কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরের হতশ্রী অবস্থা প্রসঙ্গে - সুব্রত শীল

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির
 


“একটিকে স্থায়ী গড়ে তোলা হয়, অন্যটি পড়ে থাকে ঝড়ের আশঙ্কায়—এ কেমন সাম্য, এ কেমন বিশ্ববিদ্যালয়?”


২০১৯ সালে ‘গাহি সাম্যের গান’ মুক্তমঞ্চের পাশে নির্মিত এই টিনের অস্থায়ী মন্দিরটি ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপাসনার একমাত্র স্থান। বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতা, ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়া, বিদ্যুতের ঝুঁকি—সব মিলে এক অস্থির, অমানবিক পরিবেশ। সাম্প্রতিক ঝড়ো হাওয়ায় সেটি প্রায় ভেঙেই পড়ে।


শিক্ষার্থীরা বারবার জানিয়েছে এই ঝুঁকির কথা, চেয়েছে স্থায়ী সমাধান। কিন্তু প্রশাসন দিয়েছে কেবল প্রতিশ্রুতি—বাস্তব পদক্ষেপ নয়।


এতদিনেও যখন স্থায়ী মন্দির হয়নি, তখন প্রশ্ন উঠবেই—বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি স্থায়ী মসজিদ থাকতে পারলে, মন্দির থাকবে না কেন?  


এই বৈষম্য শুধু অবহেলা নয়, এটি সাংবিধানিক অধিকার হরণ এবং সাম্যের মুখে করাঘাত।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, মাস্টারপ্ল্যানে ত্রিধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিকল্পনা আছে। তাহলে প্রশ্ন—এত বছর ধরে পরিকল্পনা কি শুধুই কাগজে?


এই বিশ্ববিদ্যালয় নজরুলের নামে, যিনি গেয়েছেন সাম্যের গান। সেই কবির নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এক ধর্মকে সম্মান আর অন্য ধর্মকে অবহেলা করা হয়, তা আমাদের বিবেকের কাছে লজ্জাজনক।


#সুব্রত_শীল 

২৫ এপ্রিল ২০২৫



সংগৃহীত

Post a Comment

0 Comments