ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশের জন্য কিছুই করেনি??
আমার পরামর্শ থাকবে তাদের প্রতি আবারো ইতিহাস বই গুলো পড়ে আসার জন্য।
- ১। মাস্টারদা সূর্য সেন -বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা।
- ২। আশালতা বৈদ্য- একমাত্র নারী মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার।
- ৩। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব- (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী)।
- ৪। ড. সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য- (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী)।
- ৫। জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা- (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী)।
- ৬। রণদাপ্রসাদ সাহা- (কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী)।
- ৭। ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত- পাকিস্তান গণপরিষদে অধিবেশনের সকল কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতে রাখার দাবি উত্থাপনকারী প্রথম ব্যাক্তি।
- ৮। মনি সিংহ- স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য।
- ৯। ফনী ভূষণ মজুমদার- তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল সফর করেন। এ সময় তিনি ভারতের লোকসভায়ও ভাষণ দেন।
- ১০। ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডল- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রথমে পিরোজপুর মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন পরে ভারতে শরণার্থী ক্যাম্পে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
- ১১। রমা চৌধুরী - (বিরাঙ্গনা- একাত্তরের জননী)।
- ১২। মনোরঞ্জন ধর- বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সদস্য।
- ১৩। মেজর জেনারেল চিত্ত রঞ্জন দত্ত - (বীর উত্তম সিআর দত্ত, মুক্তিযুদ্ধ সেক্টর কমান্ডার)।
তাছাড়া শত শত মুক্তিযুদ্ধা বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
*দেশ বরেণ্য বিখ্যাত কিছু প্রতিষ্ঠান-
- ১। লীলা নাগ/রায়- (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা ছাত্রী) তিনি আরমানিটোলা বালিকা বিদ্যালয়, কামরুন্নেসা গার্লস হাই স্কুল ও শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
- ২। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা)- (প্রতিষ্ঠাতা কিশোরীলাল রায় চৌধুরী)।
- ৩। ব্রজমোহন কলেজ (বিএম কলেজ, বরিশাল)- প্রতিষ্ঠাতা অশ্বিনী কুমার দত্ত।
- ৪। সরকারি ব্রজলাল কলেজ (খুলনা)- প্রতিষ্ঠাতা ব্রজলাল চক্রবর্তী
- ৫। মুরারিচাঁদ কলেজ (সিলেট)-প্রতিষ্ঠাতা গিরিশ চন্দ্র রায়।
- ৬। মদনমোহন কলেজ (সিলেট)- প্রতিষ্ঠাতা মোহিনী মোহন ও যোগেন্দ্র মোহন।
- ৭। বৃন্দাবন সরকারি কলেজ (হবিগঞ্জ)- প্রতিষ্ঠাতা বৃন্দাবন চন্দ্র দাস।
- ৮। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ- প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর আনন্দচন্দ্র রায়।
- ৯। নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে- প্রতিষ্ঠাতা জমিদার রতন রায়
- ১০। সরকারী কেশব চন্দ্র কলেজ (ঝিনাইদহ)- প্রতিষ্ঠাতা কেশব চন্দ্র পাল।
- ১১। অমৃত লাল দে কলেজ ( বরিশাল)- প্রতিষ্ঠাতা অমৃত লাল দে
- ১২। আনন্দমোহন কলেজ (ময়মনসিংহ)- প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ মোহন বসু।
- ১৩। রাজা রমনী মোহন রায় উচ্চ বিদ্যালয় (তুষভান্ডার)
- লালমনিরহাট জেলা, প্রতিষ্ঠাতা রাজা রমণীমোহন রায়।
- ১৪। মহাকালী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ (ময়মনসিংহ)
এছাড়াও এদেশে শত শত স্কুল কলেজর প্রতিষ্ঠাতা হিন্দুধর্মাবলম্বী এবং এদের উত্তরসূরী এখন সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠিত।
অনেকেই বলে থাকেন হিন্দুরা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। কোন হিন্দুই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি তাদের কোনো ভূমিকা ছিলোনা। তাদের এটুকুই বলতে চাই শরণার্থী হওয়াটা অপরাধ নয়, কিন্তু নিজ দেশের মানুষের সাথে বেইমানি করাটা অপরাধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় সবচেয়ে বেশি হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন করা হয়েছে এদেশের হিন্দুদের। শাঁখা-সিঁদুর দেখে দেখে, লুঙ্গি তুলে তুলে এদেশের হিন্দুদের নির্যাতন করেছে পাকিস্তানি ও তাদের বাঙালী দোসররা।
সংগৃহীত
0 মন্তব্যসমূহ