম।
এদের কাছে ভালোবাসা মানে - একটি ফাঁদ / উদ্দেশ্য – সাবধান হোন!
আজকের দিনে অনেকেই বলে থাকেন, “ভালোবাসা জাত বা ধর্ম দেখে হয় না।” কিন্তু বাস্তব চিত্র কি সত্যিই তা-ই? বহু উদাহরণ আমাদের দেখিয়ে দেয়- এ'কথার আড়ালে লুকিয়ে থাকে এক গভীর ষড়যন্ত্র, যেখানে ভালোবাসাকে ব্যবহার করা হয় এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে।
এই তথাকথিত ‘ভালোবাসা’ ব্যবহার করেই এই শান্তিনামক গোষ্ঠী আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসকে নষ্ট করে, আপনাকে বিভ্রান্ত করে, আপনার শরীরকে ভোগ করে এবং অর্থসামাজিকভাবে আপনাকে নিঃস্ব করে দেয়। তারা আপনার বিশ্বাস, সংস্কার ও আত্মপরিচয়কে পদদলিত করে তাদের স্বার্থ সিদ্ধির পথে এগিয়ে চলে।
কী হয় তারপর?
- — একসময় আপনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
- — এদের একাধিক বউয়ের একজন হয়ে থাকতে হয়, দা'সী হিসেবে।
- — নয়তো এক বা একাধিক সন্তান জন্ম দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
- — আপনি হারিয়ে ফেলেন আপনার ধর্ম, পরিবার, সম্মান- সবকিছু।
- — সর্বশেষ, সমাজের চোখে আপনি হয়ে ওঠেন অবহেলিত ও অবাঞ্ছিত।
এটি নিছক কোনো গুজব নয়, এমন হাজারো বাস্তব উদাহরণে দেখা গেছে / যায়, এই গোষ্ঠীর লোক নানা বয়সের হলেও, এঁরা একই রকম মানসিকতা লালন করেন।
এদের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট:
আপনাকে ধর্মচ্যুত করা, শারীরিকভাবে ব্যবহার করা এবং অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করে দু-একটা বাচ্চা হাতে দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া। বা দা'সী হিসেবে রেখে দেওয়া।
এই কারণেই সাবধান থাকুন! ভালোবাসার নামে ছলচাতুরি ও ধর্মান্তকরণের ফাঁদ চিনে নিন। নিজে সচেতন হোন এবং আপনার পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের সচেতন করুন।
পরিশেষে বলতে হয়, পোস্টকৃত ব্যক্তিও নিজের কর্মফল ভোগ করছে৷ যে নিজ ধর্ম, জাতি ও আপনজনদের সঙ্গে বেঈমানী করে, সে চাইলেও তার কর্মফল থেকে রেহাই পায় না। এক সময় তাকে সেই অন্যায়ের কঠিন পরিণতি ভোগ করতেই হয়- কারণ ন্যায়ের চোখ ফাঁকি দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
"যেমন দ্রুতগামী রথ, তেমনি কর্ম ফল হয়ে দ্রুত ফিরে আসে কর্তার দিকে, তপ্ত অগ্নির ন্যায় প্রতিকূল দণ্ড হয়ে অসৎকর্মার দিকে, শীতল জলের ন্যায় অনুকূল সুখ হয়ে সৎকর্তার দিকে।" অথর্ববেদ ৫/১৪/১৩
ভালোবাসা পবিত্র, কিন্তু তাকে অস্ত্র বানিয়েই কেউ যেন আপনাকে বা আপনার আপন কাউকে ধ্বংস করতে না পারে- তাঁর জন্য নিজের অবস্থান হতেই যথাসম্ভব নিজে সচেতন হোন ও নিজের চারপাশের আপনজনের এদের উদ্দেশ্য ও ফাঁদ নিয়ে সচেতন করুন।
সংগৃহীত। লিংক
0 Comments