মূর্তি ভাংচুরের অভিযোগ: যেভাবে বাংলাদেশি হয়ে যান ‘ভারতীয়’

শনিবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে, ছবি: Ramjan Shikder
শনিবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে, ছবি: Ramjan Shikder


সমীর কুমার দে ঢাকা, 17.09.2024১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪


ভাঙ্গা উপজেলায় এক মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে পুলিশ৷ প্রথমে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জানায় তিনি ভারতীয়৷


শনিবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দিরে বেশ কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা


সংবাদমাধ্যমেও চলে আসে সেই খবর৷ পরে জানা যায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তি ভারতীয় নন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক৷


পুলিশ যাকে ‘ভারতীয়’ ধরে নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫), বাবার নাম নিশিকান্ত বিশ্বাস, বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায়৷ ডয়চে ভেলেকে নিশিকান্ত বিশ্বাস জানান, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে ২০১৯ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন৷ সংবাদপত্রে ছবি দেখে সঞ্জিতের সন্ধান পেয়েছেন তারা৷


অথচ সঞ্জিতের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে, এমনকি প্রতিমা ভাংচুরের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা তথ্য না পেয়েই পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়৷ সেই তথ্য যাচাই-বাছাই না করে খবরও প্রকাশ করা হয়৷ একটি ইংরেজি দৈনিকের বাংলা ভার্শনে সেই খবরের শিরোনাম ছিল ‘ফরিদপুরে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় ‘ভারতীয় নাগরিক' গ্রেপ্তার'৷


কিন্তু ডয়চে ভেলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য৷ মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে কিনা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আসামি ধরার কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ, পাসপোর্ট বা অন্য কোনো পরিচয়পত্র না দেখা সত্ত্বেও তাকে ভারতীয় নাগরিক সাব্যস্ত করে দ্রুত খবর প্রচারে উদ্যোগ নিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের একটা অংশও কোনো যাচাই-বাছাইয়ে না গিয়ে হুবহু প্রচার করেছে সেই ‘কাল্পনিক' তথ্য৷ অথচ খুব সহজেই সঞ্জিতের জাতীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যেতো৷ আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে পরীক্ষা করলেই পুলিশ জানতে পারতো সঞ্জিত বাংলাদেশের নাগরিক৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য  জাতীয় পরিচয়পত্র দেখেই অবশ্য পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে সঞ্জিতের পরিবারের সঙ্গে৷


এর আগে পুলিশ দাবি করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করায় সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার বাড়ি ভারতের নদীয়ায়৷ তবে এলাকার লোকজন ডয়চে ভেলেকে বলেন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তারা দীর্ঘদিন ধরে ‘পাগল' হিসেবে চেনে৷ অনেকদিন ধরেই তিনি ওই এলাকায় থাকেন, ঘোরাঘুরি করেন৷


সোমবার পুলিশ আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়৷


কিন্তু মঙ্গলবার সন্তানের সন্ধান পেয়ে আদালতে ছুটে যান বাবা নিশিকান্ত দাশ, ছেলের জামিনের জন্য আবেদনও করেন তিনি৷ তবে মঙ্গলবার জামিন পাওয়া যায়নি৷ আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত৷


প্রতিমা ভাংচুরের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে এবং তিনি যে ভারতের নাগরিক সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন কিভাবে, তার পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখেতে চেয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকসেদুর রহমান মঙ্গলবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, 


‘‘প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারিনি৷ তবে মন্দিরের সামনেই তাকে পাওয়া গেছে৷ সে হিসেবে তাকে ধরা হয়েছে৷ তার পরিচয়ও নিশ্চিত নয়৷ তার কাছে তো পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র নেই৷ এলাকাবাসী তাকে ‘পাগল' হিসেবে চেনে৷ সে হিন্দিতে কথা বলতে পারে৷ দু-একবার সে উল্লেখ করেছে ভারতের নদীয়ার কথা৷ সেভাবেই আমরা ধারণা করেছি, তিনি ভারতের নাগরিক৷ আমরা এমন তথ্যও পেয়েছি যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অনেকদিন ভারতে ছিলেন৷’’


সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ৪৫ বছর বয়সি সঞ্জিত ভারতের নদীয়া জেলার নিশিকান্ত বিশ্বাসের ছেলে৷ শনিবার রাতের কোনো এক সময় ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দিরের কার্তিক ঠাকুরের হাতের আঙুল, ময়ূরের গলা মোচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা দেখে ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করে মন্দির কমিটি৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷


প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়ে ভাঙা বাজার হরি মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন সাহা ডয়চে ভেলেকে বলেন, 


‘‘দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওগুলো ইচ্ছে করেই কেউ ভেঙেছে৷ তবে সেটা পাগলে, নাকি অন্য কেউ সেটা আমরা জানি না৷ এই মন্দিরের ২০০ হাত পাশেই আমাদের বাড়ি৷ ওই সময় দুইদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল৷ এই কারণে বিদ্যুৎ ছিল না৷ ফলে সিসিটিভিও বন্ধ ছিল৷ শনিবার সকালে বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা থানা পুলিশ ও ইউএনওকে লিখিতভাবে অবহিত করি৷ তখন তারা তদন্তে এসে ওই পাগলকে গ্রেপ্তার করে৷ আমরা তার সম্পৃক্ততার ব্যাপারে নিশ্চিত নই৷ আর ওই পাগল অনেকদিন ধরে এলাকায় চলাফেরা করে৷ তাকে ১০টা প্রশ্ন করলে একটার উত্তর দেয়, ফলে পুলিশ কীভাবে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে সেটা আমরা বলতে পারবো না৷ পুলিশ আমাদের একটা মামলা করতে বলেছিল, আমরা সেটা করিনি৷ কারণ, আমরা তো নিশ্চিত নই, কে এটা করেছে? এখন আমরা দিনে-রাতে পালাক্রমে মন্দিরের পাহারা দিচ্ছি৷’’


ভাঙার স্থানীয় একজন সাংবাদিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, 


‘‘অন্তত দেড় মাস ধরে ওই পাগলকে বাজারে দেখা যাচ্ছে৷ সে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় না৷ পোশাক খুবই অপরিচ্ছন্ন৷ ঘটনা জানার পর এসপি যখন ঘটনাস্থলে যান, তখন আমাদেরও ডাকা হয়েছিল৷ আমরা তখনও ওই পাগলকে সেখানে দেখেছিলাম৷ কিন্তু সেদিন তাকে ধরা হয়নি৷ পরদিন হঠাৎ করে পুলিশ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাগলকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়৷ ফলে আমরাও নিশ্চিত নই কিভাবে ওই পাগলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করলো৷ তবে আমারা ধারণা করছি, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের তৎপরতা দেখাতে ওই পাগলকে গ্রেপ্তার করে থাকতে পারে৷’’


জেলার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, 


‘‘ঘটনা তদন্তের সময় কালি মন্দিরের সামনে দু'জন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়৷ পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একজনকে স্থানীয়রা পরিচিত বলে শনাক্ত করেন৷ এ সময় অপর ব্যক্তিকে সন্দেহ হওয়ায় তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ তখন তিনি একবার বাংলা এবং একবার হিন্দি ভাষায় কথা বলতে থাকেন৷ এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দেন৷’’


যে ব্যক্তি ঠিকভাবে কথা বলেন না, চলাফেরা দেখে যাকে সবাই ‘পাগল' বলেন তার মুখে নদীয়া আর হিন্দি শুনেই তার ভারতীয় নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ওসি মোকসেদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, 


‘‘বিষয়টি এমন না৷ তিনি যে অনেকদিন ভারতে ছিলেন, সেটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি৷ তবে তার কথা শুনেই আমরা ধারণা করেছি, তিনি ভারতের নদীয়ার বাসিন্দা৷ তবে তিনি যে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন সেটা এলাকার লোকজন আমাদের বলেছেন৷ এখনও এ বিষয়ে মামলা হয়নি৷ মামলা হলে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ তখন বিষয়টি আরো ভালোভাবে পরিস্কার হওয়া যাবে৷’’


যিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ান তিনি কি নিজের পরিচয় বলতে পারেন বলে ধরে নেয়া যায় কিনা জানতে চাইলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় মানষিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, 


