গ্রেফতারকৃত নাফিজুর রহমান ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি |
বরিশাল ব্যুরো, প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:১৭
মোবাইল অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার খেলার মাধ্যমে বরিশালের নাফিজুর রহমান নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল রাজধানী ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা শ্রুতি রানী পালের। এই পরিচয় থেকে মাত্র দেড় মাসের মাথায় উভয়ের মধ্যে শুরু প্রেম। এক পর্যায়ে নাফিজ ও শ্রুতি দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শ্রুতি জানত না, প্রেম নয়, নাফিজের লক্ষ্য তাঁকে ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করা। হয়েছেও তাই।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শ্রুতির কাছ থেকে ২১ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট দেন নাফিজ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, শ্রুতি এ ঘটনায় মামলা করার পর প্রতারক নাফিজকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরিশাল বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনজীত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক নাফিজ ও তার সহযোগী শফিউল আলম প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বাকি স্বর্ণালংকার উদ্ধারে নাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নাফিজ বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাংশা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার প্রিন্সের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ এলাকায়।
ঘটনা সম্পর্কে বিএমপির উপ-কমিশনার রুনা লায়লা জানান,
ভুক্তভোগী শ্রুতি বৃহস্পতিবার ঢাকার লালবাগ থানায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ চেষ্টা, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। লালবাগ থানার ওসি ভুক্তভোগীর পরিবারকে বরিশালে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে পাঠান। পাশাপাশি লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমানবন্দর থানা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে জানান।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার শ্রুতির কাছ থেকে ২১ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান নাফিজ। এর আগেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শ্রুতির কাছ থেকে তিনি আরও ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সূত্র: সমকাল
0 মন্তব্যসমূহ