প্রকাশ: ০২:২৯ pm ১২-১২-২০২২ হালনাগাদ: ০২:০৮ pm ১৩-১২-২০২২, এইবেলা ডেস্ক
খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় তনুশ্রী (১৮) নাম এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। গত (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এ সময় ঘরের খাটের ওপরে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে ‘আত্মহত্যার জন্য’ দায়ী করে তিন জনের নাম লেখা ছিল।
তনুশ্রী উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের হড্ডা গ্রামের দিপক মাঝির মেয়ে। তিনি গড়ইখালী আবু মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। স্বজনদের দাবি, তনুশ্রী আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে তিন জনকে দায়ী করে ওই নোট লিখে গেছেন।
তনুশ্রীর বাবা দিপক মাঝি জানান,
“গত বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি নদীর চরের গাছ থেকে কেওড়া পাড়তে যান। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জানতে পারেন, তার মেয়ে তনুশ্রী গলায় ফাঁস দিয়েছেন। দ্রুত বাড়ি ফিরে মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান তিনি। এরপর জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তনুশ্রীর পা উঁচু করে ধরেন এবং তার মা রশি কেটে দেন। তাকে নামিয়ে খাটের ওপর রাখায় সময় মোবাইল ফোন দিয়ে চাপা দেওয়া একটি কাগজ দেখতে পান তারা।”
নোটে লেখা ছিল,
‘আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না। ওরা আমার পিছনে খুব ভালোমতো লাগিছে। আমি না মরা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। শুভ, আলিফ, মিহির ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না।’
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মেম্বার চায়না মন্ডল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে খবর পেয়েই তনুশ্রীদের বাড়ি যাই। সেখানে গিয়ে দেখি সে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ সেখান থেকে একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।’
আমাদী পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ”ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি নোট পাওয়া গেছে। তনুশ্রীর হাতের লেখা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আত্মহত্যার বিষয়ে কারো প্ররোচনা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএমএস দোহা বলেন, ‘তনুশ্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এইবেলাডটকম/মভশ
সূত্র: এইবেলা
0 মন্তব্যসমূহ