একটা মেয়ে লাভ জিহাদে কিভাবে পড়ে? নিজের জীবন থেকে নেওয়া কিছু টা অংশ বলতেছি, আমার সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনা, আমি আশাবাদী এ ঘটনাটা শুনলে ১০০% ছেলে-মেয়ে লাভ জিহাদ বিষয় সর্তকতা অবলম্বন করতে পারবে" আমি পয়েন্ট গুলো আকারে বলছি*****👇
সালটা ছিলো ২০২০ করোনা কালীন সময়!!!
*আমরা তো সবাই কমবেশি ফেসবুক চালাই,সবার একটা আইডি আছে আর আমরা সবাই হিন্দু মুসলিম লোক একসাথে এড করি,সোশ্যালিং হিসেবে আমি মনে করি লাভ জিহাদে পড়ার অন্যতম কারণ এটা! ✅
*আমার আইডিতে একটা মুসলিম ছেলে এড হয়, আমি এড করি যা সবাইকে যেভাবে ভেবে করি, নরমালি ফেসবুক বন্ধু ওইটাই, একদিন সে আমাকে নক করে, এমনিতে আমার ডে পোস্ট সব ফলো করতো হুটহাট কমেন্ট করতো আমি এতো গুরুত্ব দিতাম না।
তারপর সে আমাকে রীতিমতো প্রায় সুন্দর বন্ধুর মতো আচরণ এবং কুশল বিনিময় মধ্যে থেকে কথা বলতে লাগলো এবং সেটা শুরুটা হয়েছে আমার একটা মেসেনজার ডে থেকে।
তো যাই হোক! আমার মনে একচুয়ালি এসব তো ভুলেও থিংক আসেনাই, বা আসবেও না ওনি কোন উদ্দেশ্য নক করবেন। কেননা এমন বহু লোক আছে নক করে কথা বলে এটা ব্যাপার না।
তারপর থেকে দেখছি সে আমাকে উন্মাদে মতো ফলো করছে, রোজই মেসেজ করছে খবর নিতেছে তবে সব পজেটিভ ভাবে, আমার দিক আমার ধর্মগত সবদিক তার পজেটিভ মিন করে কথা বলছে, এতোটা রেসপেক্ট লাভ মেবি জীবনে কোন হিন্দুকেও দেখিনাই করতে। আমি আবার ধর্ম বিষয় পোস্ট বেশি দিতাম নোটটা পয়েন্ট করেন সবাই ✅
* তারপর সে আমাকে রোজই খুচায় তার ভালো লাগে সে জানতে চায় ধর্ম বিষয় আমার আমি ইগনোর করে চলছি তারপর সে চেষ্টা করছে আমার সাথে একটা বন্ধু করার জন্য, এ জন্য সে রোজই কথা বলতো, আমার মন খারাপ হলে আমি পোস্ট করলে আমাকে মোটিভেট করতো বোঝাতো, আবার আমাকে সাপোর্ট করতো মানসিকভাবে আমি তার বিষয় খারাপটা আনতে পারতেছিলাম না নেগেটিভ ভাবে। সে আমাকে বলে "আমরা বন্ধু হয়ে থাকি সবসময় আর কিছু দরকার নেই তুমি খুব ভালো মেয়ে, চিন্তা করোনা তোমার বন্ধু তোমার সাথে সবসময় আছে" রীতিমতো লোকটাকে পজেটিভ ফিল করছিলাম পয়েন্ট ফলোআপ করেন ✅
*তারপর এরকম করে রীতিমতো ২/৩ মাস হচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো সে আমার খুব ভালো বন্ধু কিন্তু সে হঠাৎ করে মাঝেমধ্যে আমাকে তার ধর্ম বিষয় জানার জন্য জোরজবরদস্তি করে বিভিন্ন আল্লাহ বিষয় পোস্ট দিতো অনবরত আর বলতো সময় হলে পইরো, কোন জোরনাই। আমি একবার পড়লেও কেন জানি আরেকবার ইগনোর করতাম, ভালো লাগতো না কিন্তু বন্ধুত্বে খাতিরে পড়তাম। পয়েন্ট টা নোট ✅
*অতপর এমন করে তার এরকম পোস্ট দেয়া বাড়তে লাগলো আমি কিছু বলতেও পারছিলাম না, তারপর একদিন মুখ ফুটে বলে ফেললাম, আপনি এগুলো দিবেন না, ওনি বলে কেনো আমি তোমার ধর্ম বিষয় জানতে চাই তুমি কেনো বলো না, তাহলে আমারটাই শুনো। বন্ধু হয়েছি আমাদের অস্তিত্ব জানতে হবে না, তুমি জানো তোমাদের ধর্ম ভুল হেন তেন আমাদের আল্লাহ সব, কই থেকে আসছে এসব আগর বাগর, হেন তেন, বলা শুরু করলো! আমি তাকে বন্ধু বলেছি বলে একচুয়ালি খারাপ কিছু বলতেও পারছিলাম না।
