মহানবীকে কটূক্তি : সেই টিটু রায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড

মহানবীকে কটূক্তি : সেই টিটু রায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড
আদালতে আসামি টিটু রায়

রংপুর অফিস, ২৩ মে, ২০২৩ ১৬:৩১


মহানবীকে কটূক্তি : সেই টিটু রায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ায় ঘটনায় আসামি টিটু রায়কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।


মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত টিটু রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।


টিটু রায় রংপুর জেলার গঙ্গচড়া থানাধীন হরকলি ঠাঁকুরপাড়ার মৃত খগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে।


আসামি টিটু রায়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার স্ট্যাটাস দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। তার স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে রংপুরের শলেয়াশাহ ঠাঁকুরপাড়া এলাকায় সনাতন সম্প্রদায় পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।


মামলা সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসে ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর 'এমডি টিটু' নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।


ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর ওই বছরের ১০ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর টিটু রায়ের শাস্তির দাবিতে শলেয়াশাহ বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় জনতা। পরে কয়েক হাজার মানুষ টিটু রায়ের বাড়িসহ ঠাঁকুরপাড়ার হিন্দুপল্লীর বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া থানায় দুটি মামলা হয়।


এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার জানান, 

কোনভাবেই ধর্ম অবমাননা সমীচীন নয়। এটা আইন পরিপন্থী। যা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে। ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি তৈরি করে প্রচার করায় আসামি টিুট রায়কে ৫৭(২) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন বিজ্ঞ বিচারক।


অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায় এই রায় প্রসঙ্গে আপত্তি জানিয়ে বলেন, 

সাইবার ট্রাইবুনালে ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই মোতাবেক ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে টিটু রায়ের মোবাইল ডিভাইস থেকে ওই ধরণের বিতর্কিত পোস্ট দেয়ার প্রমাণ মেলেনি। আমরা মনে নিরক্ষর একটি ছেলের পক্ষে ফেক আইডি খুলে এই রকম পোষ্ট প্রচার করা সম্ভব নয়। বিচারক রায় দিয়েছে। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।


সূত্র: কালের কণ্ঠ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