মাদারীপুরে ইজারা বাতিল হলেও দুদিনের জন্য বসছে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা

মাদারীপুরে ইজারা বাতিল হলেও দুদিনের জন্য বসছে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা
ছবি: সংগৃহীত
 

এর আগে, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মেলার আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কালকিনি উপজেলা প্রশাসন


 টিবিএস রিপোর্ট, 27 October, 2024, 01:00 pm, Last modified: 27 October, 2024, 01:19 pm 


মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা ঘিরে নানান আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে প্রাথমিকভাবে দুদিনের মেলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন।


শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মেলার বিপক্ষের লোকজনসহ ইসলামী দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও মেলার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


এর আগে, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মেলার আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কালকিনি উপজেলা প্রশাসন।


কালকিনি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 


"ডিসি (জেলা প্রশাসক) স্যারের মিটিংয়ে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দিনের জন্য মেলা চলার অনুমতি স্যার দেবেন। তবে পৌরসভা থেকে যাকে ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেটি বাতিলই থাকছে। যারা কালীপূজার আয়োজন করেছে, মেলাটি তারাই পরিচালনা করবেন।" 


রোববার জেলা প্রশাসন থেকে মেলাটি পরিচালনাসহ সার্বিক সব বিষয় লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


উপজেলা প্রশাসন, আয়োজক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি ও কালীপূজা। এই উৎসব ঘিরে কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ি মেলার আয়োজন করা হয়। প্রায় ২৫০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার স্থানীয় ১২ জন ব্যক্তি ৯টি কারণ উপস্থাপন করে মেলাটি বন্ধের দাবি জানান। পরে কালকিনি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন সভা করে গত বৃহস্পতিবার মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।


বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল পৌরসভার পক্ষ থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে আকবর হোসেন সরদার নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মেলা আয়োজনের ইজারা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে আওয়ামী লীগের নেতার ওই ইজারা বাতিলের দাবি জানায় একটি মহল। পরে সেটি করতে ব্যর্থ হলে তারা ৯টি কারণ দেখিয়ে মেলা পুরোপুরি বন্ধ করতে কালকিনি পৌরসভা ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। পরে প্রশাসন অনেকটা চাপের মুখেই মেলাটি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল। 



সূত্র: TBS

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