হিন্দুদের নিয়ে সর্বদা নেতিবাচক লেখা দেখা যায়। এতে অনেকে হতাশ হয়। আসুন, আজ হিন্দুদের একটা ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করি।
পূজায় শহরের মন্দিরগুলোতে তো বটেই, গ্রামের অনেক মন্দিরেও তিল ধারণের জায়গা থাকে না। মহোৎসবে যখন প্রসাদ বিতরণ হয়, তখন দেখা যায় অনেক অপরিচিত নারী-পুরুষ একসাথে বসে প্রসাদ গ্রহণ করছেন। পূজায় পুষ্পাঞ্জলি দিতে গিয়েও নারী ও পুরুষদের একসাথে বসে অঞ্জলি দিতে দেখা যায়। একত্রে বসে অঞ্জলি দেওয়া ও প্রসাদ গ্রহণের দৃশ্য দেখে মনে হয়, তাঁরা যেন বহু জনমের পরিচিত!
কিন্তু কখনো দেখেছেন কি এসব স্থানে হিন্দু নারীরা হিন্দু পুরুষ কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছেন কিংবা অপমানিত হয়েছেন? এটাও কি দেখেছেন যে, হিন্দু নারীরা এসব স্থানে গিয়ে বেলেল্লাপনা করছে,? যদি দেখে থাকেন, তবে সেটা নেহাত সামান্য ও অনুলেখ্য। এটাই বরং দেখা যায় যে, এসব স্থানে হিন্দু নারীরা ভিন্ন জাতিদের দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে থাকেন।
অথচ এত বিশাল জমায়েত ও সমাগমে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু হিন্দুদের ক্ষেত্রে এসব দুর্ঘটনা ঘটে খুব খুব কম। আর এই সৎগুণগুলো হিন্দুদের রক্তে জাতিগতভাবে ও উত্তারাধীকারসূত্রে সদা প্রবাহিত; এগুলো হিন্দুদের জাতিগত শুদ্ধাচার, শিষ্টাচার ও বিশুদ্ধতার অনন্য নজির, যা কি না একটা বিশেষ জাতির ক্ষেত্রে দেখা যায় না।
এই বিষয়টা নিয়ে অতীতে কয়েকবার ভাবলেও লেখা হয়নি। কিন্তু আজ এলাকার এক বড়ভাই ঠিক এই বিষয়টাই আমাকে বললেন। দেখলাম, ওনার ভাবনা আর আমার ভাবনায় চমৎকার মিল। ওনি আজই এক আশ্রমের বিশাল সমাগম থেকে এসে আমাকে বললেন যে, এত নর-নারীর সমাগম হওয়া সত্ত্বেও প্রত্যেকেই যথেষ্ট সভ্য ও শালীন আচরণ করে চলেছেন।
হ্যাঁ, এটাই হিন্দুদের উন্নত চরিত্র ও স্বভাবের পরিচয় তুলে ধরে। সনাতন ধর্মে নারীরা দেবীরূপে পূজিতা। সাধারণত হিন্দু ছেলেরা অধিকাংশই হিন্দু নারীদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। আর বিবাহিতা হিন্দু নারীদের হাতে শাখা ও কপালে সিঁদুর থাকলে সেই নারী অবশ্যই আলাদা সম্মান ও মর্যাদা বহন করে।
তবে এটা নয় যে, শাখা-সিঁদুর না থাকলে কিংবা নারীরা অন্য ধর্মাবলম্বী হলে তাদের সাথে ভিন্ন আচরণ করা যাবে। তাছাড়া হিন্দু নারী বিবাহিতা না হলে তো শাখা-সিঁদুর পরার প্রশ্নই আসে না। সেক্ষেত্রে কি সেসব নারী সম্মান পাবে না?
অবশ্যই পাবে। কুমারী নারী সর্বোচ্চ সম্মান পায় বলেই তো হিন্দুরা কুমারীপূজা করে। শৈশবে বাল্যশিক্ষায় নিশ্চয়ই পড়েছেন, "সাধ্বী নারী পূজনীয়া"; আর সেই পূজার ঢালি হিন্দুরাই সাজাতে পারে।
সংগৃহীত
0 মন্তব্যসমূহ