* তারপরও সে আমাকে আরো খুচাতে লাগলো আমি তাকে বললাম আপনি কি চান? হঠাৎ এমন করছেন কেনো আমার কোন বন্ধু নেই ভালোবাসা লোক নেই একা আছি, তাই ভাবছি একটা ভালো বন্ধু হলো, কিন্তু এমন করছেন আপনি, সে বলে আচ্ছা তোমাকে জোর করবো না। তবে একটা কথা বলি তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে কিন্তু তুমি হিন্দু বলে বলতে পারছিনা আসলে তুমি তো রাজি হবেনা, ভালোবাসা তো জাত ধর্ম দেখে হয়না ভালোবাসা হয় মন দেখে কিন্তু তোমরা কি এগুলো মানবে? আমি তোমাকে কতোটা ভালোবাসি তুমি জানো না। তোমার বাবা মা কতোটা ভালোবাসছে জানিনা কিন্তু আমি তার চেয়ে বেশি বাসি, হয়তো বিশ্বাস করবেনা রোজই তোমাকে ভাবি ফলোআপ করি। তুমি চাইলে আমরা বিয়ে করে ফেলবো খুব তাড়াতাড়ি আমি দেশে আছি মিট করো, (সে প্রবাসী ছিলো)। আর বাবা মা শুরুতে রাগ করবেই কিন্তু যখন দেখবে তার মেয়ে সুখে আছে তখন সবকিছু মেনে নেয়, এরকম বহু হয়েছে তোমাকে মুসলিম হতে হবেনা" জোর করবো না, হিন্দু থাকো আমি তোমাকে রেসপেক্ট করি কিন্তু তুমি আমার হও তোমাকে অনেক ভালো লাগে কি সুন্দর পুজা করো, কতো ভালো লাগে দেখলে নিজে ধর্মকে কতো ভালোবাসো। আমি তোমাকে সবসময় তোমার মতো করে রাখবো। দেশে বাহিরে নিয়ে আসবো তুমি সুখে থাকবে। পয়েন্ট অফ নোট ✅
* আমি তার কথা শুনে রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। ৩/৪ মাসে ভালো বন্ধু হলো এরপর মায়া লাগালো এরপর এসব কথা, আমি ছোট থেকে পারিবারিকভাবে ধর্ম শিক্ষা বড় হয়েছি,বাসায় সব রকমে পুজো করতো তাই ওইসবে মন ধ্যান সবই ছিলো, করতাম এবং পাশাপাশি নিজ উদ্যেগে জানার চেষ্টা ও করেছি। আমি তার চেয়ে বেশি আমার ধর্ম বিষয় জানি, কিন্তু কেন জানি তর্ক করতে ইচ্ছে হলো না হয়তো বন্ধুত্বে খাতিরে। কিন্তু সুন্দর করে বলে দিয়েছি সরি বন্ধু আছেন থাকুন আমি এসবে যাবো না, আর পারিবারিক ভাবে বিয়ে করবো তো এসব তো পসিবল নয় কারন আপনি বিধর্মী আমাকে মাফ করবেন।এটা হয়না সরাসরি কথাগুলো বললাম।
* সে আমাকে বলে তোমাকে চ্যালেঞ্জ করলাম,তুমি আমাকে ভালোবাসবেই, কাছে আসবেই আমি জানি তোমারো মন আছে কিন্তু ধর্ম বাধা তাতে কি বলো, আমি কি সুখি রাখতে পারিনা তোমাকে? এসব বলা শুরু করলো আমিও বললাম ঠিক আছে দেখি। এই বলে আর কোন কথাবলিনাই!
* কিন্তু সে রোজই আমাকে মেসেজ করতো খোজ নিতো আবার ধর্ম নিয়ে বোঝাতো আগে থেকে বেড়ে গেলো রীতিমতো। তারপর দেখলাম অবস্থা বেগতিক এমন অবস্থা হলো লোকটা ইচ্ছে করে একদিন মেসেজ দেয়নাই তারপর আমি উল্টোতাকে মেসেজ দেই বলতে গেলে মায়ায় পড়ে যাই। কিছু টা হলেও, সে বুঝতে পারে তাই তার কাজকর্ম আরো বাড়িয়ে দেয়।
* অবশেষে আমি কোন দিকপাশ না দেখে ডিসিশন নিলাম নাহ! ব্লক করতে হবে কেননা সে মনে হয় জিতে যাবো চ্যালেঞ্জ কারন আমি মায়ায় পড়ে যাইতেছি কেমন জানি এটা ঠিক নয়। এটা ভেবে তাকে সোজা ব্লক দিলাম কোন কথা না বলে।
* তারপর কিছু টা সময় ভাবলাম বিগত ৪ টা মাস নিয়ে আচ্ছা! লোকটা মুসলিম আমি কেনো তার মায়ায় পড়ে যাচ্ছিলাম? কি ছিলো তার মধ্যে? তাকে কখনো দেখেছি? চিনেছি? কিসের বন্ধুত্ব? কি হচ্ছিলো কেনো? সে কি আমাকে ভালোবাসে? আর বাসলে বা কেনো? কেনো আমি তাকে ভালোবাসবো? বিয়ে করবো? কারন কি?
