প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
শুকদেব নাথ তপন, ফেনী থেকে :
ফেনীর সোনাগাজীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রবীন্দ্র কুমার দাসের তিন কোটি টাকা মূল্যের ভিটেবাড়ি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে যুবদলের নেতৃত্বে একটি ভূমিদস্যু চক্র। গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে জেলা পুলিশ ও জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রবীন্দ্র কুমার।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রবীন্দ্র কুমার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেন রবীন্দ্র কুমার। তিনি চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রামকুমার মহাজন বাড়ির অভয় চরণ দাশের ছেলে।
গত ২৮ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাশের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুচাপুর গ্রামের মোস্তফা মিঞার ছেলে আলমগীর হোসেন, সোনাগাজী পৌরসভার চরছান্দিয়া এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে যুবদলের নেতা ও কয়েক ডজন মামলার আসামি খুরশিদ আলম, চরছান্দিয়া ইউনিয়নের সেরাজুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন ও একই এলাকার সওদাগর বাড়ির মৃত সেরাজুল হকের ছেলে হারুনুর রশিদ শিক্ষক রবীন্দ্র কুমারের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ১৯১ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। একই সঙ্গে রবীন্দ্র কুমারের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও জমির দালিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতিয়ে নেয় ওই ভূমিদস্যুরা। এসব কাজে মতিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার আকরাম হোসেন রিয়াদের যোগসাজশ ছিল। এর আগেও কয়েকবার রবীন্দ্র কুমারকে হত্যাসহ জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত চারজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনজনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্ত খুরশিদ আলম জানান, তিনি তাদের চেনেন না। তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি কুচক্রিমহল ষড়যন্ত্র করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুর উদ্দিন জানান, তিনি এ ঘটনাটি শুনেছেন। ভূমিদস্যু চক্রটি সংখ্যালঘু শিক্ষকের বাড়ি দখল নিতে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তারা এলাকায় কিলার হিসাবে পরিচিত ও প্রভাবশালী। ভুক্তভোগী রবীন্দ্র কুমার দাশ ও তার পরিবার প্রাণভয়ে পালিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত মতিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা আকরাম হোসেন রিয়াদ জানান, গত ২৮ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় দুটি দলিল রেজিস্ট্রার হয়েছে। সেখানে দাতা রবীন্দ্র কুমার দাস ও গ্রহীতা আলমগীর হোসেন।
ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান,
‘এ সংক্রান্ত্র একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’
জেলা রেজিস্ট্রার মো. সেলিম হাওলাদার জানান, অভিযোগটি পেয়েছেন। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
সোর্স: ভোরের কাগজ
0 মন্তব্যসমূহ