‘‘এই ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীনদের পক্ষে পরিচয় বলা সম্ভব না৷ যা বলবেন, তা ঠিক না-ও হতে পারে৷ আমাদের চিকিৎসাশাস্ত্রে যেটা বলা হয় মানষিক ভারসাম্যহীনদের মধ্যে ৯৯ শতাংশই নিজের পরিচয় বলতে পারেন৷ আর বাকি এক শতাংশের মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ, অর্থাৎ পয়েন্ট ৬৬ শতাংশেরও বলতে পারার কথা৷ বাকি যে পয়েন্ট ৩৩ শতাংশ, তার মধ্যে পড়ে এই পথে ঘুরে বেড়ানো মানসিক ভারসাম্য হারানো মানুষ৷ তারা মানসিক ভারসাম্য একেবারেই হারিয়ে ফেলে৷ পরিবার তাদের রাখতে চায় না৷ ফলে তাদের পক্ষে সঠিক পরিচয় বলা কঠিন৷’’


ভাঙা উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি জগদীস চন্দ্র মালো ডয়চে ভেলেকে বলেন, 


‘‘ঘটনার পর এসপি যখন এলাকায় আসেন, তখন আমাকে ডেকেছিলেন৷ আমি সেখানে গিয়েছিলাম৷ তখন মন্দিরের প্রতিমা দেখে আমারও মনে হয়েছে এটা ইচ্ছে করেই কেউ ভেঙেছে৷ তবে ওই পাগলকে কিভাবে পুলিশ শনাক্ত করেছে, সেটা আমাদের বলেনি৷ তবে আমরা যখন এসপির সঙ্গে মন্দিরে যাই, তখন ওই পাগল সেখানেই ছিলেন৷ হয়ত পুলিশ ধারণা করছে, ওই পাগল পাগলামি করেই ভেঙে থাকতে পারে৷ তবে আমরা বলেছি, সামনে পূজা, আমাদের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে৷ এসপি সেই আশ্বাসও দিয়েছেন৷’’


উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সোমবার মতবিনিময় সভা করেন ইউএনও বি এম কুদরত-এ-খুদা৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, 


‘‘আমি এখানে ৯ মাস ধরে আছি৷ এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোনো অভাব নেই৷ হঠাৎ করেই কেন এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল, সেটা বুঝতে পারছি না৷ এবার এখানে ৯১টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে৷ আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি৷ আশা করছি, আর কোনো সমস্যা হবে না৷’’


হরি মন্দির কমিটির সভাপতি স্বপন সাহা থানায় যে অভিযোগ দিয়েছেন তার তদন্ত করছেন ভাঙা থানার সাবইন্সপেক্টর জয়ন্ত মজুমদার৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, 


‘‘খবর পেয়ে সঞ্জিতের বাবা ও চার ভাই আমাদের কাছে এসেছিলেন৷ তারা সঞ্জিতের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসেছিলেন৷ আমরাও তার আঙুলের ছাপ সার্ভারের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত হয়েছি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গোপালগঞ্জের বাসিন্দা, নিশিকান্ত বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জিত বিশ্বাস৷’’


সঞ্জিতের সম্পর্কে তার বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জন্মের পর থেকেই সঞ্জিতের মাথায় কিছুটা সমস্যা ছিল৷ ২০০৬ সালে সে একবার পালিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল৷ ৬ মাস পর আবার ফিরে আসে৷ ২০০৯ সালে আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ছেলের মাথা আরো খারাপ হয়ে যায়৷ মায়ের মৃত্যুর শোক সে নিতে পারেনি৷ যত দিন যায়, তার মানসিক অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে৷ ২০১৫ সাল থেকে আমরা একজন মানসিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা করাতে থাকি৷ কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি৷ ২০১৯ সালে সে একেবারে হারিয়ে যায়৷ বহু জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি, কিন্তু পাইনি৷ অবশেষে থানা পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কথা জানায়৷ আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আদালতে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু জামিন হয়নি৷ আশা করি, ২৯ সেপ্টেম্বর হয়ে যাবে৷ তবে যে কেউ তাকে দেখলে বুঝবে, তার পক্ষে প্রতিমা ভাঙচুর করা সম্ভব না৷’’


সূত্র: DW

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