আমি এতোদিনে কার কিসের পুজো করেছি? সে কি বললো সব মিথ্যা? কিসের যুক্ত দিলো, সবকিছুর উত্তর খুজতে খুঁজতে নিজের মনের ভেতর থেকে অবশেষে উত্তর পেলাম নাহ! আমি সনাতনী,আমি সঠিক আমার সব সঠিক আমি তারটা বলবো কিন্তু আমি খুব ভাগ্য করে সনাতন ধর্ম পেয়েছি আমাকে আমার ধর্ম বিষয় আরো জানতে হবে, নয়তো এরকম মানুষ গুলো মুখোমুখি আমি ভবিষ্যৎ আর কখনো হতে পারবো না। এরপর থেকে এই যে আইডিতে ৩০০০ লোক কিন্তু ভুলেও একটা মুসলিম ছেলে বা মেয়ে আর এড করলাম না, এই যে ঘৃনা ধরলো মনের ভেতর এইতো চলতেছে। মরে যাবো তারপর ও ভুলেও এসন নোংরা মনমানসিকতা লোকজাত ধর্মকে আর একসেপ্ট করবো না। তারপর থেকে আর করিনাই।
---আমি মনে করি নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে মুলত এগুলো হচ্ছে একটা মেয়ে ফাদে ফেলার মুল কারণ কেও ডায়র্ভাট হয়, মন ওয়াশ হয়ে গেলে বেশি "তো কেও হওয়া থেকে বাঁচে "তবে আমি মনে করি এসব নোংরা লোকগুলো থেকে সবার দূরে থাকাই উচিত, বিশেষ করে সনাতনী বোনদের, নিজের সাথে ঘটনা শেয়ার করলাম।
আশা করি একটু হলেও বোনরা উপকৃত হবে"
হিন্দু একটা ছেলে যেমনি হোক না কেন, খারাপ ভালো যাই হোক না কেন ওরা সনাতনী, ওদের মধ্যে একটা শুদ্ধতা আছে, জীবনে টাকা পয়সা দিয়ে মাপলে জীবনে মোড় কেও খুজে পাবেন না, কিন্তু শান্তি দিয়ে মাপলে একটু হলেও বিবাহিত জীবনটা, মানসিক সেটিসফাইট নিয়ে বাচতে পারবেন যে, আপনি একজন সনাতনীকে বিয়ে করেছেন। এট লিস্ট সারা জীবন অন্য ধর্ম বংশ কুল জাতে দাসী হয়ে থাকতে হবেনা, সে বংশে সন্তান উৎপন্ন করতে হবে না। কথাগুলো ভেবে দেখবেন, শুদ্ধতা নিয়ে বাঁচতে চান না দাসী হয়ে।
তারপর ও যদি বলেন সনাতনী ছেলেরা তো ভালোবাসা একসেপ্ট করেনা পাওা দেয়না, এজন্য মুসলিম ছেলেদের কাছে যাই, তাহলে আমি বলবো ওরা আপনাকে পাত্তা দেয় নিজ স্বার্থের জন্য, ভবিষ্যৎ স্বার্থের জন্য আর সনাতনী ছেলেরা পাত্তা না দিলেও ভাববেন ওরা চায়না, তাই দেয়না কিন্তু যাদের মনে চায় তাদের ঠিক দেয়। সবাইকে সবসময় ভালো লাগবে তেমন তো নয়?
আপনার জন্য হয়তো আপনাকে পাওা দেয়া বোঝার ভালোবাসার অন্য লোক অপেক্ষা করছে, তাই বলে মুসলিম লোকের কাছে পাওা কেন নিতে হবে?
কেন আপনি মুসলিম ছেলের কাছে যাবেন? ওরা আপনাকে পাত্তা দিবেই ওদের কাজ হাসিল করার জন্য, আপনার বংশ নিরবংশ করে ওদের বংশ উজ্জ্বল করার জন্য "ওইজন্য আপনি কেমন মোটা, না বেটে এতে তাদের কিছু আসে যায় না, তারা আপনাকে ব্যবহারে জন্য নিবে "এবং ভবিষ্যতে আপনাকে লাশ বানিয়ে ফ্যামিলিতে পাঠাবে এজন্য পাওা দেয়।
এরপরও যদি এই একজন সনাতনী হয় পবিত্র শুদ্ধ নিরামিষে সাত্বিক মাথায় এতো সহজ বিষয় না ঢুকে" তাহলে গরুখোরদের সাথে গিয়ে গরু খেতে পারেন কোন সমস্যা নেই।🙏
সংগৃহীত
0 মন্তব্যসমূহ