মন্দিরের গেটে ঝুলছে মসজিদের দান বক্স। এটা একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা উদারতার উদাহরণ হতে পারতো, যদি মসজিদের গেটেও এরকম মন্দিরের দান বক্স ঝুলতে দেখা যেতো। কিন্তু সেটা তো কোন কালেই সম্ভব নয়। উল্টো এই দান বক্সটি গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলের নবরত্ন মন্দিরের গেটে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাহলে কারা নষ্ট করছে? কারা উস্কানিমূলক কাজ করছে? অথচ গিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় যে এইসবের প্রতিবাদ করে তাকে।
আমাদের এখানে দয়াময়ী মন্দিরের পাশাপাশি নতুন মডেল মসজিদ হয়েছে। বেশী মানুষের চোখে পড়বে বা এরকম কোন সুবিধার জন্য যদি মন্দিরের একটি দান বক্স মসজিদের এরিয়াতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সেটা কি মানবেন কেউ? কট্টরপন্থী মুসলিমরা সেটা কখনোই মেনে নিবে না। নিজেরা যেটা মানতে পারবেন না সেটা অন্যের গায়ে চাপিয়ে দিতে একটুও বাঁধে না?!
এই লিগ্যেল বিষয়টা নিয়ে কথা বলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝুমন দাসকে গ্রেফতার করা হলো। অলরেডি আদালত তার স্বীকারোক্তি নিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। ঝুমন দাস শুধু প্রতিবাদ করেছিল মন্দিরের গেটে কেন মসজিদের দান বক্স? এটুকুতেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে গেল? এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে গেল? আর প্রশাসন কোন দিক বিচার না করে টুপ করে তাকে জেলের শিকেয় তুলে দিলো?! আজ হিন্দু বলেই ঝুমন দাসকে গ্রেফতার করতে, জেলে ভরতে একটুও ভাবেনি পরহেজগার প্রশাসন। ভাই পাকিস্তান আমলেও তো হিন্দুরা এরচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতো!
# সংগৃহিত
0 মন্তব্যসমূহ